অফিসের দেমাগি বস -পর্ব -১২ | Officer demagi boss - Part -12

অফিসের দেমাগি বস 🖤
লেখক : অভি আহমেদ রাজ
পর্ব : ১২


ঠাসসসসসসসসসসসসসসস।

জোরে একটা থাপ্পরের শব্দ পেলাম৷ উফফফ মা গো লেগেছে৷ আমার গালে থাপ্পর পড়ল৷ হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন আমার গালেই পড়ল৷ দোষ করল একজন আর শাস্তি পেলাম আমি বাহ্। আমি মাথা ঘুরিয়েই অবাক৷ চোখ তো ছানাবড়া হয়ে গেল আমার৷ সাথে কেয়াও রীতিমতো অবাক....

#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২
#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143


আমি : মেঘা তুমি?? (একদম কারেন্ট শক খেলাম)


মেঘা : হ্যাঁ আমি তোমার কুকর্ম ধরতে পারলাম আজকে ছিঃ


আমি : কি বাজে বকছো এসব?


মেঘা : বাজে কেন বলব? বাজে কেন বলব বলো? যা দেখলাম তা তো সত্যিই৷ (চোখের কোণায় পানি জমা হয়েছে)


আমি : সত্য না,বিশ্বাস করো৷


মেঘা : হুম তুমি বলতে চাইছো আমার চোখ কানা তাইনা? আমি ভূল দেখেছি?


আমি : না তুমি ঠিকি দেখেছো কিন্তু আমি তো ইচ্ছা করে এমন করিনি৷ কেয়া ই তো জোর...


মেঘা : থাক আর নিজের দোষ ঢাকতে ম্যামকে টানতে হবেনা৷ (আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল)


আমি : তুমি কিন্তু আমাকে ভূল বুঝছো..


মেঘা : আমি যা বোঝার তা বুঝে গেছি তোমাকে কিছু বলতে হবেনা৷


আমি : প্লীজ সোনা পাখি ভূল বোঝো না। (ওর গালে হাত দিয়ে)


মেঘা : হাত সরাও..(আমার হাত ঝটকা দিয়ে সরালো)..


আমি : এমন করছো কেন?


মেঘা : কেমন করছি আমি?


আমি : এমন রাগ কেনো দেখাচ্ছো..


মেঘা : আমাকে ঠাকানোর আগে একবারও ভাবলে না?


আমি : আমি তোমাকে ঠকাইনি সত্য বলছি৷ কেয়া জোর করেই কিস দিলো।


মেঘা : চুপ আমি এতিম এটার সুযোগ উঠালে তাইনা? ভালো করেছো৷


মেঘা চোখের পানি মুছতে মুছতে চলে গেল৷ আর আমি স্তব্ধ হয়ে আছি৷ একদম পাথরের মতো হয়ে দাঁড়িয়ে আছি৷

#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২
#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143


কেয়া তখন আমার সামনে আসলো৷..(প্রচন্ড ঘুম লেগেছে লিখতে লিখতে)..


মেঘা : শয়তানটা খুব জোরে মেরেছে তাইনা? খুব লেগেছে তাইনা জান? আচ্ছা দাঁড়াও৷


তারপরে আমার যে গালে মেঘা থাপ্পর মেরেছে সে গালে হাত দিলো৷ কিন্তু ওদিকে আমার খেয়াল নেই৷ গাল থেকে হাত সরিয়ে আমার গালে ওর ঠোঁট রেখে আলতো করে চুমু দিলো৷ তখনই মনে হয় হুশে ফিরলাম৷ মাথায় প্রচন্ড রাগ উঠে গেল৷ নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম৷


ঠাসসসসসসস করে একটা থাপ্পর মেরে দিলাম কেয়ার গালে৷ কিন্তু ও কিছুই বলছে না৷ মুচকি হেসে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে৷


ওর এভাবে তাঁকিয়ে থাকাটা আমার ভাল লাগছে না৷ কেমন জানি খটকা লাগছে৷


আমি : কি আর এমন কি হলো হাসছিস কেন? (রাগে তুই কর বলছি)


কেয়া : দেখছি আমার জান টাকে..


আমি : বুঝিনি..


কেয়া : দেখছি আমার জানটা রেগে গেলে তার চেহারা অন্যররুপ ধরে৷ দেখতে মাশাআল্লাহ্৷


আমি : মেজাজ খারাপ করাস না৷ যা এখান থেকে৷


কেয়া : একটু পরে যাই প্লীজ৷


আমি : তোর জন্য এতো কিছু হলো আর এখনো থাকবি? যা বলছি।


কেয়া : প্লীজ


আমি : একটা থাপ্পর খেলি তাও লজ্জা হলোনা তোর?


কেয়া : ধুর পাগল তোমার জন্য মরতেও পারবো আর এটা তো একটা থাপ্পর শুধু৷ তোমার যেই কয়টা বউ ই থাক৷ একবার যখন বলেছি যে তোমাকে বর বানাবো তো বানাবোই৷

#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২
#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143


কথাটা বলে একটা ভিলেনি মার্কা হাসি দিয়ে চলে গেল রুম থেকে৷ আমার মাথা কাজ করছে না৷ মেঘা আমাকে ভূল বুঝলো? সাথে থাপ্পরও দিলো? এটা বিশ্বাস করতেই কেমন লাগছে৷


ওয়াশরুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে বাইরে বসে গল্প করতে লাগলাম৷ আর মেঘা ওদিকে রান্নাতে ব্যস্ত৷  প্রায় ১ঘন্টা পরে রান্না শেষ হলো৷ মুরগির গোস্ত (মাংস বলিনা আমি) রান্না করেছে সাথে আরো কতো প্রকারের তরকারী৷ তরকারির ঘ্রাণ শুনেই সবার জিভে পানি চলে এসেছে৷ আর আমার সমস্ত রাগ শেষ৷


রাত ১১টার সময় খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম৷ যদিও ইচ্ছা ছিলো না খালোনা কিন্তু গোস্তের অতিরিক্ত স্বাদের চোটে খেয়ে ফেললাম৷

খাওয়া দাওয়া করেই যে যার মতো বাসায় চলে গেল৷ আর কেয়াও ফোন দিয়ে বলল গাড়ীটা আনতে৷ তাই হলো৷ একটু পরে কেয়ার ফোনে কে যেন কল দিয়ে নিচে যেতে বলল৷ ওহ তার মানের ড্রাইভার৷ কেয়া বিদায় জানিয়ে চলে গেল৷ এখন রুমে শুধু আমি আর আমার বউ মেঘা৷


আমি যেয়ে বিছানায় শুয়ে আছি সে আয়নার সামনে চুলে চিরুনি করছে৷ অপূর্ব লাগছে তাকে৷ খুব টানছে ওর এই সৌন্দর্য৷ নিজেকে আর সামলে রাখতে পারলাম না৷ বিছানা থেকে উঠে মেঘার কাছে যেয়েই পেছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরে ঘাড়ে একটা চুমু একে দিলাম৷ মেঘার চুল থেকে পাগল করা একটা ঘ্রাণ পাচ্ছি শ্যাম্পুর৷


মেঘা এক ঝটকায় আমাকে ছাড়িয়ে নিলো৷ অবাক হচ্ছি প্রচুর অবাক হচ্ছি৷ কারণ যে মেয়েটা বায়না করত আদর খাওয়ার জন্য সে কি না এমন করছে? হায়রে কপাল আমার..

#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২
#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143


আমি : কি হলো এমন করছো কেন?


মেঘা : তো কেমন করব? আমার শরীরে হাত দিবেনা তুমি ওকে।


আমি : কেন দিবো না কেন!


মেঘা : আমি বলেছি তাই৷


আমি : না আমার বিয়ে করা বউকে আদর করবো৷ ১০০% করবোই আদর৷ কাছে আসো..


মেঘা : লুচ্চামী করে পেট ভরেনি?


আমি : কি বলছো এইসব জান


মেঘা : যা বলছি ঠিকই বলছি৷


আমি : ওহ হুম আমি তো লুচ্চাই (জানিনা কেন জানি খুব কষ্ট হলো)


মেঘা : তোমার গলায় আবার কি হলো?


আমি : কই কি কিছুই না তো৷


মেঘা : তাহলে এমন শোনাচ্ছে কেন?


আমি : না এমনি৷ আচ্ছা এই লুচ্চা ছেলের কিছু কথা৷ আজকের পর থেকে আর তোমার শরীরে হাত দিবোনা যতোদিন তুমি না চাইবে৷ তাছাড়াও একটা সুন্দর ভদ্র মেয়ে একটা লুচ্চার সাথে কি করে খাট শেয়ার করে৷ আমি নিচেই মেঝেতে ঘুমোবো হুম৷ তুমি উপরে ঘুমাও৷ অন্য রুমে যাবনো৷ যদি রাতে ভয় পাও তাই..


মেঘাকে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে বিছানা নিয়ে মেঝেতে চুপচাপ শুয়ে পড়লাম৷ যদিও সময়টা গ্রীষ্মকাল তবুও মেঝে শুতে একটু কষ্ট তো হবেই৷ কোনো দিন শুইনি মেঝেতে তাই আরকি৷...(আমি অনেক শুয়েছি)


মেঘাও হয়তো এমনটা আশা করেনি৷ কারণ মেঘা প্রতিদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়৷ আর ওক কপালে চুমু দিয়ে ওকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলি৷ কিন্তু তখন যা বললাম তাতে এইসব আর হবেনা মনে হয়৷


পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করে একটু কুরআন তিলাওয়াত করতে বসলাম৷ খুব ক্ষুধা পেয়েছে তাই৷ ওদিকে মেঘা রান্না করছে৷ আর এদিকে আমি কুরআন তিলাওয়াত করছি৷


৯:৩০ বেজে গেছে এখনও আসছেনা ব্যাপার কি৷ আমি জায়নামাজ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছি তখন মেঘা এসে ওয়াশরুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো৷ এখন রেডি হচ্ছে অফিসে যাবে তাই৷


আমি : কি হলো? না খেয়ে যাবে নাকি?


মেঘা : না খেয়ে যাবো কেন?


আমি : তাহলে রেডি হচ্ছো যে৷ চলো খাবে চলো..


মেঘা : একসাথে দুইবার খেতে পারবোনা আমি..


আমি : মানে? তুমি খেয়ে আসলে?..(অনেকটা অবাক হলাম)..


মেঘা : ক্ষুধা পেয়েছিল তাই খেয়েছি৷


আমি : ওহ গার্ল৷ আচ্ছা রেডি হও আমি আসছি৷..


মেঘা : ওকে৷


আমি একটু ওয়াশরুমে আসলাম চোখ মুখ ধুয়ে আবার বেরিয়ে এসে এক গ্লাস পানি খেয়ে রেডি হতে লাগলাম৷


অনেকটা অবাক হচ্ছি কারণ যে পাগলিটা আমাকে ছেড়ে খায়না৷ রোজ সকালে আমাকে তুলে খাইয়ে দিতে হয় সে কিনা আজকে একা খেয়ে চলে আসল৷ আর আসল তো আসলোই আমাকেও একটাবারের জন্য খেতে বলল না৷ সামান্য একটা ভূল বোঝাবুঝি  নিয়ে এতো রিয়েক্ট করা ঠিক হচ্ছেনা ওর৷


বাসা থেকে বের হয়ে বাইকে করে ওকে অফিসে নিয়ে আসলাম৷ অফিস এসে আরেক ঝামেলা৷ মেঘাকে যখনই দেখা যাচ্ছেনা তখনই কেয়া এসে বিরক্ত করা শুরু করছে৷ কেমনডা লাগে বলুন তো৷


আমি ইচ্ছামতো কথা শুনেয়েছি৷ কিন্তু ফুইন্নি মাইয়া বার বার আসতেছে৷ বুঝতেছিনা আমার মুখ থেতে কথার শব্দ বের হচ্ছেনা নাকি ওর কানে সমস্যা৷ কতো কড়া কড়া কথা বললাম তবুও তার গায়েই লাগেনা৷

#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২
#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143


লাঞ্চ টাইমে অফিসের বাইরে এসে ২টা বিষ্কুট খেয়ে পানি পান করে চলে আসলাম৷ মেঘা অফিস ক্যান্টিনে যেয়ে খেয়ে নিলো৷ তবুও আমাকে ডাকলো না৷ বাহ্ এই হলো মেয়েদের ভালোবাসা? একটু ভূল বোঝাবুঝি হলেই যেন তাদের মনে হয় যে তার লাইফ পার্টনার/বফ মারা গেছে৷ তাই আর তেমন কোনো রিসপন্স করেনা আমাদের উপর৷ না করুক পরে বুঝবে ঠ্যালার নাম বাবাজী৷


অফিস শেষে বাসায় চলে আসলাম৷ মেঘা ফ্রেশ হয়ে রান্না করতে বসল৷আমার আবার খুব ক্ষুধা পেয়েছে৷ খালি পেটে থাকতে পারিনা৷ আজকে যে কতোটা কষ্টে ছিলাম আল্লাহ্ ভালো জানে৷


রুম থেকে বেরিয়ে টং দোকানে এসে বিষ্কুট আর এক কাপ চা খেয়ে একটা বিষ্কুটের প্যাকেট নিয়ে চলে আসলাম রুমে৷ মেঘা এখনো রান্না করছে৷ ঘামে ওর কপাল চিকচিক করছে৷ প্রতিদিন মতো আজকে কপালে চুমু দিয়ে ঘামগুলো মুছে দিতে ইচ্ছে করছে৷ কিন্তু আমি যে বলেছি ও না চাওয়া পর্যন্ত ওকে স্পর্শ করবো না৷


আমি অফিসের একটু কাজ দেখছিলাম তখন মেঘা রুমে আসলো৷ আমার দিকে একটাবার ফিরেও তাঁকালো না৷ ওর কি যেন দরকার সেটা নিয়েোয, আবার চলে গেল৷ ওর এমন ব্যবহারে মনে খুব কষ্ট পেয়েছি কিন্তু বুঝতে দিবো না কাউকে৷#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২

#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143


রাত ১০টার সময় মেঘা টেবিলে গেল খাওয়ার জন্য অথচ আমাকে ডাকলও না৷ আমি আমার বিষ্কুটের প্যাকেট টা নিয়ে বসে পড়েছি৷ বিষ্কুট খাচ্ছি আর টিভি দেখছি৷ ভালোই লাগছিল এভাবে খেতে খেতে টিভি দেখতে৷


আজকে রাতেও ঠিক কালকে রাতের মতো মেঝেতে শুয়ে পড়লাম আর মেঘা যেয়ে খাটে শুয়ে ঘুমালো৷

রোজ আমি বাজার থেকে এনে খাই আর মেঘা বাসায়৷ তবুও একবার খেতে বলেনা৷


এভাবেই দিনকাল চলছে৷ আমার ভেতরটা পুরে যাচ্ছে কষ্টে৷ মেঘাকে কতো বোঝানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু বুঝতেই চাইছে না৷ এ কেমন ভালোবাসা ওর বুঝতেছিনা৷


আর এদিকে কেয়া'র ঝামেলা তো আরো বেশি৷ কাজ করতে দেয়না বললেই চলে৷ কারণ সবসময় আমার ডেস্কের সামনে এসে আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাঁকিয়ে থাকে৷ অসহ্য লাগে৷ একে তো মেঘার অবহেলা আর অপরদিকে দেমাগি মেয়েটা কেমনে যে এতো ভালো হলো আল্লাহ জানে৷ আর এতোটাই ভালো হলো যে ছোট্ট বাচ্চাদের মতো আমার পেছনে লেগে থাকে৷ এতে মেঘাও কিছু বলেনা৷


কেয়া : জান আমার রুমে এসো তো৷


আমি : কেন? কি হয়েছে? (বিরক্ত ভাব নিয়ে)


কেয়া : কাজ আছে হালকা আসো তুমি৷


আমি : আচ্ছা৷


কেয়ার রুমে আসলাম ওর সাথেই৷ রুমে প্রবেশ করতেই পেছন থেকে কেয়া দরজা লাগিয়ে দিলো৷


আমি : কি হলো? দরজা লাগালেন কেন?


কেয়া : কেন ভয় পাচ্ছো?


আমি : নাহ্ কি কাজ আছে বলেন৷ আমার আবার কাজ পড়ে আছে৷


কেয়া : দাঁড়াও একটা কার্ড দেবো বলে এনেছি৷


আমি : কিসের কার্ড৷


কেয়া : এই নাও..(টেবিলথেকে একটা কার্ড দিয়ে বলল)..

.

কার্ডটা হাতে নিলাম৷ কার্ডটা দেখে তখনই খুশিতে ফিক করে হেসে দিলাম৷ কি যে খুশি লাগছে কার্ডটা দেখে বলে বোঝাতে পারবোনা৷ খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে আমার৷ কিন্তু লজ্জায় নাচতে পারছিনা৷ ওহ হো আপনাদের তো বলায় হলোনা কিসের কার্ড৷ কার্ডটা হচ্ছে বিয়ের৷ আর বিয়েটা হচ্ছে কেয়া আর রাফি নামের একটা ছেলের সাথে৷

#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২
#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143

আমি : এটা কি সত্যি?


কেয়া : হুম খুব খুশি হয়েছে তো তাইনা?


আমি : হুম খুব খুব খুব খুশি হয়েছি৷ ধন্যবাদ এত্তো ভালো একটা সুসংবাদ দেওয়ার জন্য৷


কেয়া : হু


আমি : তা সামনের শুক্রবারে বিয়ে তাইনা?


কেয়া : হুম অফিসের সবাইকে দাওয়াত দিতে হবে৷ আমার বিয়ে বলে কথা৷ তোমাকে আর তোমার বউকে তো আসতেই হবে৷


আমি : হুম অবশ্যই যাবো৷ এখন আসি হ্যাঁ কাজ আছে৷


কেয়া : আচ্ছা যাও৷..


আমি আমার কেবিনে চলে আসলাম৷ খুব আনন্দ হচ্ছে৷ বিপদটা বিদায় হবে ভেবে৷ আর বাংলাদেশ মানে বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ আর শুক্রবারে বিয়ে৷ এটা তো সবাই জানেন তাইনা? সে যাইহোক আমি আনন্দে কাজ করতে লাগলাম৷


এই কয়দিন কেয়া আর আমার সামনে তেমন আসেনি কাজ ছাড়া৷ এতে আমারও অনেক ভালো লাগছিল৷


দেখতে দেখতে শুক্রবার চলে আসল৷ খুব তাড়াতাড়িই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে৷ বড়লোক বলে কথা৷

সন্ধ্যার সময় আমি আর মেঘা বেরিয়ে পড়লাম বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে৷ মেঘা ওর পছন্দ মতো জামা পড়েছে৷ (আমি মেয়েদের জামার নাম জানিনা) ওকেও খুশি খুশি লাগছে যবে থেকে কেয়ার বিয়ে হবে শুনেছে৷


দীর্ঘ ৩০মিনিট পরে পৌঁছে গেলাম কেয়ার বাড়ির সামনে৷ হুম মানতেই হবে বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ে বলে কথা৷ অনেক সুন্দর করে সাজানো৷

বিয়ের আয়োজন চলছে৷ কিন্তু এখনো বর আসছে না৷ আমার তো বিরক্ত ধরে গেছে এভাবে বসে থাকতে৷

আরো আদা ঘন্টা কাটলো পারলো বর আসার নাম নেই৷ সালা কি বর নাকি খুনি? যে আসতে ভয় করছে৷ আমি বসা থেকে উঠে আসলাম৷ আমার অফিস কলিগগুলোর সাথে  হালকা আড্ডা দিলাম৷


২০মিনিট পরে আবার গেলাম সেখানে৷ বর এখনো আসেনি৷ ওদের কেমন হচ্ছে জানিনা তবে আমার ই মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে৷

কিন্তু এদিকে আবার মেঘাও নেই৷ সেও উধাও৷ আল্লাহ্ আমার সাথে কি হচ্ছে টা কি? রহম করো..

একটু পরে মেঘা এসেই হঠাৎ করে আমার হাত ধরে টেনে একটা রুমে নিয়ে গেল৷ মেঘা তো কিছুই চিনে না এখানে৷ আর আমিও চিনিনা৷ তো কাউকে জিজ্ঞেস না করেই কি করে আসলো? ভাবার বিষয়.. (আপনারা ভাবুন৷ আমার সময় নেই হিহিহিহি)


মেঘা : আমি তোমাকে কিছু কথা বলব?..


আমি : হুম বলো মানা কে করেছে বলতে ?..


মেঘা : তুমি এখন কেয়া আপুকে বিয়ে করো..


আমি : What the **** ...(মেয়ে বলে কি? মাথার সমস্যা হইছে নাকি? নিজের বরকে বলতেছে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে৷)৪

#অফিসের_দোমাগি_বস_পর্ব_১২
#Officer_Demagi_Boss_Part_11দ
#banglastory143বউ্

♦♦♦

♦♦

চলেব.......................


লেখার ভূল ক্ষমার চোখে দেখবেন😒..(ঘুম হয়নাই আপনাগো লাইগা😭)

1 comment:

Powered by Blogger.