প্রিন্সের প্রতিশোধ -পর্ব-০৫ | Prince Revenge - Episode-05

গল্প | #প্রিন্সের_প্রতিশোধ ( #Prince_Revenge)

পর্ব | ০৫

লেখক | #রাকিব_হাসান_রাজ




আমি আর রিচি জন্মদিনের অনুষ্টানে গেলাম।


জন্মদিন টা বাড়িতেই দিয়েছে। বাড়িটা বেশ বড়ই, বুঝা ঝাচ্ছে বেশ বড়লোক।


আমি ভিতরে গিয়ে অবাক অনেক লোকজনই এসেছে। আমি রিচির সাথে তার বন্ধুর কাছে গেলাম।


রিচি : হাই নিরব হ্যাপি বার্থডে।


নিরব : থ্যাংকস রিচি। এ নিশ্চই তোমার সেই আত্মীয় যার কথা আমায় বলেছিলে।

#প্রিন্সের_প্রতিশোধ_পর্ব-০৫
#prince_revenge_episode_05
#bangla_story_143


রিচি : হ্যা এই সেই।


আমি : হাই আমার নাম রাকিব। মেনি মেনি রিটার্নস অফ দ্যা ডে


নিরব : ধন্যবাদ, আমি নিরব।


এই পার্টির শেষ এ আমি ইনফরমেশন আপনাকে দিব। কারন আগে আপনাকে পার্টি ইনজয় করতে হবে।


আমি : আসলে পার্টি শেষ হতে হতে বেশি দেরি হয়ে যাবে তো।


নিরব : না ভাইয়া আপনাকে আমার কথা শুনতেই হবে। অনেক কষ্ট করে এই ইনফরমেশন গুলো কালেক্ট করেছি।


আমি : ঠিক আছে লেট দ্যা পার্টি ইনজয়।


তারপর সবাই সবার মত মজা করতে লাগল। রিচিও ওর বন্ধুদের সাথে চলে গেল। প্রথমে বলেছিল যাবেনা আমাকে একা রেখে কিন্তু আমি জোর করায় গেল।


আমি পুরো বাড়ি ঘুড়ে ঘুড়ে দেখছি তখনি আবার কার সাথে যেন ধাক্কা লাগল।


আমি তো পুরো ৪৪০ ডিগ্রির শক খেলাম। কারন আমি আবার জান্নাতের সাথেই ধাক্কা খেলাম।


আমি : ওহ সিট কেন যে বারবার এই মেয়ের সাথেই আমার ধাক্কা লাগে?  (মনে মনে)


মেম আসলে আমি দেখতে পাইনি। আই এম একসুয়ালি সরি।

#প্রিন্সের_প্রতিশোধ_পর্ব-০৫
#prince_revenge_episode_05
#bangla_story_143


জান্নাত : নো ইটস ওকে, বাট আপনি এই খানে কেন। আমি তো আপনার ফাইলে দেখেছিলাম আপনি ৩ দিন আগেই এই শহরে এসেছেন তাহলে আপনার সাথে নিরব এর পরিচয় কিভাবে হলো।


আমি : আসলে নিরবের সাথে আমার একটা কাজ ছিল তাছাড়া নিরব আমার নয় আমার ছোট বোনের বন্ধু। সে আর নিরব একি কলেজে পড়ত। মেম আপনি এখানে কেন?


জান্নাত : কেন আবার মানুষ বার্থডে পার্টিতে কি করে?


আমি : ওহ হ্যা আসলেই তো।


জান্নাত : এক মিনিট আপনার বোন কোথা থেকে এলো তুমি যে বলেছিলে তুমি অনাথ!


আমি : হ্যা আমি অনাথ আসলে রিচি আমার ছোট বোনেরই মত।


জান্নাত : রাইট বাট এই পার্টিতে সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে কেন?


আমি : কোথায়.....


আমি মেডামের কথায় চারদিকে তাকালাম, সত্যিই তো।


এখন বুঝলাম ছেলেরা তাকিয়ে আছে জান্নাত মেমের দিকে আর মেয়েরা তাকিয়ে আছে আমার দিকে।

#প্রিন্সের_প্রতিশোধ_পর্ব-০৫
#prince_revenge_episode_05
#bangla_story_143


আমি একটু বেশি স্টাইলিস ভাবে এসেছি আর জান্নাত মেম তো জাস্ট ওয়াও। বলতে গেলে পুরাই ক্রাস।


আমি একটু সরে দাঁড়ালাম।


অনেক মেয়েরাই আমার সাথে কথা বলতে এসেছিল কিন্তু আমি ইনফোরমেশন নিয়ে সোজা হোটেলে চলে যাই রিচি কে সাথে নিয়ে।


সারারাত দু চোখের পাতা এক করিনি। নিরবের দেওয়া ইনফোরমেশন আর আমি অফিস থেকে যা ইনফোরমেশন নিয়েছি তা নিয়ে ৪ জনকে মারার প্লান বানিয়ে ফেললাম।


ভোরের দিকে চোখ বন্ধ হলেও ৮ টার দিকে রিচি উঠিয়ে দেয়। রিচিকে কলেজে এডমিশন করিয়ে দিলাম। নিরব ও একই কলেজে পরে।


আমি সোজা অফিসে চলে যাই।


অফিসে যেতে ৫ মিনিট দেরি হয়ে গেছে। তাই আগে জান্নাত মেমের সাথে দেখা করতে হবে। এটাই নাকি রুলস।


আমি গিয়ে মেম এর কেবিনের সামনে গেলাম।


আমি : মেম আসব? 


জান্নাত : হ্যা আসেন।


আমি : ধন্যবাদ মেম আসলে আমার আসতে ৫ মিনিট দেরি হয়েছে।


জান্নাত : কেন হলো দেরি?


আমি : মেম আসলে ছোট বোনকে কলেজে এডমিশন করাতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল।

#প্রিন্সের_প্রতিশোধ_পর্ব-০৫
#prince_revenge_episode_05
#bangla_story_143


জান্নাত : সে তো তোমার আপন বোন না তাহলে এত কেয়ার কেন  নাও?


আমি : মেম আপনি তো জানেন আমি অনাথ তো সেই হিসেবে যাকেই দেখি তাকেই আমার আপনজন মনে হয়। যেমন আপনাকে ওইদিন এয়ারপোর্ট এ দেখে আমার আপন জন মনে হয়েছিল।


এই যা কি বলে ফেললাম (ফিসফিসিয়ে)


জান্নাত : কি বললেন আমাকে কখন দেখলেন?


আমি : না মেম আসলে যেইদিন এই শহরে আসলাম সেই দিন এয়ারপোর্ট এ আপনাকে দেখেছিলাম।


জান্নাত : তা আমাকে দেখে কি মনে হয়েছিল?


আমি : কিছুনা মেম আমি তো এমনি বলেছিলাম।


জান্নাত : কি মনে হয়েছিল বলুন (ধমক দিয়ে)


আমি : না মেম আসলে আসলে,,,


তখনই পিয়ন এসে মেম কে ডেকে নিয়ে গেল, স্যার ডাকছে।


যাক বাবা বাঁচা গেল।


আমি কাজ করছি তখন শুনলাম আজকে অফিসে মি. জসিম এসেছে। আসলে ৪ জনের একজনও অফিসে থাকেনা। সারাদিন কোথায় থাকে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। কিন্তু আজকে সু্যোগ এসেছে আজকে একজনকে উপরে পাঠান

(ডেভিল স্মাইল) 😈😈😈😈

#প্রিন্সের_প্রতিশোধ_পর্ব-০৫
#prince_revenge_episode_05
#bangla_story_143



চলবে,,,,,,,

No comments

Powered by Blogger.