গল্প | সিনিয়র মিস - পর্ব-০৮ | Senior Miss - Part-08
Writer | Tamim
আমিঃ কি পেয়েছেন আপনি হে যখন তখন আমায় কিস করে বসবেন আর আমি কিছুই বলব না।। শেষবারের মতো বলে দিচ্ছি আমার উপর কখনো জোর খাটাতে আসবেন না কারণ আমি আপনাকে কখনোই নেমে নিব না😤।।
মিমঃ তুমি আমাকে এইভাবে মারতে পারলে..? কি দোষ করেছি আমি একটু ভালবাসাই তু চেয়েছি তোমার কাছ থেকে।। তোমার ধন সম্পদ আমার একটুও লাগবে না শুধু একটু ভালবাসা দিলেই হবে😥।।
আমিঃ দেখেন এই ব্যাপারে আমি আর কথা বলতে চাইনা।। সরেন আমি ঘুমাব আর আপনিও শুয়ে পরেন।। আর হে ঘুমের মধ্যে একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবেন না বলে দিলাম নাহলে খুব খারাপ হবে।।
এরপর আমি সোজা বিছানায় গিয়ে ঘা এলিয়ে দিলাম।। মিম কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থেকে সেও এসে আমার পাশে শুয়ে পরল বিপরীত দিকে মুখ করে।। মনে হচ্ছে মিম ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্না করছে।। করুক তাতে আমার কি আমি তু তাকে আগেই বলেছি আমি তাকে ভালবাসি না তারপরও আমার অমতে সে আমায় বিয়ে করল এখন কাদুক।। এইসব কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম খেয়ালই নেই😪।।
সকালবেলা
ঘুম ভাঙল কারও মিষ্টি ডাকে, চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি মিম আমার সামনে দাড়িয়ে আছে।। নতুন একটা শাড়ি পরেছে সাথে চুল থেকে টুপ টুপ করে পানি পরছে।। হয়তো এইমাত্র গোসল করে এসেছে যা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।। সুর্যের আলোও এসে হালকা মিমের মুখের উপর পরেছে দেখতে একদম মায়াবী লাগছে।। পরক্ষণেই ওর গালের দিকে চোখ পরতেই দেখি আঙুলের দাগ লেগে আছে।।
হয়তো কাল রাতের চড় খুব জোরেই মেরে ফেলেছিলাম যার কারণে এখনও তার দাগ রয়ে আছে।। তবুও তার এরকম সৌন্দর্য দেখে চোখ ফেরাতেই পারছি না।। মনে চাচ্ছে এইভাবে সারাজীবন থেকে যেতে।।
মিমঃ এই কি হল এইভাবে তাকিয়ে আছ কেন উঠবা না নাকি..? (ধাক্কা দিয়ে)
আমিঃ হঠাৎ কারও এমন কথা শুনে বাস্তবে ফিরলাম।। সামনে তাকিয়ে দেখি মিম দাড়িয়ে আছে।। ইসস তার মানে এতক্ষণ ধরে আমি মিমেত দিকে তাকিয়ে ছিলাম খেয়ালই নেই।। এখন মিম কি না কি ভাববে, দুরর কেন যে ওইভাবে তাকিয়ে ছিলাম।।
মিমঃ কি হলো এইভাবে তাকিয়ে আছ কেন, আর আমাকে আজ কেমন লাগছে..?
আমিঃ হুম খুব সুন্দর লাগছে (সত্যিটা না বলে পারলাম না)।।
মিমঃ আচ্ছা এখন উঠে ফ্রেশ হয়ে নাউ একটু আগে আম্মু এসে নাস্তা করার জন্য ডেকে গেছেন।।
আমিঃ আচ্ছা আপনি একটু বসেন আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি (বলে যেই উঠে ওয়াশরুমে আসতে যাব তখনই মিম আমার হাত ধরে ফেলে)।।
মিমঃ দেখ এখন তু আমাদের বিয়ে হয়েগেছে আর তুমি যদি আমায় আপনি করে বল লোকে কি ভাববে..? এখন অন্তত আমায় তুমি করে বল প্লিজ😥 (মিনতির শুরে)।।
আমিঃ কিছুক্ষণ ভাবলাম হুম ঠিকই তু বলেছে মিম এখন ওকে আপনি করে বললে লোকেরা কি ভাববে।। আর তা ছাড়া এখন তু সে আমার একদিক দিয়ে বিয়ে করা বউ।। তাহলে তুমি করে বলাই যাই।।
মিমঃ চুপ করে আছ কেন কিছু বলছ না যে।।
আমিঃ হে মানে ওকে আমি তুমি করে বলবো।
এরপর মিমকে আর কিছু বলতে না দিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে এলাম।। ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি মিম বিছানায় বসে আছে, হয়তো আমার জন্য অপেক্ষা করছে।। তারপর মিমকে সাথে নিয়ে দুজন একসাথে নিচে চলে এলাম।। এসে দেখি আম্মু আব্বু দুজন টেবিলে বসে নাস্তা করছেন।। আমাদের আসতে দেখে আম্মু মিমকে ডাক দিয়ে উনার পাশে নিয়ে বসালেন।। আমিও আর দাড়িয়ে না থেকে একটা চেয়ার টেনে বসে পরলাম।।
এরপর আম্মু আমাদের দুজনকে নাস্তা করতে দিলেন।। নাস্তা করা শেষ হলে আবার রুমে চলে এলাম আর মিম আম্মুর সাথে রান্নাঘরে চলে গেল।। রুমে এসে ভাবছি এখন তু এইভাবে ঘরে বসে সময় কাটাতে পারব না এর চেয়ে ভালো ভার্সিটিতে চলে যাই তাহলে সময় কেটে যাবে।।
যেই ভাবা সেই কাজ ভার্সিটি যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগলাম।। রেডি হচ্ছি এমন সময় মিম রুমে আসল আর আমাদের এইভাবে দেখে জিজ্ঞেস করল,
মিমঃ তুমি কি কোথাউ বের হচ্ছ নাকি..?
আমিঃ হুম ঘরে বসে ভালো লাগছে না তাই ভাবলাম একটু ভার্সিটিতে গিয়ে আসি।। সময়টাও কেটে গেল মনটা ভালো হয়ে গেল।।
মিমঃ তুমি যাবে যখন আমিও তোমার সাথে যাব।। ৫মিনিট দাড়াউ আমি রেডি হয়ে আসছি।।
আমিঃ দেখ আমি গিয়ে ক্লাস নাও করতে পারি তাই আমার সাথে অযথা গিয়ে লাভ নেই।। তুমি বরং আজ বাসায় থাক কাল দুজন একসাথে যাব।।
মিমঃ আচ্ছা তাহলে ঠিক আছে কিন্তু তারাতাড়ি বাসায় ফিরবা কিন্তু।।
আমিঃ আচ্ছা
এরপর রেডি হয়ে ব্যাগ নিয়ে সোজা বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।। আসার সময় আম্মু অবশ্য অবেকবার যেতে বারণ করেছেন কিন্তু আমি বলে আসছি একটা জরুরি কাজ আছে তাই যেতেই হবে।। প্রায় ১৫মিনিট পর ভার্সিটিতে এসে পৌছলাম।। এসে দেখি সব বন্ধুরা বট গাছের নিচে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে আমিও গিয়ে ওদের সামনে দাড়ালাম।। আমাকে দেখে ওরা যেন ভুত দেখার মতো চমকে উঠল।।
আমিঃ কিরে সবাই আমার দিকে এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন..?
রহিমঃ দেখছি তুই ওই পৃথিবীর প্রথম পুরুষ যে কি না গতকাল বিয়ে করেছে আর আজ কি না ভার্সিটি চলে এসেছে।। দোস্ত ব্যাপার কি বলতো আজ তুই কি মনে করে ভার্সিটিতে এলি😕..?
আমিঃ আরে এমনিই ঘরে বসে ভালো লাগছিল না তাই ভাবলাম ভার্সিটিতেই চলে যাই তাই চলে আসলাম।।
শুভঃ আরে কেমন মানুষ তুই, নতুন বিয়ে করেছিস কই বউয়ের সাথে একটু মজা করবি তা না তুই এইখানে চলে এসেছিস।। আচ্ছা দোস্ত গতকাল রাতে কি একটু বেশিই করে ফেলেছিলি😜।।
আমিঃ ওই কি আবুল তাবুল বকছিস আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি।। আর আমি মিমকে বাসর রাতেই বলে দিয়েছি আমি তাকে কখনো মেনে নিব না।।
রহিমঃ কি বলছিস এইসব তা মিম আপু তখন কি বলেছিল..?
আমিঃ কি আর বলবে বলল তোমার ধন সম্পদ আমার কিছুই চাইনা শুধু একটু ভালবাসা চাই ইত্যাদি ইত্যাদি।।
রহিমঃ আপু তোকে সত্যি ভালবাসে রে তা ছাড়া এমন কথা বলতো না প্লিজ তুই আপুকে মেনে নে এইভাবে আর কষ্ট দিস না।।
আমিঃ যদি মেনেই নিতে হয় তাহলে আমি ওকে আগে পরিক্ষা করব দেখব ও আমায় কতটুকু ভালবাসে।। এখন চল ক্লাসে যাই স্যার আসার টাইম হয়েগেছে।।
শুভঃ হুম চল
তারপর বন্ধুদের সাথে নিয়ে ক্লাসে চলে আসলাম।। কিছুক্ষণ পর স্যারও ক্লাসে চলে আসলেন আর ক্লাস করাতে লাগলেন।। দেখতে দেখতে সবকটা ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে বাহিরে চলে আসলাম।। বন্ধুদের নিয়ে হাটছি এমন সময় পিছন থেকে কে যেন আমায় ডাক দিল।। তাকিয়ে দেখি ইমা আমার দিকে আসছে।।
ইমাঃ তামিম তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।।
আমিঃ কি কথা বল..?
ইমাঃ এইখানে না ভার্সিটির পিছনে চল খুব পারসোনাল কথা আছে।।
আমিঃ কি এমন কথা যা এইখানে বলা যাবে না..?
ইমাঃ আরে আগে তুমি চল তু তারপর বুঝতে পারবা।।
শুভঃ আরে গিয়েই দেখ না কি বলে (কানে কানে)।।
আমিঃ আচ্ছা তাহলে তোরা থাক আমি শুনে আসি।।
এরপর ইমার সাথে ভার্সিটির পিছনের একটা ফাকা জায়গায় চলে আসলাম।। যেখানে কেউ বেশি আসে না একদম নির্জন জায়গা।। দুজনেই এসে চুপ করে দাড়িয়ে আছি কেউ কোনো কথা বলছে না।। নিরবতা ভেঙে আমিই বললাম,
আমিঃ এইভাবে চুপ করে আছ কেন কি যেন বলতে চাইছিলা বল।।
ইমাঃ দেখ কথাটা তুমি কীভাবে নিবা জানি না কিন্তু পরে আমায় ভুল ভাবতে পারবা না কথা দাউ।।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে কথা দিলাম এখন বল কি বলার জন্য এইখানে আনলা..?
ইমাঃ আসলে তামিম আমি তোমাকে ভালবাসি।। শুধু তাই নয় অনেক আগে থেকেই তোমায় ভালবেসে এসেছি।। কিন্তু এতদিন বলতে পারি নি আর তা ছাড়া বলার মতো একটা পরিস্থিতিও পাইনি।। মিম আপুর হাব সাব দেখে আমার কেমন যেন লাগছে তাই আগেই তোমাকে আমার ভালবাসার কথা বলে দিলাম।।
আমিঃ ইমার কথা শুনে তু অবাক, বলে কি মেয়ে আমাকে নাকি ভালবাসে😲।। দেখ ইমা তোমার সাথে এতদিন চলাফেরা করে এসেছি যা দেখে বুঝা গেছে তুমি একটা ভালো পরিবারের মেয়ে।। কিন্তু তুমি অনেক দেড়ি করে ফেলেছ।। কারণ আমি এখন বিবাহিত গতকাল আমার বিয়ে হয়েগেছে তাও মিমের সাথে।। উনি আমায় ভালবাসেন তাই দুই পরিবার মিলে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেন।।
ইমাঃ আমার কথা শুনে ইমা কান্নায় ভেঙে পরল কিছুই বলছে না।। মনে হয় খুব আঘাত পেয়েছে আমার কথায়, কিন্তু কিছুই করার নেই সবই পরিস্থিতির শিকার।। তুমিও কি মিম আপুকে আগে থেকেই ভালবাসতে😢..?
আমিঃ উনার জন্য আমার মনে তেমন কোনো ফিলিং নেই।। আর তা ছাড়া উনি আমার সিনিয়র উনাকে আমি এখনও মেনে নিতে পারছি না।।
ইমাঃ তার মানে তোমাকে মিম আপুর সাথে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে..?
আমিঃ হুম কিছুটা এই রকমই😞।।
ইমাঃ তাহলে চল আমরা দুজন পালিয়ে কোথাউ বিয়ে করে ফেলি।। বিশ্বাস কর আমি তোমাকে ভিষণ ভালবাসি তোমাকে আমি হারাতে চাইনা😭 (কথাগুলো বলেই আচমকা সে আমায় এসে জড়িয়ে ধরল)।।
আমিঃ মন চাচ্ছিল তাকে আপন করে নিতে কিন্তু পারছি না মিমের কারণে।। দেখ ইমা শত হোক আমি এখন বিবাহিত আমার ঘরেও একটা বউ আছে।। ঘরে বউ রেখে বাহিরের মেয়ের সাথে কীভাবে নষ্টামি করব বল (নিজেকে ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে)।।
ইমাঃ তুমি তু উনাকে মেনে নিবে না তাহলে আমাকে বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়..?
আমিঃ দেখ আমি এই ব্যাপারে আর কিছু বলতে চাইনা প্লিজ তুমি এইসব পাগলামি বাদ দাউ।। আর হে তুমি আমার চেয়ে আরও ভালো ছেলে পাবে আমার কথা মন থেকে বাদ দাউ।। আমি গেলাম ভালো থাক (বলে চলে আসতে যাব তখনই ইমা বলল)
ইমাঃ তোকে যখন ভালবেসেছি তাহলে তোকেই বিয়ে করব যাইহোক না কেন।। আমার কাউকে চাইনা শুধু তোকেই চাই আর আমি তোকে পেয়েই দেখাব এটা ইমা চৌধুরীর চেলেঞ্জ😤।।
আমিঃ ওর কথায় আর কান না দিয়ে বন্ধুদের কাছে চলে আসলাম।।
রহিমঃ কিরে ইমা তোকে কি কি বলল..?
আমিঃ আরে তেমন কিছু না এমনিই পড়াশোনার ব্যাপারে কিছু টিপস নিল।।
শুভঃ পড়াশোনার ব্যাপারে টিপস নিতে এতো সময় লাগে না।। আর আজ পর্যন্ত কেউ তোকে পড়াশোনার ব্যাপারে কিছু জিগ্যেসই করল না আর ও টিপস চেয়ে বসল।। সত্যি করে বল আমাদের ওর সাথে তোর কি কি কথা হয়েছে😡।।
আমিঃ বুঝেছি ধরা খেয়ে গেছি এখন সত্যি বলা না ছাড়া আর কোনো উপাই নেই।। আচ্ছা তাহলে শুন (তারপর তাদেরকে সব বলে দিলাম)।।
রহিমঃ কি বলিস ইমা তোকে ভালবাসে আর বিয়ে করার চেলেঞ্জও করেছে😲।।
শুভঃ তুই বলিস নাই যে তোর বিয়ে হয়েগেছে..?
আমিঃ আরে বলেছি তারপরও ও পাগল হয়ে আছে।।
রহিমঃ তাহলে এখন কি হবে..?
আমিঃ যা হবার হবে এইসব পরে দেখা যাবে এখন বাসায় চল ভালো লাগছে না।।
রহিমঃ আচ্ছা চল
তারপর সবাই যার যার বাসায় চলে আসলাম।। বাসায় এসে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে আছি এমন সময় মিম এসে খাবারের জন্য ডেকে গেল।। আমিও উঠে সোজা নিচে চলে আসলাম।। এসে একটা চেয়ার টেনে বসে পরলাম আর খেতে শুরু করলাম।। আমার সাথে মিমকেও আম্মু বসতে বললেন, মিমও এসে বসে পরল।। খাওয়া শেষ হলে আবার নিজের রুমে চলে আসলাম।।
রুমে এসে একটু ঘুমিয়ে পরলাম।। বিকালবেলা আবার ঘুম ভাঙল মিমের ডাকে।। ফোন হাতে নিয়ে দেখি ৬টা বেজে গেছে তাই তারাতাড়ি করে উঠে পরলাম।। এরপর ফ্রেশ হয়ে একটু পড়তে বসলাম।। অবশ্য পড়ার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু মিম রাগ দেখি পড়তে বসালো।। দেখতে দেখতে প্রায় রাত হয়ে গেল।। আম্মু এসে রাতের খাবারের জন্য ডাক দিয়ে গেলেন।। এরপর পড়া থেকে উঠে দুজনে খেতে চলে গেলাম।।
খাবার খাচ্ছি এমন সময় আব্বু বলে উঠলেন,,
আব্বুঃ তুমি এখন থেকে একটু আমাদের ফেক্টরিতে গিয়ে সময় দিও তু।।
আমিঃ আমার তু সকালবেলা ভার্সিটিতে যেতে হয় তাহলে সময় দিব কখন..?
আব্বুঃ ভার্সিটি থেকে এসে খাওয়া দাওয়া করে ফেক্টরিতে চলে আসবা।। আমি বাসায় এসে খাবারটা খেয়ে আবার ফেক্টরিতে চলে আসব তখন তুমি চলে আসবা বাসায়।।
আমিঃ আচ্ছা তাহলে আমি কাল থেকে যাব।।
আর কথা না বাড়িয়ে খাবারটা খেয়ে সোজা নিজের রুমে চলে আসলাম।। মিম কিছুক্ষণ আম্মুকে সবকিছু পরিষ্কার করায় হেল্প করে আবার রুমে চলে আসল।। এসে দেখে আমি মোবাইল টিপছি, কোনো কথা না বলে আমার পাশে এসে বসলো।।
মিমঃ কি হল ঘুমাবা না..?
আমিঃ হুম একটু পর তুমি ঘুমিয়ে পর (মোবাইলের দিকে তাকিয়ে)।।
মিমঃ না তুমি এক্ষুণি ঘুমাবা তাও আমার সাথে😤।।
আমিঃ জানি কথা বলে পারব না তাই মোবাইলটা রেখে একপাশ ফিরে শুয়ে পরলাম।।
কিন্তু চোখ লাগার কিছুক্ষণ পরেই কে যেন আমায় পিছন থেকে টান মেরে বসলো, আর আমার বুকের উপর শুয়ে পরল।। ওমা এ তু দেখছি মিম😲।।
আমিঃ এই কি করছ হে তুমি আমার উপর শুয়েছ কেন..?
মিমঃ এখন থেকে প্রতিদিন আমি তোমার বুকের উপরেই ঘুমাব।।
আমিঃ ঘুমাবে ভালো কথা কিন্তু আমার উপরেই কেন..? বালিশ আছে বালিশে ঘুমাউ গিয়ে।।
মিমঃ ওই এতো কথা বলিস কেন হে..? আমি বলছিনা তোর বুকের উপরে ঘুমাব তু ঘুমাবই।। এই নিয়ে যদি আর কথা বলিস তাহলে মেরে গাল লাল করে দিব।।
আমিঃ এই একটাই তু শুধু পার (বিরবির করে)।।
মিমঃ কি বললি তুই😡..?
আমিঃ এই রে শুনে ফেললো নাকি এখন আমার কি হবে😰।। না ইয়ে মানে বলছি কিছু করা লাগবে না তুমি ঘুমিয়ে পর।।
মিমঃ আর কিছু না বলে আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরল।।
আমিঃ ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম খেয়ালই নেই😪।।
সকালবেলা
ঘুম থেকে উঠে দেখি মিম এখনও আমায় জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।। ঘুমের মধ্যে তাকে দেখতে একদম মায়াবী লাগছে।। মন চাচ্ছে কপালে একটা ভালবাসার পরশ একে দেই, কিন্তু মিম যদি জেগে যায় তাহলে কি ভাববে।। নাহহ দেখে তু মনে হচ্ছে ঘুমের মধ্যে আছে তাই আমিও মিমের কপালে একটা ভালবাসার ছোঁয়া একে দিয়ে উঠে পরলাম।।
এরপর ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে নাস্তা করে আবার রুমে চলে এলাম।। রুমে এসে দেখি মিম আগের মতোই শুয়ে আছে তাই আর ডাক দিলাম না ঘুমাক ওর মতো।। তারপর রেডি হয়ে ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে গেলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।। প্রায় কিছুক্ষণ হাটার পর ভার্সিটি এসে পৌছলাম।। এসে দেখি আজ একটা হারামিও আসেনি।। কি আর করার একা একা কি আর থাকতে ভালো লাগে।। চুপচাপ ক্লাসে গিয়ে বসে পরলাম, কিছুক্ষণ পর স্যার এসে ক্লাস করাতে লাগলেম।।
একা একা ভালো লাগছে না তাই একটা ক্লাস করেই বের হয়ে আসলাম।। ক্লাস রুম থেকে বের হয়েই বাসার দিকে হাটা ধরলাম ।। ভার্সিটি থেকে অনেক দূরে এসে পরেছি একা একা রাস্তা দিয়ে হাটছি আর মোবাইল টিপছি।। এমন সময় হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন আমায় মাথায় সজোরে আঘাত করল।। হয়তো কোনো রড দিয়ে মেরেছে যার কারণে বেথায় সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই জ্ঞান হারালাম।।
যখন জ্ঞান ফিরল তখন আশেপাশে তাকিয়ে দেখি আমি একটা অন্ধকার রুমে আছি।। একটা চেয়ারের সাথে আমার হাত পা কেন যেন বেধে রেখেছে, যার কারণে একটুও নড়তে পারছি না।।
Wait for next....
Part | 007
Facebook Group | #Bangla_Story_143
No comments