গল্প | সিনিয়র মিস - পর্ব-০৯ (শেষ পর্ব)| Senior Miss - Part-09
Writer | Tamim
যখন জ্ঞান ফিরল তখন আশেপাশে তাকিয়ে দেখি আমি একটা অন্ধকার রুমে আছি।। একটা চেয়ারের সাথে আমার হাত পা কেন যেন বেধে রেখেছে, যার কারণে একটুও নড়তে পারছি না।।
এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ পেয়ে সামনে তাকিয়ে যাকে দেখলাম, তাকে দেখার পর আমি অবাক না হয়ে পারলাম না।। কারণ এইমাত্র দরজা খুলে যে ভিতরে ঢুকেছে সে আর কেউ না ইমা😱।। কিন্তু ইমা এইখানে কীভাবে এলো, তার মানে কি ইমাই আমায় এইখানে কিডন্যাপ করে এনেছে..? কিছুই তু বুঝতেছি না, এদিকে ইমাও হেটে হেটে আমার কাছে চলে এসেছে।।
ইমাঃ কিরে কেমন লাগছে এইখানে তোর..?
আমিঃ ইমা তুমি এইখানে কি করছ, আর আমাকেই বা এইখানে কারা এনেছে..?
ইমাঃ আমি এনেছি তোকে এইখানে।।
আমিঃ তুমি!! তুমি আমায় কেন এইখানে নিয়ে এসেছ😲..?
ইমাঃ তোর থেকে পুরনো হিসাব নিব তাই তোকে ধরে এনেছি😈।।
আমিঃ মানে আমি তোমার কি ক্ষতি করেছি যার কারণে এইখানে ধরে এনেছ..?
ইমাঃ আমার নয় ক্ষতি করেছিস আমার ভাইয়ের।।
আমিঃ মানে কি বলতে চাচ্ছ তুমি..?
ইমাঃ হে আমি ঠিক বলছি তোর জন্য আমি ওইদিন আমার ভাইকে হারিয়েছি।। মনে আছে রাফির কথা কীভাবে মেরেছিলি তুই ওকে😠 (আমার কলার চেপে ধরে)।।
আমিঃ রাফি কোন রাফির কথা বলছ যাকে ৬ মাস আগে ভার্সিটির সবার সামনে মেরেছিলাম ওই রাফির কথা..?
ইমাঃ হে ওই রাফির কথাই বলছি আর ও আমার ভাই ছিল যাকে তুই ভার্সিটির সবার সামনে তোর বন্ধুদের নিয়ে মেরেছিলি।। আমার ভাইটা এই অপমান সহ্য করতে না পেরে ওইদিনই গলায় দড়ি দিয়ে আমাদের ছেড়ে সারাজীবনের জন্য চলে যায়।। আর এইসব কিছু শুধু তোর জন্য হয়েছে আমি আজ তোকে ছাড়ব না।। আজ তোকে মেরে আমি আমার ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিব😠।।
আমিঃ দেখ ইমা ওর মৃত্যুর জন্য ও নিজেই দায়ি ছিল।। আর আমি ওকে ওইদিন ইচ্ছে করে মারি নি।। ও আমাদের ভার্সিটির একটা মেয়ের সাথে মিথ্যে ভালবাসার নাম করে ওর জীবন নষ্ট করে ফেলেছিল।। যার কারণে আমি এই বিষয়টা মেনে নিতে পারি নি তাই ওইদিন ওকে ওর শাস্তি দেওয়ার জন্য ভার্সিটির সবার সামনে মেরেছিলাম।। এখন তুমিই বল এইখানে ওর মৃত্যুর জন্য কি আমি দায়ি..?
ইমাঃ হে তুই দায়ি তোর জন্য আমার ভাইটা মরেছে।। আর আজ আমি তোকে মেরে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিব (রাগে চিৎকার করে)।।
আমিঃ কিন্তু তুমি তু আমায় ভালবাসার কথা বলেছিলা সেটা কি ছিল..?
ইমাঃ সেটা তু তোকে শুধু একটা উছিলা করে আমার কাছে আনতে চেয়েছিলাম।। যাতে তোকে সহজে মারতে পারি, কিন্তু তুই তু এর আগেই বিয়ে করে ফেলেছিস যেটা আমি আগে যানতাম না।। তাই আর কোনো উপায় না পেয়ে আমার লোকজন দিয়ে তোকে তুলে আনলাম।।
আমিঃ দেখ ইমা তোমার ভাই যা করেছিল আমরা শুধু সেটার শাস্তি ওকে দিয়েছিলাম।। আর এইখানে (আমায় থামিয়ে)
ইমাঃ তোর এতো কথা শুনার জন্য তোকে এইখানে তুলে আনি নাই।। আজ তোকে মেরে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করার জন্য তোকে এইখানে আনা।। মৃত্যুর জন্য তৈরি হয়ে নাউ মিস্টার তামিম (বলেই ইমা ভিতরে কাকে যেন আসতে বলল)
কিছুক্ষণ মধ্যে ৩-৪টা লোক হাতে লোহার রড নিয়ে ভিতরে আসল।। এসেই ইমার পিছনে দাড়িয়ে পরল।। মনে হচ্ছে এরাই আমায় এইখানে তুলে এমেছে।।
ইমাঃ ওই সবাই ওকে মারতে শুরু কর আর হে তোদের মার খেয়ে যাতে ও আর বাচতে না পারে।। যদি বেচে থাকে তাহলে আমি তোদের মেরে ফেলব😡।।
ম্যাডাম আপনি চিন্তা করবেন না আপনার কাজ হয়ে যাবে, আপনি বাহিরে যান আমরা একে দেখছি (লোকগুলোর মধ্যে একটা লোক কথাটা বলল)।।
ইমা আর এখানে ১সেকেন্ডও দাড়ালো না রুমের বাহিরে চলে গেল।। আর এদিকে লোকগুলো এসে আমায় এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করল রড দিয়ে।। এদিকে মার খেতে খেতে আমার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগল।। কথা বলার শক্তি যেন একদম হারিয়ে ফেলেছি।। আর সহ্য করতে পারলাম না সেইখানেই জ্ঞান হারালাম।।
যখন জ্ঞান ফিরল তখন আশেপাশে তাকিয়ে দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।। আমার পাশেই তখন একটা নার্স ছিল আমার জ্ঞান ফিরতে দেখে দৌড়ে বাহিরে গিয়ে বলল, রোগির জ্ঞান ফিরেছে।। এ কথা শুনে তু মা-বাবার খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল।। সবাই মিলে ভিতরে ঢুকে আমার পাশে চলে আসল।। আম্মু তু এসেই আমায় জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলেন।।
আম্মুঃ বাবা তুই ঠিক আছিস তু জানিস আজ ২দিন পর তোর জ্ঞান ফিরেছে আমি যে আজ কি খুশি বলে বুঝাতে পারব না।।
আমিঃ আম্মু আমি ঠিক আছি আর আমি এইখানে এলাম কীভাবে..?
আম্মুঃ মিম মামনি তোকে এইখানে এনেছে, ওইদিন যদি মিম না থাকতো তাহলে কি যে হতো।।
আমিঃ কিহ মিম আমায় এইখানে এনেছে কিন্তু কীভাবে😲..? (অবাক হয়ে)
আব্বুঃ এইসব কথা পরেও শুনতে পারবা এখন তুমি একটু রেস্ট নাউ।। এমনিতেই তোমার শরীর এখনও পুরোপুরি ভালো হয়নি।।
আমিঃ আচ্ছা
এরপর আম্মু আব্বু বাহিরে চলে গেলেন আর আমি শুয়ে শুয়ে ভাবছি মিম আমায় কীভাবে এইখানে আনল কিছুই তু বুঝতেছি না।। আর তা ছাড়া মিম কই ওকে তু একবারও দেখলাম না।। না আর ভাবতে পারছি না যত ভাবছি ততই মাথা ব্যাথা বেড়ে যাচ্ছে।। আর কিছু না ভেবে একটু ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।। তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম খেয়ালই নেই😪।।
যখন ঘুম ভাঙল তখন বুকের উপর ভারি কিছু একটা অনুভব করলাম।। চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি এ তু মিম আমার বুকের উপর শুয়ে আছে😱।। মিম এইখানে কি করে এলো তার উপর এসেই আমার বুকের উপর শুয়ে আছে।।
আমিঃ মিম এই মিম তুমি এইখানে কি করছ, কখন এলে..? (হালকা ধাক্কা দিয়ে)
মিমঃ ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে যে আমি উঠে পরেছে।। তা দেখে মিম খুশিতে আমায় জড়িয়ে ধরল।। তুমি ঠিক আছ তু জান ২দিন ধরে তুমি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলা।। আমার যে কি চিন্তা হচ্ছিল নিজেই জানি (বলেই কেদে দিল)।।
আমিঃ ওর কান্না দেখে কেন যেন থাকতে পারলাম না আমিও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বুকের মধ্যে নিয়ে আসলাম।। এই পাগলি কান্না করছ কেন দেখ আমার কিছুই হয়নি আমি একদম ঠিক আছি।।
মিমঃ যদি তোমার কিছু হয়ে যেত তাহলে আমি আর বাচতাম না সত্যি সত্যি মরে যেতাম😭।।
আমিঃ দিব একটা চড় এইসব কথা আর ভুলেও মুখে আনবা না নাহলে কিন্তু তোমার সাথে আর কখনো কথা বলব না (রাগ দেখিয়ে)।।
মিমঃ আচ্ছা সরি আর এইসব কথা বলব না তবুও রাগ কর না প্লিজ।।
আমিঃ হুম, আচ্ছা এখন বল আমি এইখানে কিভাবে আসলাম..?
মিমঃ তাহলে শুন, যখন তোমাকে কিছু লোকজন কিডন্যাপ করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই আমি ভার্সিটির দিকে আসছিলাম আর এসে দেখি কারা যেন তোমায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে।। এটা দেখে আমিও একটা রিক্সা নিয়ে ওদের পিছু নিলাম।। তারপর এসে দেখি যে ইমা নামের মেয়েটাই তোমায় কিডন্যাপ করে এনেছে।। আর আমি তোমাদের সব কথাও শুনেছিলাম।। এরপরেই আমি পুলিশ স্টেশনে কল করে পুলিশকে আসতে বলি।। কিন্তু তখন অনেক দেড়ি হয়ে গেছিল ওরা ততক্ষণে তোমায় মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলেছে।। এর পরেই পুলিশ এসে ওদের ধরে ফেলে সাথে ইমাকেও।। আমি অবশ্য ইমাকে ইচ্ছামতো কয়েকটা চড় দিয়েছিলাম তারপর পুলিশেরা ওদের সবাইকে ধরে নিয়ে যায়।। আর আমি একজন পুলিশের সাহায্যে তোমাকে এইখানে নিয়ে আসি তারপর বাড়ির সবাইকে ফোন করে তোমার কথা বলে এইখানে আসতে বলি।।
আমিঃ ওর কথা শুনে কি বলব বুঝতে পারছি না সত্যি মিম যদি ওইদিন না থাকত তাহলে আজ আমি এইখানে হতাম না।। তারপর একবার ভালো করে মিমের দিকে তাকালাম।। দেখলাম এই ২দিনে চোখের নিচে হালকা কালি পরে গেছে, আর অনেকটাই শুকিয়ে গেছে মনে হয় ঠিকমতো খাওয়া করেনি এই ২দিন।।
মিমঃ এই কি হল এইভাবে কি দেখছ..? (ধাক্কা দিয়ে)
আমিঃ দেখছি তোমাকে এই কয়দিনে অনেকটা শুকিয়ে গেছ মনে হচ্ছে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া কর নাই।।
আম্মুঃ হে তোকে এইখানে আনার পর থেকে মেয়েটা একবারের জন্যও চোখ লাগায় নাই।। আর একবেলা ঠিকমতো খেয়েছে বলেও মনে হয়না।। নে ধর তোদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছি দুজন মিলে খেয়ে নে।। আর হে মিম মামনি খাওয়া শেষ হলে তামিমকে এই ঔষধগুলো খাইয়ে দিও তু (খাবার আর ঔষধ দিয়ে মিমের হাতে দিয়ে)।।
মিমঃ আচ্ছা আম্মু
আম্মুঃ আচ্ছা তাহলে আমি এখন গেলাম তোরা খেয়ে নে (বলেই আম্মু চলে গেলেন)।।
আমিঃ তুমি আমার জন্য এতো কষ্ট করেছ আর আমি কি না দিনের পর দিন তোমার ভালবাসার অবহেলা করে এসেছি😓।।
মিমঃ এইসব কথা এখন বাদ দাউ তু আর খাবারগুলো খেয়ে নাউ।।
এরপর মিম আমায় ওর নিজের হাতে খাবার খাইয়ে দিল।। আমিও মিমকে আমার হাতে খাইয়ে দিলাম।। খাওয়া শেষ হলে মিম আমায় কিছু ঔষধ খাইয়ে দিয়ে প্লেট নিয়ে বাহিরে চলে গেল।। আর আমি শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম কি ভুলটাই না করেছু এতোদিন।। যে মেয়ে আমাকে পাগলের মতো ভালবাসে তাকেই কি না আমি এতদিন অবহেলা করে এসেছিলাম।। নাহহ অনেক হয়েছে আমি বুঝে গেছি মিম আমাকে সত্যি মন থেকে ভালবাসে।। আমিও ওকে এখন থেকে আমার সবটুকু দিয়ে ভালবাসব।। ওকে তিল পরিমাণও কষ্ট দিব না যাইহোক না কেন।।
এইভাবে আরও ২দিন হাসপাতালে থাকার পর ডক্টরের কাছ থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।। এই ২দিনে মিম সবসময় আমার পাশে ছিল একটু সময়ের জন্যও আমায় ছেড়ে কোথাউ যায়নি।। এই কয়দিনে যেন মিমকে আমিও মন থেকে ভালবেসে ফেলেছি।। বন্ধুরা অবশ্য আমার এমন অবস্থার কথা শুনে রিলিজ নেওয়ার আগের দিন এসে দেখে গেছিল।। বাসায় এসে আরও কয়েকদিন লেগে গেল ভালো ভাবে সুস্থ হতে।। ওরা যেই রকম ভাবে মেরেছিল তাতে হাটতে প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হলেও এখন ঠিকমতো হাটতে পারি।।
তু রাতে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে যার যার রুমে চলে আসলাম।। রুমে এসে একা একা বসে আছি কিন্তু মিমের আসার নাম গন্ধই নেই।। প্রায় কিছুক্ষণ পর মহারানী এসে রুমে ঢুকলেন আর এসেই আমার পাশে বসে পরলেন।।
মিমঃ কি হলো এইভাবে বসে আছ কেন ঘুমাবে না..?
আমিঃ হুম তবে তার আগে তোমায় আমি কিছু কথা বলতে চাই।।
মিমঃ কি কথা বল..?
আমিঃ মিম আমি এতদিন যা যা করেছি সবকিছুর জন্য আমি সত্যি অনুতপ্ত প্লিজ আমায় মাফ করে দাউ।। আমি সত্যি এতদিন ধরে তোমার ভালবাসাটা বুঝতে পারি নি।। আমায় কি আরেকটা সুযোগ দিবা তোমার মনের মতো হয়ে উঠতে😔।।
মিমঃ এইভাবে বলছ কেন তুমি যে তোমার ভুল বুঝতে পেরেছ এটাই যথেষ্ট।। আর হে সুযোগ পেতে হলে আগে আমার ২টা কথা মানতে হবে পারবা..?
আমিঃ হুম পারব ইনশাআল্লাহ বল আমায় কি করতে হবে..?
মিমঃ আগে আমায় কথা দাউ আমার কথাগুলো ফেলতে পারবা না..?
আমিঃ আচ্ছা মহারানী কথা দিলাম এখন বল আমায় কি কি করতে হবে..?
মিমঃ উমম এখন না আগে আমরা ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখব তারপর এসে বলব😊।।
আমিঃ আচ্ছা মহারানী যেটা আপনি বলেন, তাহলে এখন চলেন।।
মিমঃ চলেন মানে আমাকে কুলে করে নিয়ে যেতে হবে নাহলে আমি যাব না😤 (গাল ফুলিয়ে)।।
আমিঃ আচ্ছা বাবা রাগ করতে হবে না নিচ্ছি (বলেই মিমকে কুলে তুলে নিলাম)।।
মিমও তার ২হাত দিয়ে আমায় গলা জড়িয়ে ধরল।। এরপর আসতে আসতে হেটে মিমকে নিয়ে ছাদে চলে এলাম।। এসেই মিমকে একটা দোলনায় বসিয়ে দিলাম।।
আমিঃ উফফ এতো ভারি কেন তুমি হে আরেকটু হলে তু আমায় খুজেই পেতা না (একটু রাগানোর জন্য)।।
মিমঃ কিহহ আমি ভারি তাইনা মানে তুমি বলতে চাউ আমি বেশি খাই।। যাউ তোমার সাথে আর কথা নাই😤 (বলেই অন্যদিকে মুখ করে বসে পরল)।।
আমিঃ ধীরে ধীরে ওর পাশে গিয়ে বসলাম তারপর ওকে আমার দিকে ঘুরিয়ে এনে বুকের মাঝে শক্ত করে চেপে ধরলাম।। নিজেকে ছাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই আমার সাথে পেরে উঠতে পারছে না।। আহা এতো নড়াচড়া করছ কেন..?
মিমঃ ছাড় আমাকে আমি তু বেশি খাই আমাকে ধরতে হবে না যা তুই (রাগ দেখিয়ে)।।
আমিঃ সরি সোনা পাখি ওইটা তু শুধু তোমাকে একটু রাগানোর জন্য বললাম।। আর একটা কথা কি জান রাগলে না তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে😊।।
মিমঃ হইছে আর বলতে হবে না।।
এরপর মিম তার হাত ২ হাত দিয়ে আমার হাত জড়িয়ে ধরল আর আমার কাধে মাথা রেখে চাঁদ দেখতে লাগলো।। এইভাবে প্রায় অনেক্ষণ থাকার পর মিমকে বললাম, অনেক রাত হয়েছে এখন রুমে চল।।
মিমঃ হুম তবে যেভাবে নিয়ে আসছিলা সেভাবেই নিয়ে যেতে হবে।।
আমিঃ বুঝেছি ও কি বলতে চাচ্ছে তাই আর বসে না থেকে দোলনা থেকে উঠে ওকে কুলে নিয়ে রুমে চলে এলাম।।
রুমে এসে ওকে নামিয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।। ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি মিম বিছানায় বসে আছে।।
আমিঃ কি হলো ঘুমাবা না..?
মিমঃ ঘুমাব মানে মনে নেই এখনও আমার ২টা শর্ত বাকি রয়েছে।।
আমিঃ ওহ হে মনেই নেই আচ্ছা বল এখন তোমার শর্ত কি কি..?
মিমঃ ১ম শর্ত এখন থেকে আমায় অনেক ভালবাসতে হবে, কখনো আমায় কষ্ট দিতে পারবা না।।
আমিঃ হুম অনেক ভালবাসব কথা দিলাম😊।। এবার ২নাম্বারটা বল..
মিমঃ ২য় টা হলো আমার একটা বাবু চাই ঠিক তোমার মতো🙈 (বলেই আমার বুকে এসে মুখ লুকাল)।।
আমিঃ তু অবাক মিমের এমন কথা শুনে😳।। বাবু রাজকন্যা নাকি রাজকুমার হুম..?
মিমঃ তোমার মতো দেখতে একটা রাজকুমার (লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে)।।
আমিঃ তাহলে তু দেখছি ওইদিনের বাসর রাতের কাজ আজকে সেড়ে ফেলতে হবে😁।।
মিমঃ না করেছে কে তোমার যা ভালো মনে হয় কর।।
আমিঃ আর কিছু না বলে ধীরে ধীরে মিমের দিকে এগুতে লাগলাম।। এরপর আমার ঠোঁট দিয়ে ওর ঠোঁট গুলো নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসলাম।। মিমও আমায় কোনো বাধা দিল না সেও আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে পাগলের মতো কিস করতে লাগলো।।
(লুচ্চা পাঠক পাঠিকা এক একটা, অন্যের বাসর রাতও এহন দেখবার চায়😡।। খাইয়া দাইয়া কি কাজ কাম নাই আপনাগো যে অন্যের বাসর রাত দেখতে আইছেন😤।। যান যান আর ওদেরকে ওদের কাজ করতে দেন)।।
The End
লিখার মধ্যে ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন আর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পটা সবার কাছে কেমন লেগেছে সেই বিষয়ে একটা মন্তব্য করে যাবেন প্লিজ🙏।। আর হে নতুন গল্প আগামী ১৫ জুলাই পেয়ে যাবেন।। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর সবসময় নামায পড়বেন😊।।
No comments