গল্প | সিনিয়র মিস - পর্ব-০৬ | Senior Miss - Part-06
Writer | Tamim
আমিঃ আচ্ছা তাহলে এখন চল বাসায় যাই।।
ইমাঃ হুম চল
আমিঃ এরপর ইমাকে নিয়ে চলে আসতে যাব তখনই সামনে তাকিয়ে যাকে দেখলাম তাকে দেখার পর ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেল।। এ এইখানে কি করছে, তার মানে এতক্ষণ ধরে ও আমাদের সব কথা শুনে ফেলেছে😰।।
কারণ সামনে যে দাড়িয়ে আছে সে আর কেউ না মিম আপু।। মিম আপু আমাদের দুজনকে একসাথে দেখে রাগি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। মনে হচ্ছে এখনই এসে গালে কয়েকটা চড় বসিয়ে দিবেন।। কিন্তু না মিম আপু তা না করে রাগে কান্না করতে করতে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে গেলেন।। আমি তু পুরাই অবাক উনার এমন কান্ড দেখে যে কি না আমায় কোনো মেয়ের সাথে দেখলে চড় না মেরে শান্তি হয়না সেই কি না আজ এইভাবে কান্না করতে করতে চলে গেল।।
আমার মতো হয়তো ইমাও কিছুটা অবাক হয়েছে মিম আপুর এমন রিয়েকশনে।।
ইমাঃ এই মিম আপু আমাদেরকে দেখে এইভাবে কান্না করতে করতে চলে গেলেন কেন..?
আমিঃ কি জানি
ইমাঃ আচ্ছা বাদ দাউ এখন বাই আমি বাসায় গেলাম তুমিও যাউ।।
আমিঃ হুম বাই
ইমা চলে যাওয়ার পর আমি বাসায় চলে আসলাম।। বাসায় এসে রুমে গিয়েই ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর খেয়ে দেয়ে একটু ঘুমিয়ে পরলাম।।
এদিকে মিম আপু বাসায় গিয়ে আব্বু আম্মু বলে চিৎকার করতে লাগল।। মেয়ের চিৎকার শুনে মা-বাবা দুজনেই রুম থেকে বের হয়ে আসলেন।।
মিমের বাবাঃ কিরে মামনি কি হয়েছে এইভাবে চিৎকার করছ কেন..?
মিমের মাঃ হে আর এইভাবে কান্না করছিস কেন কেউ কি তোকে কিছু বলেছে..?
মিমঃ আমি তোমাদের কাছে আজ একটা জিনিস চাইব দিবা..?
মিমের বাবাঃ এইভাবে বলছ কেন মামনি ছোটবেলা থেকে আজ পর্যন্ত তুমি যা যা চেয়েছ আমরা তোমায় সব দিয়েছি।। বল আজ তোমার কি লাগবে যেকোনো মতে সেটা তোমায় এনে দিব।।
মিমঃ তাহলে কথা দাউ আমি এখন যেটা চাইব আমায় সেটাই দিবা।।
মিমের বাবাঃ আচ্ছা কথা দিলাম এখন বল তুমি কি চাউ..?
মিমঃ আমি আজকেই তামিমকে বিয়ে করতে চাই (স্বাভাবিক ভাবে)।।
মিমের মাঃ এইটা কি বলছিস মা হঠাৎ এইসব কথা কেন বলছিস..?
মিমঃ আমি এতোকিছু শুনতে চাইনা এখন বল আমাদের বিয়ে দিবা কি না।। যদি তামিমের সাথে আমায় বিয়ে না দাউ তাহলে কিন্তু আমি সুইসাইট করব বলে দিলাম😤।।
মিমের বাবাঃ মামনি কি হয়েছে আব্বুকে একটু বল তু।। এইভাবে আজ হুট করে বিয়ের কথা বলছ কেন..?
মিমঃ আর থাকতে পারল না তার আব্বুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল আর বলতে লাগল,, আব্বু তামিম আমার সামনে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে, আড্ডা দেয়।। আমি নিষেধ করার পরও আজ একটা মেয়ের সাথে কথা বলেছে যা দেখে আমার খুব কষ্ট লাগে।। ও একদম আমার কথা শুনে না আমার এখন ভিষণ ভয় করছে যদি ওকে হারিয়ে ফেলি।। আব্বু আমি ওকে হারাতে চাইনা প্লিজ তুমি কিছু একটা কর প্লিজ😭 (কেঁদে কেঁদে বলল কথাগুলো)।।
মিমের বাবাঃ এইভাবে কাঁদে না মামনি আর তামিম হয়তো ওদের ওর বন্ধু মনে করে কথা বলে অথবা কোনো প্রযোজনে কথা বলে (মেয়েকে শান্তনা দিয়ে)।।
মিমঃ না ও কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবে না প্রয়োজন হলেও না, শুধু আমার সাথে কথা বলবে😭।।
মিমের মাঃ শুন পাগলি মেয়ের কথা ওর ক্লাসমিটের সাথে তু প্রয়োজনে কথা বলতেই পারে এইখানে কেন তোর সাথে কথা বলবে..?
মিমঃ বললাম না ও কারও সাথে কথা বলতে পারবে না শুধু আমার সাথে বলবে।। এখন বল ওর সাথে আমার বিয়ে দিবা কি না..?
মিমের বাবাঃ আরে কি বলছ এইসব এখনও তু তোমাদের পড়াশোনাই শেষ হয়নাই।। এখন বিয়ে করলে তু দুজনেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে, আর (উনাকে থামিয়ে)
মিমঃ বললাম না আমি এতো কথা শুনতে চাইনা।। তোমরা আমায় ওর সাথে বিয়ে দিবা কি না সেটা বল হ্যাঁ অথবা না কোনটা..? নাহলে কিন্তু আমি এখনই ছুরি দিয়ে হাত কেটে ফেলল😤 (একটা ছুরি হাতে লাগিয়ে)।।
মিমের বাবাঃ মামনি এমন করে না আমার একটা কথা শুন আগে....
মিমঃ না আমি কিছু শুনব না হ্যাঁ অথবা না যেকোনো একটা বল নাহলে এখনই ছুরি হাতে চালিয়ে দিব (চিৎকার করে)।।
মিমের মাঃ ওগু হ্যাঁ বলে দাউ আমার একটা মাত্র মেয়ে ওর কিছু হলে আমি বাঁচব কি করে (উনিও কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন)।।
মিমের বাবাঃ পরিস্থিতি খারাপ দেখে হ্যাঁ বলেই দিলেন।।
মিমঃ সাথে সাথে ছুরিটা ফেলে দিয়ে খুশিতে বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরল।। লাউ ইউ আব্বু তুমি অনেক ভালো😘।।
মিমের বাবাঃ হয়েছে আর বলতে হবে না কাল আমরা তামিমদের বাসায় যাব আর তোমাদের বিয়ের কথা পাকা করে আসব।।
মিমঃ আচ্ছা (লজ্জা পেয়ে)
মিমের মাঃ আর লজ্জা পেতে হবে না এখন আয় কিছু খেয়ে নে সারাদিন ধরে তু কিছুই খাস নি।।
এরপর মিমের আম্মু মিমকে খাবার খাইয়ে দিয়ে সব পরিষ্কার করে ঘরে চলে গেলেন।। মিমও খাবার খেয়ে নিজের রুমে এসে সেই খুশি আর খুশিতে হালকা নাচানাচিও করছে।। কারণ তার এতোদিনের ইচ্ছা আজ পূরণ হতে চলেছে।। তামিমকে সে একেবারে নিজের করে পেতে চলেছে।।
(ওহ হে আপনারা হয়তো এখন ভাবছেন যে মিমের এমন আজব কথা শুনেও কেন ওর আব্বু ওকে কিছু বলেননি উলটা বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলেন।। আসলে মিমের বাবা আর তামিমের বাবা অনেক আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন যে তাদের ছেলে মেয়ে বড় হলে একে অন্যের সাথে বিয়ে দিবেন।। যাতে তাদের বন্ধুত্বটা আরও মজবুত থাকে সারাজীবন।। এই কথা মিম অনেক আগে থেকেই জানে, আর যেদিন থেকে জেনেছে সেইদিন থেকেই তামিমকে আসতে আসতে ভালবাসতে শুরু করেছে।। কিন্তু এদিকে তামিম এইসবের কিছুই জানে না, তাই মিমের প্রতি ওর কোনো ফিলিং নেই)।।
এখন গল্পে আসা যাক,,
এদিকে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি বিকাল হয়েগেছে আর প্রাইভেটের টাইমও হয়েগেছে।। আজ প্রাইভেটে গেলে না জানি মিম আপু আমার কি অবস্থা করেন।। আবার না গেলেও তু হবে না আম্মু এসে কতো প্রশ্ন করবে।। দুরর এতো না ভেবে চলেই যাই পরে যা হবার হবে।। এরপর হাত মুখ ধুয়ে ব্যাগ নিয়ে চলে আসলাম মিম আপুদের বাসায়।। বাহির থেকে কলিং বেল চাপ দিতেই আন্টি এসে দরজা খুলে দিলেন।।
আন্টিঃ আরে তামিম বাবাজি যে কেমন আছ..?
আমিঃ জি আন্টি ভালো আছি আপনি..?
আন্টিঃ হুম ভালো যাউ মিম ওর রুমেই আছে দেখ গিয়ে (বলেই আন্টি চলে গেলেন)।।
আমিঃ আর দাড়িয়ে না থেকে সোজা মিম আপুর রুমে চলে আসলাম।। এসে দেখি উনি টেবিলে বসে বসে কি যেন ভাবছেন আর মুচকি মুচকি হাসছেন।। আমিও ধীরে ধীরে উনার পাশে গিয়ে দাড়ালাম।। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে উনি আমার দিকে তাকালেন।।
মিমঃ তুমি এসেছ আস এইখানে বস।।
আমিঃ চুপচাপ বসে পরলাম।। বুঝলাম না উনার আজ কি হল ভার্সিটিতে রাগে কান্না করে চলে আসলেন আর এইখানে এসে তুমি করে কি সুন্দরভাবে কথা বলছেন।। কিছুই তু বুঝতেছিনা উনার হাব সাব।।
মিমঃ কি হল চুপ করে আছ কেন..? (হালকা ধাক্কা দিয়ে)
আমিঃ হ্যাঁ না মানে বলছিলাম আজ আপনাকে এতো খুশি খুশি লাগছে কেন..?
মিমঃ কারণ আমার এতোদিনের ইচ্ছা কাল পূরণ হতে চলেছে😊।।
আমিঃ কি এমন ইচ্ছা যে কাল পূরণ হবে..? (হালকা অবাক হয়ে)
মিমঃ আছে তা এখন বলা যাবে না কাল সময় হলেই দেখতে পারবা (তোমাকে তু কাল সারপ্রাইজ দিব তাই আজ কিছুই বলব না জান)।।
আমিঃ কিছু বললাম না শুধু ভাবতে লাগলাম কি এমন আছে যা আজ বলা যাবে না।।
মিমঃ এখন বই বের কর আর হে আজ বেশি পড়াব না তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দিব।।
আমিঃ কিছু বললাম না উনার কথামতো বই বের করে দিলাম।।
তারপর উনি আমায় পড়াতে শুরু করলেন।। প্রায় আধা ঘন্টা পড়ানোর পর আমায় চলে যেতে বললেন।। আমিও আর কথা না বাড়িয়ে ব্যাগ ঘুছিয়ে বাসায় চলে আসলাম।। বুঝলাম না আজ মিম আপুর কি এমন হয়েছে যার জন্য এতো খুশি খুশি লাগছে উনাকে।। দুরর আমি এইসব কেন ভাবতে যাচ্ছি উনার বিষয় উনার যা ভালো লাগে করুক আমার কি।।
এরপর বাসায় এসে রুমে গিয়ে বিছানায় বসে পরলাম।। তার কিছুক্ষণ পর একটু পড়তে বসলাম।। কিছুক্ষণ পড়ার পর আবার উঠে পরলাম আর ফেবুতে লগ ইন করলাম।। অনেক্ষণ ফেবুতে থাকার পর আম্মু এসে রাতের খাবারের জন্য ডাক দিয়ে গেলেন।। তারপর মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে খেতে চলে গেলাম।। খাবার খেয়ে আবার নিজের রুমে চলে এলাম।। রুমে এসে আরও কিছুক্ষণ মোবাইল টিপিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম😪।।
সকালবেলা
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ভার্সিটিতে চলে এলাম।। আজকে মিম আপুকে কোথাউ দেখছি না মনে হয় ভার্সিটিতে আসেন নি।। উনি তু প্রতিদিন ভার্সিটিতে আসেন তাহলে আজ মিস দিলেন কেন ব্যাপার কি।। ভাবতে ভাবতে বন্ধুদের কাছে চলে এলাম।।
আমিঃ ওই মিম আপু কোথায় রে আজ উনাকে দেখছি না যে।।
শুভঃ কেন উনি না আসলে তোর কি তার মানে কি তুইও উনাকে ভালবেসে ফেলেছিস..?
আমিঃ দুরর আমি এটা কখন বললাম প্রতিদিন তু আসেন আজ দেখছি না তাই জিজ্ঞেস করলাম।।
রহিমঃ আমরাও দেখি নি মনে হয় আজ আসেন নাই।।
এইভাবে ওদের সাথে আরও কিছুক্ষণ কথা বলার পর ক্লাসে চলে আসলাম।। ক্লাসে এসে সব কটা ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।। আজ ইমাকেও ভার্সিটিতে দেখি নি নাহলে নিশ্চয় জোর করে ওর সাথে মার্কেটে নিয়ে যেত।। বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিতেই মিম আপু এসে দরজা খুলে দিলেন।। আমি তু উনাকে দেখে অবাক মিম আপু আমাদের বাসায় কি করছেন তাও এই সময়ে😲।।
আমিঃ আপু আপনি আমাদের বাসায়..?
মিমঃ হুম আমার শ্বশুড় বাড়িতে এসেছি (লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে)।।
আমিঃ কি আজে বাজে কথা বলছেন মাথা ঠিক আছে আপনার কিসের শশুড় বাড়ি হে😡..? (একটু রেগে)
আম্মুঃ কে এসেছে মিম..? (ভিতর থেকে আম্মু বললেন)
মিমঃ আপনার ছেলে এসেছে।।
আমিঃ দুরর হচ্ছে কি এইখানে থাকলে কিছুই বুঝব না আগে ভিতরে যাই (বলেই মিম আপুকে সরিয়ে ভিতরে ঢুকে পরলাম)।। ভিতরে ঢুকে তু আমি আরও বড় শক খেলাম কারণ ড্রয়িং রুমে তাকিয়ে দেখি মিম আপুর বাবা মা আর আব্বু বসে বসে গল্প করছেন😱।। কিন্তু এরা সবাই এইখানে কি করছে কিছুই মাথায় আসছে না।।
আমিঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম আংকেল কেমন আছেন..? (ভদ্রতার খাতিরে আংকেলের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম)।।
আংকেলঃ ওয়ালাইকুম সালাম হে ভালো আছি তুমি কেমন আছ..?
আমিঃ জি আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।। আচ্ছা আপনারা বসে কথা বলেন আমি একটু আসি (বলেই সোজা আম্মুর কাছে চলে এলাম)।।
এসে দেখি আম্মু রান্নাঘরে ওদের জন্য নাস্তা বানাচ্ছে আমি গিয়ে উনার সামনে দাড়ালাম আর বললাম,,
আম্মু কি হচ্ছে এইসব মিম আপুর মা-বাবা হঠাৎ আমাদের বাসায় কেন..?
আম্মুঃ তোর আর মিমের বিয়ে নিয়ে আলাপ করতে এসেছেন।।
আমিঃ কিহহ আমার আর মিম আপুর বিয়ে মানে😱..? (অবাক হয়ে)
আম্মুঃ হে ওরা তোর বাবার সাথে তোদের বিয়ের কথা পাকা করতে এসেছেন।। আর হে তোকে তু একটা কথা বলাই হয়নি তোর আব্বু আর মিমের আব্বু অনেক আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছেন যে বড় হলে তোদের বিয়ে দিবেন।। যাতে তাদের বন্ধুত্বটা সারাজীবন টিকে থাকে (নাস্তা বানাতে বানাতে বললেন)।।
আমিঃ কি বলছ এইসব আম্মু ওদের বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আমায় কুরবানী করে দিচ্ছ।। না আম্মু এটা আমি মেনে নিব না আমি এই বিয়ে করব না কিছুতেই না😤।।
আম্মুঃ কেন করবি না শুনি মিম কি দেখতে খারাপ নাকি ওর মধ্যে কোনো কিছুর কমতি আছে..?
আমিঃ এইসবের কিছুই না উনি আমার থেকে বড় আর আমি যদি উনাকে বিয়ে করি তাহলে লোকে আমায় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবে।। আর তা ছাড়াও উনি আমায় শুধু শুধু মারেন যদি উনার কথার একটুও এদিক ওদিক হয় তাহলে মেরে আমার গাল লাল করে দেন😣।।
আম্মুঃ এই দুই কারণেই তু মিমকে আমাদের এতো ভালো লাগে।। তোকে ঠিক করার কেউ হলে মিমই করতে পারবে।। আর আমি এইসব ব্যাপারে আর কিছু শুনতে চাইনা।। মিমের সাথে তোর বিয়ে হবেই এতে তোর মত থাকুক বা নাই থাকুক😏।। এখন তোর কিছু বলার থাকলে তোর আব্বুকে গিয়ে বল আমার কাজে ডিস্টার্ব দিবি না যা সর।।
আমিঃ দুরর ভালো লাগে না এই বাড়ির কেউ আমায় একটুও ভালবাসে না থাকব না আর এই বাড়িতে চলে যাব কোনো একদিন😤 (বলেই নিজের রুমে চলে এলাম)।।
রুমে এসে বিছানায় বসে বসে ভাবছি কি থেকে কি হতে চলেছে।। মিম আপুর সাথে আমার বিয়ে হলে তু জীবন একদম পাতা পাতা হয়ে যাবে এখন আমি কি করব।। যাই হয়ে যাক না কেন এই বিয়ে আমি কিছুতেই করব না কিছুতেই না।। বিছানায় বসে বসে এইরকম আরও নানান কথা ভাবতেছি তখনই দরজা আটকানোর আওয়াজ শুনতে পেলাম।। পিছনে তাকিয়ে দেখি মিম আপু রুমে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়েছেন।।
আমিঃ আআপনি আমার রুমে কি করছেন হে আর দরজা আটকালেন কেন খুলুন বলছি কেউ দেখলে খারাপ ভাববে তু😰।।
মিমঃ কেউ কিছু ভাববে না আর এখন রুমে কেউ আসবেও না।। নিচে সবাই বসে বসে আমাদের বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করছেন তাই আমি এইখানে চলে এলাম (আমার দিকে এগুতে এগুতে)।।
আমিঃ আআপনি আমার দিকে এইভাবে এগুচ্ছেন কেন কাছে আসবেন না বলে দিলাম😰।।
মিমঃ আসলে কি করবা শুনি..? (শয়তানি হাসি দিয়ে)
আমিঃ আপু প্লিজ আমায় ছেড়ে দেন আমি এই বিয়ে করব না।। আমি আপনাকে ভালোবাসি না কেন আমার পিছনে লেগে আছেন😢..?
মিমঃ আর কিছু না বলেই আমার কাছে এসে আমায় ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিলেন আর আমার উপর চড়ে বসলেন।। তারপর আমার মুখের কাছে উনার মুখ এনে বললেন,,
Wait for next....
No comments