গল্প | নীল চুড়ির ভালোবাসা - পর্ব-০৫


লেখক – মমিনুল ইসলাম নীল



আগের পর্বের পর থেকে,,,,,,


ডাক্তার-ওকে কিন্তু সময়টা মাথায় রাখবেন।



আমি-হুম



রিয়া-তো আমরা কি এখন নীলার সাথে দেখা করতে পারি?



ডাক্তার-হুম পারেন কিন্তু রোগীর সামনে ভেঙ্গে পরবেন না।



রিয়া-হুম



অতঃপর রিয়া আর আমি চেম্বার থেকে বাইরে বেরিয়ে আসলাম।



আমি-রিয়া তুই দুলাভাইকে কল করে সবটা জানা আমি আসতেছি।



রিয়া-কই যাবি?



আমি-দেখি কিডনির ব্যবস্থা করতে পারি কিনা।



রিয়া-আচ্ছা



তারপর আমি ওখান থেকে চলে আসলাম আর রিয়া দুলাভাইকে কল দিলো,



রিয়া-হ্যালো রিয়াদ (রিয়াদ দুলাভাইয়ের নাম)



রিয়াদ-রিয়া তোমার গলা এমন লাগছে কেন? কি হয়েছে?



রিয়া-নীলা খুব অসুস্থ



রিয়াদ-তোমরা এখন কোথায়?



রিয়া-আমরা হাসপাতালে আর ডাক্তার বলছে,নীলার দুইটা কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। 



রিয়াদ-কিহহহহ্



রিয়া-হুম। তুমি যত তাড়াতাড়ি পারো চলে আসো



রিয়াদ-হুম। আমি এখনি রওনা দিচ্ছি 



রিয়া-আচ্ছা এখন রাখি



রিয়াদ-আচ্ছা


লাইন কেটে দেওয়ার পর। নার্স এসে বললো,


নার্স-এখানে নীলার পরিবারের লোক কে?


রিয়া-আমি


নার্স-ডাক্তার আপনাকে চেম্বারে ডেকেছে


রিয়া-ওকে



রিয়া এক প্রকার দৌড়ে ডাক্তারের চেম্বারের ভিতরে গেল,



ডাক্তার-আসুন...বসুন



রিয়া-কি হয়েছে ডাক্তার?



ডাক্তার-একজন তার কিডনি দিতে রাজি হয়েছে।



রিয়া- আলহামদুলিল্লাহ। কে দিতে চেয়েছে?



ডাক্তার-সেটা অপারেশনের পর জানতে পারবেন



রিয়া-আচ্ছা। আপনারা অপারেশন শুরু করুন।



প্রায় ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট হয়েগেছে আমার কোনো খবর নাই। আবার এই দিকে নীলাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু ডাক্তার বের হওয়ার কোনো নাম নিচ্ছে না। এমন সময় দুলাভাই মানে রিয়াদ এসে বললো,



রিয়াদ-রিয়া নীলা কোথায়?


রিয়া-অপারেশন থিয়েটারে (রিয়াদকে জড়িয়ে ধরে কথাটা বললো)


রিয়াদ-কিডনি পেলে কোথায়?


রিয়া-একজন দিয়েছে


রিয়াদ-কে?

রিয়া-জানি না, ডাক্তার বললো, অপারেশনের পর দেখতে পাবেন।



রিয়াদ-ওই তো ডাক্তার বের হচ্ছে।


রিয়া-নীলা কেমন আছে?


ডাক্তার-চিন্তার কোনো কারণ নেই। অপারেশন সফল হয়েছে।


রিয়াদ-আমরা রিয়ার সাথে দেখা করতে পারবো


ডাক্তার-হুম



রিয়া-কিন্তু ডাক্তার কিডনি কে দিলো?



ডাক্তার-ভিতরে গিয়ে দেখেন সেও আছে।



রিয়াদ আর রিয়া এক প্রকার দৌড়ে আসলো। রিয়া  ভিতরে ঢুকে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার উপকূল।



রিয়া-রিয়াদ দেখছো নীল কি করছে?


রিয়াদ-সেটাই তো দেখছি



রিয়া-নীল যে এতটা বড় হয়ে গেছে তা জানতাম না 



রিয়াদ-সারা জীবনের জন্য নীলের কাছে রিনি হয়ে গেলাম। 



রিয়া-নীল তোমার বা আমার কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেয় নি।



রিয়াদ-তাহলে



রিয়া-নীল ওদের ভালোবাসার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।



রিয়াদ-এর মানে নীল আর নীলা দু'জন দু'জনকে ভালোবাসে।



রিয়া-হুম।


#নীল_চুড়ির_ভালোবাসা #মমিনুল_ইসলাম_নীল #Nil_Churir_Bhalobasa #Mominul_Islam_Nil #banglastory143


রিয়াদ-তুমি ওদের কাছে থাকো আমি খাবার নিয়ে আসি

রিয়া-আচ্ছা।



অতঃপর প্রায় ৩০মিনিট পর নীলা আর আমার জ্ঞান ফিরলো। আমি নীলার দিকে আর নীলা আমার দিকে চেয়ে আছে। এই কল্পনার জগৎতে পানি ঢেলে দিয়ে রিয়া বলে উঠলো।



রিয়া-ও ভাভাগো ভালোপাসা দেখে আর বাঁচি না।


নীল-মানে।



রিয়া-কিছুই যেন বুঝো না, কচি খোকা।



নীলা-কি হয়েছে ভাবী বলবা?আর নীল বেডে শুয়ে আছে কেন?



রিয়া-আমার ভাই তোমার বেডে শুয়া সহ্য করতে না পেরে নিজেও শুয়ে পরলো।



নীলা-ভাবী কি বলছো? কিছুই বুঝতেছি না।



রিয়াদ-আমি বলছি (পিছন থেকে দুলাভাই বলে উঠলো)



নীলা-ভাইয়া তুই কখন আসলি



রিয়াদ-একটু আগে



নীলা-ভাইয়া বলতো নীল বেডে শুয়ে আছে কেন?



রিয়াদ-তোর দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কোথায়ও কিডনি খুঁজে পাচ্ছিলাম না? তখন নীল আমাদের না জানিয়ে তোকে কিডনি দেয়।



নীলা-নীল কেন করলে এটা? আমি এ জীবন চাই না।ভাইয়া ডাক্তার কে বল নীলের কিডনি নীলকে ফিরিয়ে দিতে।



আমি-নীলা আমার দিকে তাকাও।



নীলা-তুমি কথা বলবা না আমার সাথে।


আমি-আমার কথা তো শুনবা।



নীলা-আমি তোমার কোনো কথা শুনবো না।



আমি-ভালোবাসার মানুষটির সাথে বাঁচতে চাওয়া যদি ভুল হয় তাহলে আমি ভুল করেছি। ভালোবাসার মানুষটিকে বুকে আগলে রাখতে আমি কিডনি দিয়েছি, এটা যদি ভুল হয় তাহলে আমি ভুল করেছি। ভালোবাসার মানুষটির সাথে সংসার করতে আমি এমন হাজারো ভুল করতে পারি।



নীলা-নীল এতো ভালোবাসো আমায়।



নীল-হুম নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।



নীলা-আমিও নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।



রিয়া-এ হেম এ হেম। আমরা এখানে আছি।



রিয়াদ-ওদের এখন একটু একা থাকতে দেও আমরা বিদায় হই এখন।


....

........

চলবে.....

     

       

#নীল_চুড়ির_ভালোবাসা #মমিনুল_ইসলাম_নীল #Nil_Churir_Bhalobasa #Mominul_Islam_Nil #banglastory143

No comments

Powered by Blogger.