গল্প | সিনিয়র মিস - পর্ব-০৫ | Senior Miss - Part-05

Writer | Tamim


মিমঃ তোর সাহস হলো কীভাবে আমি নিষেধ করার পরও আবার ওই মেয়েটার সাথে কথা বলার😠 (রাগে আমার কলার চেপে ধরে)।।


আমিঃ কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর রাগ চরম পর্যায়ে উঠে গেল আর থাকতে পারলাম না।। ঠাসস করে একটা চড় বসিয়ে দিলাম মিম আপুর গালে।।


চড় খেয়ে মিম আপু অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।। হয়তো ভাবছেন আমি কীভাবে উনাকে চড় মারলাম।। এদিকে আমিও চড় দিয়ে কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম আমি কি ভুলটাই না করেছি।। জানি না মিম আপু আমার এখন কি অবস্থা করবেন।। কিন্তু কি করব আমার এতো দামের মোবাইলটা চোখের সামনে এইভাবে ভেঙে গেল রাগ করার তু কথাই।। আর ওইখানে না থেকে ব্যাগটা ঘুছিয়ে সোজা মিম আপুদের বাসা থেকে আমাদের বাসায় চলে আসলাম।।


বাসায় এসে ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে বিছানায় বসে পরলাম।। অল্প সময়ের মধ্যেই কি থেকে কি হয়েগেল।। আজ খুব কষ্ট হচ্ছে আমার এতো স্বাদের মোবাইলটা এইভাবে আমারই চোখের সামনে ভেঙে পরল।। এখন আমি কি দিয়ে চলব কি নিয়ে থাকব😓।।


এইভাবে দেখতে দেখতে খাবারের সময় হয়ে এলো।। আম্মু এসে খাবারের জন্য ডাক দিয়ে গেলেও আমি খাব না বলে দিলাম।। না খাওয়ার কারণ কি কেন খাব না ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন করলেও সেগুলোর উত্তর দিলাম না শুধু বললাম ভালো লাগছে না তাই খাব না।। আম্মুও আর কিছু না বলে চলে গেলেন।। মোবাইল নেই জেগে থেকেও লাভ নেই তাই ঘুমিয়ে পরলাম।।


সকালবেলা 

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ভার্সিটিতে চলে এলাম।। এসে দেখি আমার সব বন্ধুরা বাহিরে বসে আড্ডা দিচ্ছে।। মোবাইলের জন্য এখনও মন খারাপ তাই আমিও গিয়ে ওদের সাথে যোগ হলাম।।


রহিমঃ কিরে তোকে গতকাল রাতে এতো ফোন করলাম ধরলি না কেন..?


আমিঃ ফোন থাকলে না ধরব।।


রহিমঃ মানে..?


আমিঃ তারপর ওদের সবাইকে গতকালের ঘটনা খুলে বললাম।। আমার কথা শুনে মনে হচ্ছে ওরা কোনো অস্বাভাবিক কথা শুনেছে যেভাবে চেয়ে আছে।।


শুভঃ বলিস কি ইমার সাথে কথা বলার কারণে মিম আপু তোর ফোন ভেঙে দিয়েছে।। আর তুই এর জন্য উনাকে চড় বসিয়ে দিলি😲।।


আমিঃ তোর ফোন ভাঙলে বুঝতে পারতি তখন আমার কি কষ্ট লেগেছিল😓।।


রহিমঃ দোস্ত একটা বিষয় তুই খেয়াল করেছিস।। মিম আপু তোকে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে দেন না।। আর গতকাল ইমার সাথে কথা বলার কারণে তোর ফোন ভেঙে দিলেন।। মানে বুঝেছিস কিছু..?


আমিঃ কি বুঝব তুই বল শুনি


শুভঃ আরে এটার মানে হলো মিম আপু তোকে ভালবাসে।।


আমিঃ ভালবাসে না ছাই আর উনি আমার সিনিয়র আমাদের মধ্যে এইসব কিছু হয় কি করে।। আর তোরা তু জানিসই আমি এইসব প্রেম ভালবাসা একদম পছন্দ করি না।।


রহিমঃ আরে এখন সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যেও প্রেম ভালবাসা হয় জানিস।। আর মিম আপু তোকে যেভাবে শাসন করে এর মধ্যে বুঝাই যায় উনি তোকে কতটা ভালবাসেন।।


আমিঃ বাদ দে তু এইসব কথা চল ক্লাসে যাই ভালো লাগছে না।।


রহিমঃ আচ্ছা ঠিক আছে চল।।


এরপর সবাই মিলে ক্লাসে চলে আসলাম।। এর কিছুক্ষণ পর স্যারও ক্লাসে চলে আসলেন আর ক্লাস করাতে লাগলেন।। দেখতে দেখতে সব ক্লাস শেষ করে সবাই মিলে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে আসলাম।। বাহিরে এসে বন্ধুদের সাথে কথা বলছি এমন সময় সামনে তাকিয়ে দেখি মিম আপু উনার বন্ধুদের সাথে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন।। এখন যদি উনার সামনে দিয়ে যাই তাহলে নিশ্চয় কিছু একটা হতে পারে।। তাই ওরা যেভাবে আমাদের না দেখে সেইদিকে হাটা ধরলাম।। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারলাম না এর আগেই পিছন থেকে মিম আপু ডাক দিলেন।। বন্ধুদের সাথে নিয়ে ওদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম।।


আমিঃ জি আপু আমায় ডাকছেন..?


মিমঃ হুম তোর সাথে একটু দরকার আছে তোর বন্ধুদের আগে যেতে বল।।


আমিঃ কেন ওরা কেন যাবে ওরা থাকলে সমস্যা কি..?


মিমঃ বলছি না ওদের যেতে বলতে😡 (রাগ দেখিয়ে)।।


রহিমঃ দোস্ত সমস্যা নেই তুই থাক আমরা গেলাম (বলেই সবাই চলে গেল)।।


আমিঃ ওরা তু চলে গেছে এখন বলেন আমায় দিয়ে আপনার কি দরকার..?


মিমঃ তোকে এখন আমার সাথে একটু মার্কেটে যেতে হবে।।


আমিঃ সরি আমি পারব না আপনার সাথে যেতে আমার অন্য কাজ আছে।।


মিমঃ ওইই এতো কথা বলিস কেন যেতে বলছি যাবি নাহলে মেরে হাত পা ভেঙে দিব।। এমনিতেই গতকাল চড় মেরেছিস কিছু বলি নি তার উপর আজকে আবার আমার মুখের উপর মানা করিস😡।।


আমিঃ কিছু না বলে শুধু মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।।


মিমঃ চল আমার সাথে (বলেই আমার হাত ধরে ভার্সিটির বাহিরে নিয়ে আসল)।।


বাহিরে এসে একটা রিক্সা ডেকে নিজে উঠে আমায়ও উঠতে বলল।। আমিও আর কথা না বাড়িয়ে উঠে পরলাম।। কিছুক্ষণ রিক্সায় বসে থাকার পর রিক্সা এসে একটা মার্কেটের সামনে থামলো।। দুজন নেমে গিয়ে রিক্সা ভাড়া মিটিয়ে মার্কেটের ভিতর ঢুকে পরলাম।। এরপর মিম আপু আমায় নিয়ে একটা মোবাইলের দোকানে নিয়ে আসলেন।।


মিমঃ দেখতু এইখানে কোনটা তোর পছন্দ হয়।।


আমিঃ আমার পছন্দ দিয়ে কি হবে আর কার জন্য ফোন নিবেন..?


মিমঃ আমার একটা ফ্রেন্ডকে গিফট করব এখন একটা ভালো দেখে ফোন চয়েজ করে দে তু।।


আমিঃ জানি পছন্দ করে না দিলে হবে না তাই ভালো দেখে একটা ফোন দেখিয়ে বললাম, এইটা নেন খুব ভালো হবে।।


মিমঃ আচ্ছা এইটা প্যাকেট করে দিয়ে দেন তু (দোকানদার কে বলল)।।


দোকানদারও উনার কথামতো মোবাইলটা প্যাক করে দিল।। তারপর টাকা দিয়ে মোবাইলটা নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে আসলাম।। বের হয়ে একটা রিক্সা নিয়ে দুজন বাসায় চলে আসলাম।।


মিমঃ শুন এখন বাসায় যা আর খেয়ে দেয়ে বিকালে চুপচাপ পড়তে চলে আসবি।।


আমিঃ মাথা নাড়িয়ে বাসায় ঢুকে পরলাম।। বাসায় এসে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।। তারপর খেয়ে দেয়ে একটু রেস্ট নিলাম।।


দেখতে দেখতে বিকাল হয়েগেল, জানি পড়তে না গেলে বাসায় এসে নিয়ে যাবে তাই ব্যাগ ঘুছিয়ে মিম আপুদের বাসায় চলে আসলাম।। দরজার কাছে এসে কলিং বেল চাপ দিতেই কাজের মেয়েটা দরজা খুলে দিল।। এরপর সোজা মিম আপুর রুমে চলে আসলাম।।


মিমঃ এসেছিস দাড়া আমি আসছি তুই একটু বস (বলেই রুম থেকে বের হয়েগেল)


আমিঃ একটা চেয়ার টেনে বসে পরলাম টেবিলের পাশে।।


কিছুক্ষণ পর মিম আপু হাতে একটা বক্স নিয়ে রুমে ঢুকলেন আর আমার পাশে এসে বসলেন।।


মিমঃ নে ধর এইটা তোর জন্য (বক্সটা এগিয়ে দিয়ে)।।


আমিঃ কি আছে এতে..?


মিমঃ খুলেই দেখনা


আমিঃ উনার কথামতো বক্সটা খুলে দেখলাম একটা ফোন যেটা মার্কেটে গিয়ে উনার সাথে কিনে এনেছিলাম।। এটা তু ফোন কিন্তু আমায় দিচ্ছেন কেন..?


মিমঃ কাল যে তোর ফোন ভেঙেছিলাম সেটা ফেরত দিলাম।।


আমিঃ সরি আমি আপনার কোনো জিনিস নিতে পারব না।। আপনার জিনিস আপনিই রাখেন।।


মিমঃ ওইই চুপ একদম মুখের উপর কথা বলবি না।। তোকে ভালবাসি বলে তোর সব অপরাধ মাফ করে দেই এমনকি কালকে চড় দেওয়ার পরও কিছু বলি নি কারণ আমি তোকে ভালবাসি।। এখন চুপচাপ এই ফোনটা নে আর এই নে নতুন সিম এইটা মোবাইলে লাগিয়ে দে যাতে কেউ তোর নাম্বার না পায়।। আর ভুলেও কোনো মেয়েকে তোর নাম্বার দিবি না নাহলে তোর কি যে অবস্থা করব নিজেই জানি না (আমার মুখ চেপে ধরে কথাগুলো বলল)।।


আমিঃ আপু লাগতে তালুন😖 (মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না যেভাবে ধরে রেখেছে)।।


মিমঃ কথাগুলো যাতে মনে থাকে এখন বই বের কর (মুখ ছেড়ে দিয়ে)।।


আমিঃ কি আর করব যেভাবে রেগে আছে কিছু বললেই মারতে পারে তাই আর কিছু না বলে মোবাইলটা নিয়ে নিলাম।। এরপর বই বের করে মিম আপুর কাছে দিলাম।।


এইভাবে কিছুক্ষণ পড়ানোর পর মিম আপু আমায় চলে যেতে বললেন।। আমিও উনার কথামতো ব্যাগ ঘুছিয়ে বাসায় চলে আসলাম।। বাসায় এসে রুমে গিয়েই ব্যাগ থেকে মোবাইলটা বের করে মিম আপুর দেওয়া সিম ফোনে ঢুকিয়ে মোবাইলটা অন করলাম।। এরপর আগের সিমের সব নাম্বার এইটাতে এড করলাম।। এইভাবে আরও অনেক কাজ করে মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে নিচে খেতে চলে গেলাম।।


খেয়ে দেয়ে আবার নিজের রুমে চলে এলাম।। রুমে এসে ফেবুতে ঢুকে বন্ধুদের সাথে একটু কথা বলতে লাগলাম।। সবাই জিজ্ঞেস করছে মোবাইল পেলাম কই আমি বলেছি কাল ভার্সিটিতে আসলে বলল।। এইভাবে ওদের সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলার পর যেই না ফেবুতে থেকে বের হতে যাব তখনই মিম আপুর আইডি থেকে একটা মেসেজ আসল (আপনাদের তু বলাই হয়নি মিম আপুর সাথে আমি অনেক আগে থেকেই এড আছি তাই উনার আইডি চিনতে কোনো ভুল হলো না)।।


মিমঃ ওই রাতে খাওয়া দাওয়া হইছে..?


আমিঃ জি আপনার..?


মিমঃ হুম তু এখন কি করছিস..?


আমিঃ এইতু বসে আছি আপনি..?


মিমঃ শুয়ে আছি, আচ্ছা তোর আইডির পাস দে তু।।


আমিঃ কেন আমি কেন আমার আইডির পাস আপনাকে দিব..?


মিমঃ তোকে দিতে বলছি দে এতো কথা বলিস কেন😡..?


আমিঃ কিন্তু পাস নিয়ে কি করবেন সেটা তু বলবেন নাকি।।


মিমঃ এখন যদি পাস না দিস তাহলে কাল ভার্সিটিতে তোকে মজা বুঝাব👿।।


আমিঃ এই না এমন করেন কেন দিচ্ছি তু এই নেন পাস (*******)।। আর নাম্বার আমার ওই সিমের😓 (কেমন রাগি মেয়ে জানেনই তু বলা যায়না কাল ভার্সিটিতে গেলে সত্যি অবস্থা খারাপ করতে পারে তাই দিয়ে দিলাম)।।


মিমঃ এইতু গুড বয় এখন চুপচাপ ঘুমিয়ে পর আর সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠিস।।।


আমিঃ আমার এখন ঘুম আসছে না পরে ঘুমাব।।


মিমঃ তোকে যেটা বলেছি সেটা কর চুপচাপ ফেবু থেকে বের হয়ে ঘুমা বলছি😤।।


আমিঃ যাচ্ছি যাচ্ছি এতো রাগ দেখাতে হবে না।।


মিমঃ ওইই আমি রাগ দেখাই হে দাড়া কাল তোকে মজা বুঝাব।।


আমিঃ সরি সরি আপু আমার ভুল হয়েছে প্লিজ মাফ করে দেন।।


মিমঃ কুত্তা তুই আবার আমায় আপু বলছিস দাড়া কাল ভার্সিটিতে তোকে একবার কাছে পাই বুঝাব মজা।।


আমিঃ আমার ভুল হয়েগেছে আর এমন হবে না সত্যি😥।।


মিমঃ চুপচাপ ঘুমা গিয়ে যা।।


আমিঃ হুম যাচ্ছি (বলেই ফেবু থেকে বের হয়ে আসলাম)।।


তারপর মোবাইলটা একপাশে রেখে দিলাম এক ঘুম।। না জানি কাল সকাল আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে আল্লাহ বাচিঁয়ে রেখ এই গুন্ডির হাত থেকে।।


সকালবেলা 

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ভার্সিটিতে চলে এলাম।। এসে দেখি আমার সব বন্ধুরা বাহিরে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে।। আমিও গিয়ে ওদের সাথে যোগ হলাম।।


শুভঃ কিরে তোর না ফোন ভেঙে গেছে তাহলে কাল ফেবুতে আসলি কি করে..?


রহিমঃ হে আর তুই বললি যে আরেকটা ফোন পেয়েছিস সেটা কে দিল..?


আমিঃ আরে থাম বলছি এতো প্রশ্ন একসাথে করছিস তাহলে কোনটার উত্তর দিব।।


শুভঃ আচ্ছা ঠিক আছে বল


আমিঃ শুন তাহলে (তারপর ওদের গতকালের ঘটনা বললাম)।।


শুভঃ কি মেয়েরে বাবা নিজেই ফোন ভাঙে আবার নিজেই ফোন কিনে দেয়।।


রহিমঃ দেখেছিস মিম আপু তোকে সত্যি ভালবাসে তাই ফোন ভাঙার পরও আরেকটা ফোন কিনে দিয়েছে।।


আমিঃ ওইই এইসব কথা বাদ দে তু ভালো লাগে না আমার।।


রহিমঃ আচ্ছা আর বলব না রাগ করিস না।।


এরপর বন্ধুদের সাথে আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ক্লাসে চলে আসলাম।। কিছুক্ষণের মধ্যে স্যারও ক্লাসে চলে আসলেন আর ক্লাস করাতে লাগলেন।। একে একে সব ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে বের হয়ে আসলাম।। ভার্সিটির ভিতর বন্ধুদের নিয়ে হাটছি এমন সময় পিছন থেকে কে যেন ডাক দিল।। তাকিয়ে দেখি ইমা পিছন থেকে ডাকছে।।


ইমাঃ কি হলো ডাকছি যে শুনতে পাউনা..?


আমিঃ সরি আসলে শুনতে পাইনি আচ্ছা বল কেন ডাকছ..?


ইমাঃ তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে ওইদিকে একটু চল (বলেই আমার হাত ধরে ভার্সিটির পিছনে নিয়ে আসল)।।


আমিঃ কি এমন কথা আছে যে এইখানে আনলা..?


ইমাঃ আগে বল কালকে আমার ফোন ধরলা না কেন..?


আমিঃ ওহহ এই কথা আসলে আমার ফোন নষ্ট হয়েগেছে।। এখন তুমিই বল কীভাবে ফোন ধরব..? (মিথ্যা বললাম নাহলে অযথা প্রশ্ন করবে)


ইমাঃ ওহহ কিন্তু গতকাল তুমি মিম আপুর সাথে কোথায় গিয়েছিলে..?


আমিঃ এই রে মনে হয় ইমা গতকাল দেখেছে যে আমি মিম আপুর সাথে গিয়েছিলাম।। এখন একে কি বলি আমি।। আসলে উনার কিছু কেনাকাটা করার ছিল তাই আমায় জোর করে নিয়ে গেছেন।।


ইমাঃ আমারও তু কিছু কেনাকাটা করার ছিল তাহলে আমার সাথে না গিয়ে উনার সাথে গেলে কেন..? (অভিমানের শুরে)


আমিঃ কি করব বল উনি জোর করে নিয়ে গেছেন তাই যেতেই হল।। আচ্ছা আমি কাল তোমার সাথে যাব মার্কেটে হবে তু নাকি..?


ইমাঃ হুম হবে😊 (খুশি হয়ে)।।


আমিঃ আচ্ছা তাহলে এখন চল বাসায় যাই।।


ইমাঃ হুম চল


আমিঃ এরপর ইমাকে নিয়ে চলে আসতে যাব তখনই সামনে তাকিয়ে যাকে দেখলাম তাকে দেখার পর ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেল।। এ এইখানে কি করছে, তার মানে এতক্ষণ ধরে ও আমাদের সব কথা শুনে ফেলেছে😰।।


Wait for next....

Story | #Senior_Miss
Part | 005
Facebook Group |  Bangla Story 143

No comments

Powered by Blogger.