গল্প | সিনিয়র মিস - পর্ব-০৭ | Senior Miss - Part-07

Writer | Tamim


আমিঃ আপু প্লিজ আমায় ছেড়ে দেন আমি এই বিয়ে করব না।। আমি আপনাকে ভালোবাসি না কেন আমার পিছনে লেগে আছেন😢..?


মিমঃ আর কিছু না বলেই আমার কাছে এসে আমায় ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন আর আমার উপর চড়ে বসলেন।। তারপর আমার মুখের কাছে উনার মুখ এনে বললেন, শুন আগেও বলেছি এখনও বলছি আমি তোকে ভালবাসি আর এখন তুই যদি আমায় ভাল নাই বাসিস কোনো সমস্যা নেই।। বিয়ের পর আমার সব ভালবাসা দিয়ে তোমায় নিজের করে নিব।।


আমিঃ একটা কথা বলে দেই সবকিছু জোর করে পেলেও ভালবাসাটা কিন্তু জোর করে পাওয়া যায়না।।


মিমঃ আমি জোর করেই নিব দেখি তুই কি করতে পারিস (বলেই আসতে আসতে ওর মুখ আমার মুখের দিকে এগুতে লাগল)।।


আমিঃ অবস্থা খারাপ হতে চলেছে ভেবে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।। কিন্তু অনেক সময় পার হয়ে গেলেও মিম আপুর কোনো নড়াচড়া পাচ্ছি না।। চোখ বন্ধ করে আর কতক্ষণ থাকব দেখি চোখ খুলে পরিস্থিতি কি।। চোখ খুলতেই দেখি মিম আপু আমার দিকে তাকিয়ে আছেন যা দেখে আমি ভিষণ লজ্জা পেলাম।।


মিমঃ এখন কিছু করব না সোনা সব বিয়ের পর করব একেবারে (বলেই আমার উপর থেকে নেমে গেলেন)।।


আমিঃ আমার চেয়ে আরও ভালো আর আপনার সমবয়সী একটা ছেলে দেখে বিয়ে করেন না কেন আমার পিছনেই লেগে আছেন😥।।


মিমঃ কারণ জীবনে আমি শুধু একজনকেই ভালোবেসেছি আর সেটা হলে তুমি।। বিয়ে করার হলে তোমাকেই করব অন্য কাউকে এইখানে আশা করা যায় না।।


আমিঃ আর কিছু বলতে যাব এর আগেই আম্মু এসে বাহির থেকে বলে গেলেন নিচে যাওয়ার জন্য।।


মিমঃ শুন নিচে গিয়ে ভুলেও বিয়েতে অমত প্রকাশ করবা না নাহলে কিন্তু এর পরিণতি খুব খারাপ হবে😈।।


আমিঃ কিছু বললাম না দরজা খুলে সোজা নিচে চলে এলাম।। আমার পিছন পিছন মিমও চলে আসল।। এরপর আব্বু আমায় উনার কাছে ডাকলেন, আমিও গিয়ে উনার পাশে দাড়ালাম।।


আব্বুঃ শুন তোমাকে না জানিয়ে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।। জানি না এখন তুমি আমায় নিয়ে কি ভাববা।। আমি তোমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি মিমের সাথে।। তোমাকে এই কথা আগেই জানানো উচিৎ ছিল যে আমি আর তোমার আংকেল (মিমের বাবা) দুজনেই ঠিক করে রেখেছিলাম বড় হলে তোমাদের বিয়ে দিব।। শুধু তাই নয় ২ দিন পর তোমাদের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।।


আমিঃ কিন্তু আব্বু এতো তারাতাড়ি বিয়ে করলে পড়াশোনায় ক্ষতি হতে পারে।। আর তা ছাড়াও এখনও আমার পড়াশোনা শেষ হয়নি।।


আব্বুঃ এতে কিছু হবে না বিয়ের পর মিম তোমাকে সবসময় পড়াবে।। এখন থেকে তোমার ফ্রেন্ডদের বিয়ের দাওয়াত দিতে চাইলে দিতে পার।।


আমিঃ কিন্তু আব্বু😥 (আমায় থামিয়ে)


আব্বুঃ কোনো কিন্তু নয় আমি যা বলছি তাই হবে।। আর মিম তোমার নামে অনেক কমপ্লেনও করেছে সেগুলো নাই বললাম।। এখন তুমি তোমার রুমে যাউ আমরা বিয়ের ব্যাপারে কথা বলছি।।


আমিঃ জানি আর কিছু বলে লাভ নেই তা ছাড়া আব্বুর মুখের উপর কথা বলার সাহসও আমার নেই।। তাই চুপচাপ নিজের রুমে চলে এলাম।। আসার সময় মিমের দিকে তাকাতেই সে আমায় চোখ টিপ মারল যা দেখে লজ্জায় থাকতে না পেরে রুমে চলে এলাম।।


রুমে এসে বিছানায় বসে শুধু আপসোস করছি কি থেকে কি হতে চলেছে আমার জীবনে।। অবশেষে কি না আমায় একটা সিনিয়র মেয়েকেই বিয়ে করতে হবে।। দুরর আব্বুও না উনার বন্ধুত্বের জন্য আমার সাথে এমন করতে পারলে😓।।


এইভাবে কেটে গেল সারাদিন বিকাল হলে প্রাইভেটে না গিয়ে সোজা বন্ধুদের আড্ডায় চলে আসলাম।। আমাকে দেখে সবাই অনেকটাই অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।।


আমিঃ কিরে এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেন আমি কি ভুত নাকি এলিয়েন😒..?


শুভঃ আরে তুই আজ হঠাৎ করে কীভাবে এইখানে আসলি।। অন্যদিন তু ফোন করেও আনা যায়না তা আজ কি মনে করে আসলি..?


আমিঃ এমনিতেই আসছি মন খারাপ তাই ভাবলাম তোদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে আসি।।


রহিমঃ কেন হঠাৎ মন খারাপ কেন কি হয়েছে বল তু আমাদের।।


আমিঃ তারপর তাদেরকে আজকের সবকিছু বললাম।।


রহিমঃ কি বলিস অবশেষে মিম আপুর সাথে তোর বিয়েও ঠিক হয়েগেছে😲..?


শুভঃ দোস্ত তারাতাড়ি ট্রিট দে আজ কিন্তু বাসা থেকে কিচ্ছু খেয়ে আসি নাই😁।।


আমিঃ চুপ কর বেটা আমি আছি আমার চিন্তায় আর তুই আসছিস ট্রিট নিতে😡।।


শুভঃ এইখানে চিন্তার কি আছে তোর বিয়ে হবে এটা তু খুশির খবর এই উছিলায় একটা ট্রিট দিবি না আমাদের😋।।


আমিঃ কিসের খুশির খবর হে আমি ওই মেয়েকে কিছুতেই বিয়ে করব না যাই হয়ে যাক না কেন😤।।


রহিমঃ কেন মিম আপুর মধ্যে কি এমন নেই যে তুই উনাকে বিয়ে করতে পারবি না..?


আমিঃ কারণ উনি আমার সিনিয়র আর আমি সিনিয়রদের নিয়ে এইসব কখনোই ভাবি নাই।।


রহিমঃ দেখ এই যুগে সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যেও প্রেম, ভালবাসা হয়ে থাকে তু বিয়ে করতে সমস্যা কি.? আর তা ছাড়া মিম আপু তোকে অনেক ভালবাসে তুই উনাকে বিয়ে করলে অনেক সুখি হতে পারবি জীবনে।।


আমিঃ বাদ, এইসব কথা আমার ভালো লাগছে না।। যা হবার পরে দেখা যাবে।।


শুভঃ রহিম কিন্তু ঠিক বলেছে পারলে ওর কথা একটু ভেবে দেখিস।।


আমিঃ কিছু বললাম না।।


এরপর ওদের সাথে আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর বাসায় চলে আসলাম।। বাসায় এসে রুমে গিয়ে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসলাম।। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় বসে আছি এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠল।। ফোন হাতে নিয়ে দেখি মিম আপু ফোন করেছেন।। এখন আবার কিসের জন্য ফোন করেছেন, ধরে দেখি নাহলে তু আবার রাগ দেখাবে।।


আমিঃ জি বলেন..? (ফোন ধরে)


মিমঃ আজ বিকালে প্রাইভেটে আসলা না কেন..?


আমিঃ না মানে একটু বন্ধুদের কাছে গিয়ে ছিলাম তাই আসতে পারি নি।।


মিমঃ ওকে সমস্যা নাই বিয়ের পরে তু আমার কথামতো চলতে হবে।। এই কয়দিন নাহয় নিজের মতো করেই চল।।


আমিঃ কিছু বললাম না


মিমঃ আচ্ছা এখন কি করছ..?


আমিঃ কিছু না এখন পড়তে বসব।।


মিমঃ আচ্ছা তাহলে পড় আমি ফোন রাখলাম (বলেই ফোন কেটে দিল)।।


আমিঃ কি মেয়েরে বাবা বিয়ের আগেই বলে ফেলেছে বিয়ের পর ওর কথামতো চলতে হবে।। না জানি বিয়ে করলে আমার কি অবস্থা করে😣।।


তারপর কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।। কারণ আজ ভিষণ মন খারাপ কিছুই ভালো লাগছে না।।


এইভাবে কেটে গেল কয়েকদিন, এই কয়দিনে মিম আপুর কাছে পড়তে যাইনি কারণ আম্মু না করেছেন।। একেবারে বিয়ের পর পড়ব বলে দিয়েছেন।। শুধু ভার্সিটিতে গেলেই মিম আপুর সাথে দেখা হয় আর উনি নিজ থেকেই এসে কথা বলেন।। এদিকে ইমাও এখন আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে।। আমার অনেক কাজে প্রায় সে হেল্প করে আমিও তাকে হেল্প করি।। এইভাবেই কাটছে আমার দিন কাল।।


আজ আমার বিয়ে মিমের সাথে।। অনেক চেষ্টা করেও বিয়েটা আটকাতে পারলাম না।। সকাল থেকে বাসায় লোকজন ভর্তি একটুও বসার জায়গা নেই কোথাউ।। এদিকে আমার বন্ধুরাও অনেক আগেই এসে গেছে আর আমায় নিয়ে বিয়ের খুশিতে মেতে উঠেছে।। কিন্তু আমার মনে বিয়ের জন্য একটুও ফিলিংস হচ্ছে না কারণ মিম আপুকে আমি কখনোই মেনে নিব না যাইহোক না কেন।।


একটু পর আম্মু রুমে এসে একটা শেরওয়ানি আমার হাতে দিয়ে পরতে বললেন।। ইচ্ছা না থাকা সত্তেও বন্ধুদের জোরাজুরিতে শেরওয়ানিটা পরতেই হলো।। এদিকে লোকজন যারা এসেছে কেউ আমার কাজিন কেউ বাবার বন্ধু এই সেই।। কিছুক্ষণের মধ্যে ডাক পর আমায় নিয়ে নিচে যেতে।। ভালো করে বিয়ের সাজে সেজে বন্ধুদের সাথে নিচে গেলাম।। গিয়ে দেখি সেইখানে কাজী বসে আছেন।। পাশেই মিমকে বসানো হয়েছে।। এরপর বন্ধুরা আমায় ধরে নিয়ে মিমের পাশে বসিয়ে দিল।।


কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করে দিলেন।। প্রথমে মিমকে কবুল বলতে বললেন, সাথে সাথে সে কবুল বলে ফেলল।। এরপর কাজী আমায় কবুল বলতে বলল,, আমি শুধু হাবার মতো একবার আম্মুর দিকে আরেকবার আব্বুর দিকে তাকাতে লাগলাম।। কারণ কবুল বলতে তখন কেমন যেন নার্ভাস ফিল হচ্ছে।। আমার এইভাবে তাকানো দেখে আব্বু ধমক দিয়ে বললেন, এইভাবে তাকিয়ে না থেকে তারাতাড়ি কবুল বল।।


ভয়ে ভয়ে কবুল বলে দিলাম, ব্যস হয়েগেল আমাদের বিয়ে।। মেহমানদের অনেক আগেই খাবার খাওয়ানো হয়েগেছে।। তাই বিয়ের পর সবাই আসতে আসতে চলে যেতে লাগলো।। এদিকে আমার কাজিনরা মিমকে নিয়ে আমার রুমে চলে আসল।। আর আমার বন্ধুরা আমায় নিয়ে ছাদে চলে আসল।।


রহিমঃ কিরে আজ তোর বিয়ে আর তুই এইভাবে মন মরা হয়ে বসে আছিস এটা কেমন দেখায়।।


শুভঃ হে কই আমাদের সাথে আড্ডা দিবি মজা করবি তা না তুই উলটা মন খারাপ হয়ে বসে আছিস।।


আমিঃ দেখ তোরা তু অবশ্যই জানিস আমার মন খারাপের কারণ।।


রহিমঃ হুম তা জানি, কিন্তু দোস্ত যা হয়েছে হয়েছে এখন তুই আবার নতুন করে জীবন শুরু কর।। আর তুই বলিস না মিম আপু তোকে শুধু শুধু মারে তাহলে সেটা ভুল কারণ ওই চড় মারার মধ্যেও এক ধরনের ভালবাসা আছে যেটা তুই বুঝতেছিস না পরে ঠিকই বুঝবি।।


আমিঃ দেখ উনি যদি আমার সিনিয়র না হতেন তাহলে মানা যেত।। তার উপর উনি আগে আমায় যেভাবে শাসাতেন না জানি এখন কি করবেন😞।।


শুভঃ মিম আপু তোকে বিনা কারণে মারতেন না তুই মেয়েদের সাথে কথা বলতি যা উনার একদম পছন্দ হতো না।। আর তা ছাড়া ভালবাসার মানুষকে যদি কেউ অন্য মেয়ের সাথে দেখে তাহলে তার মাথা গরম হওয়ারই কথা।।


আমিঃ আমি তু ইচ্ছা করে কোনো মেয়ের সাথে কখনো কথা বলি নাই।। তবুও উনি সবসময় আমায় মারতেন।। না আমি উনাকে কখনোই মেনে নিব না দেখিস।।


রহিমঃ দোস্ত উনি তোকে খুব ভালবাসে প্লিজ উনাকে কষ্ট দিস না।। আচ্ছা আমার একটা শুন, তুই উনাকে একটু পরিক্ষা করে দেখ উনি তোকে কতো ভালবাসেন।। যদি তোর পরিক্ষায় উনি পাস করেন তাহলে বুঝে নিবি আমরা যা যা বলেছি সব সত্য।।


আমিঃ আর যদি উনি ফেল করেন..?


শুভঃ করবেন না কারণ আমরা উনার মধ্যে তোর জন্য ভালবাসা দেখেছি।। আর যদি ফেল করেন তা পরে দেখা যাবে তুই আপাতত আমাদের কথা অনুযায়ী কাজ কর উনাকে ভালবাসার পরিক্ষা কর।।


আমিঃ তোরা আমার সত্যি কারের বন্ধু তোদের কথা ফেলব না ওকে ঠিক আছে আমি উনাকে পরিক্ষা করে দেখব উনার মনে আমার জন্য কতটুকু ভালবাসা আছে।।


রহিমঃ হুম দেখিস উনি তোর পরিক্ষায় পাস করবেনই।।


তারপর বন্ধুদের সাথে আসতে আসতে আড্ডায় মেতে উঠলাম।। অনেক্ষণ ধরে আড্ডা দেওয়ায় যে রাত হয়ে গেছে সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই।। হঠাৎ পিছিয়ে কারও আসার শব্দ শুনে ঘুরে তাকালাম।। দেখি আম্মু রাগি দৃষ্টিতে আমার দিকে এগিয়ে আসছেন।।


আম্মুঃ তোর কি কোনো কান্ড জ্ঞান নেই এতো রাত হয়েগেছে আর এখনও এইখানে দাড়িয়ে আছিস।। ঘরে যে বউমা একা একা বসে আছে সেটা কি তোর মাথা নেই😡।।


আমিঃ না মানে আসলে


আম্মুঃ চুপ একটা কথাও না এখনই তুই রুমে যাবি নাহলে আমি গিয়ে তোর আব্বুকে বলে দিব যে তুই এইখানে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছিস।।


আমিঃ এমন করছ কেন যাব তু একটু পরেই যাই😥।।


আম্মুঃ না আমি আর কিছু শুনতে চাইনা তুই এক্ষুণি ঘরে যা বলছি😡।।


রহিমঃ আন্টি আপনি যান আমরা ওকে নিয়ে আসছি।।


আম্মুঃ আচ্ছা বাবা তারাতাড়ি আস (বলেই আম্মু চলে গেলেন)।।


শুভঃ দোস্ত চল তোকে বাসর ঘরে দিয়ে আসি😁।।


আমিঃ ওই শালা আমি কি বাচ্চা নাকি যে তোকে আমায় দিয়ে আসতে হবে।। আমি একাই যেতে পারব থাক তোরা।।


শুভঃ ভাই বিড়ালটা পারলে আজকেই মেরে দিস😜।।


আমিঃ এতো রাতে বিড়াল পাব কই😧..?


রহিমঃ তা রুমে গেলেই বুঝবি এখন রুমে যা তু।।


আমিঃ আচ্ছা আমি গেলাম তোরা খেয়ে দেয়ে বাসায় যাস।।


তারপর ছাদ থেকে নেমে সোজা নিজের রুমের কাছে চলে আসলাম।। নিজের রুম অথচ আজ কেন যেন এই রুমে যেতেই নার্ভাস ফিল হচ্ছে।। তবুও মনে একটু সাহস নিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম।। ভিতরে ঢুকে দেখি মিম বউ সেজে বিছানায় বসে আছে (শত হোক এখন আমার বিয়ে করা বউ মানি বা না মানি আপু তু বলা যাবে না তাই নাম ডেকেই বললাম)।।


আমি ধীর পায়ে মিমের কাছে যেতেই উনি উঠে এসে আমার পা ধরে সালাম করতে যাবেন তার আগেই আমি আমার পা সরিয়ে নিলাম।।


আমিঃ দেখেন আমি আপনাকে আগেও বলেছি এখনও বলছি আমি আপনাকে ভালবাসি না আর কখনো বাসবও না।। তাই আমার পক্ষে আপনাকে স্বামীর অধিকার দেওয়া সম্ভব নয় (এক দমে বলে ফেললাম)।।


এ কথা বলার সাথে সাথেই মিম আমার কলার চেপে ধরল আর বলতে লাগলো,, 

মিমঃ তোকে যেহেতু ভালবাসি তাহলে তোকে নিজের করেই নিব।। হয় ভালবাসা দিয়ে নাহয় জোর করে😡 (বলেই ওর ঠোঁট দিয়ে আমার ঠোঁটগুলো এক করে দিল)।।


আমিঃ অনেক্ষণ ধরে এইভাবে আছি কিন্তু কিছুতেই মিমের সাথে পেরে উঠতে পারছি না।। ওর শরীরের সব শক্তি দিয়ে আমায় ঝাপটে ধরে আছে তার কারণে একটুও নড়তে পারছি না।। এদিকে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে কারণ একটুও শ্বাস নিতে পারছি না যেভাবে ধরে রেখেছে।। অনেক চেষ্টা করার পর নিজেকে মিমের কাছ থেকে ছাড়িয়ে ঠাসস করে একটা বসিয়ে দিলাম মিমের গালে।।


আমার চড় খেয়ে মিম গিয়ে বিছানার উপর পরল।। আমার কাছ থেকে হয়তো এমন কিছু সে আশা করেনি।। ছল ছল চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে সে কিছুই বলছে না।।


আমিঃ কি পেয়েছেন আপনি হে যখন তখন আমায় কিস করে বসবেন আর আমি কিছুই বলব না।। শেষবারের মতো বলে দিচ্ছি আমার উপর কখনো জোর খাটাতে আসবেন না কারণ আমি আপনাকে কখনোই নেমে নিব না😤।।


মিমঃ...


Wait for next....


Story | #Senior_Miss
Part | 007
Facebook Group |  Bangla Story 143
Facebook Page | Bangla Story 143

No comments

Powered by Blogger.