গল্প | ডার্ক হ্যাকার যখন ক্ষ্যাত - পর্ব-০৬



গল্প | #ডার্ক_হ্যাকার_যখন_ক্ষ্যাত 

পর্ব | ০৬

লেখক | আরিয়ান



----তারপর খাওয়া দাওয়া করে দিলাম একটা ঘুম। এক ঘুমে বিকালে উঠলাম। উঠে আমি ফেবুতে লগইন করতেই আমার মাথা শেষ কারন রিমি আমার আইডিতে ডুকে ওই মেয়েরে বকে  ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করতেছে। এবার আমার কি হবে আল্লাহ জানে। তারপর রিমি ওই মেয়ের সাথে বকাবকি করে ওরে ব্লক করে দেই আর আমাকে ম্যাসেজ দেই,,,,,,,,



 ---- এই লুইচ্চা  তুই ওই মেয়েরে কি বলছত এইসব? তুই ওরে ভালোবাসস তাই না।



---- (বুজলাম অনেকটা রেগে আছে) আরে তুমি যেরকম ভাবতেছ ব্যাপারটা সেইরকম না। 



---- ওহহহ এখন তো এই কথা বলবি ইই তাই না। তোর সত্যি টা তো আমি জেনে গেছি। ছি কতবড় মিথ্যাবাদীরে তুই। 



---- দেখ রিমি আমি সত্যি করে বলছি ওইটা কোনো মেয়ের আইডি না। ওইটা আমার বন্ধু আকিবের ফেক আইডি। ও শুধু আমার সাথে মজা করতেছিল। 



---- হ্যাঁ হ্যাঁ এখন তো ওইসব ইই বলবি লুইচ্চা,,,,মেয়ে দেখলেই শুধু পিছে পিছে ঘুরতে মন চাই। 



---- আরে সত্যি বলতেছি ওইটা আকিবের আইডি। বিশ্বাস করো আমার কথা। 



---- আচ্ছা ওয়েট। আমি যতক্ষন না ম্যাসেজ দিব কোথাও যাবি না তুই৷ (এই কথা বলে রিমি চলে গেল। আর আমি আকিবরে অনেক বকতেছি। ওই শালার জন্য এত বড় বাশ খাইলাম।) 



এইকথা ভাবতেছিলাম আর দেখি আমার মোবাইলে সিকিউরিটি এলার্ট দিতেছে। মানে কেউ আমার ফোন হ্যাক করার ট্রাই করতেছে। আমি বুজলাম এইটা রিমির কাজ। আমি কোনো চালাকি যাতে না করি তাই সে হ্যাক করতে চাই আমার ফোন। তাই আমিও তাকে কিছু বললাম না। মোবাইলের সিকিউরিটি অফ করে দিলাম। যাতে সে হ্যাক করতে পারে। কিছুক্ষন পর রিমি ম্যাসেজ দিল,,,,,



---- এই তুই এখন আকিবকে কল দিবি। আর বলবি ওই আইডি টা কি ওর নাকি। আর কথা সব রেকর্ড করে রাখবি। 



---- আচ্ছা দিতেছি। (পরে আকিবকে কল দিলাম কিছুক্ষন রিং হওয়ার পর রিসিব করল,,,,,,)



---- এই শালা তুই ফেক আইডি দিয়ে আমারে ম্যাসেজ দেস কেন?



---- শালা যখন জানসই আমার আইডি তাইলে আমারে বকলি কেন? 



---- পরে বলমু এখন রাখি। (এই বলে কল কেটে দিয়ে কল রেকর্ড টা রিমিকে পাঠিয়ে দিলাম)



---- আচ্ছা সরি,,,,আর বলব না এইসব। ওই মাইয়া তোমারে প্রোপজ করছে তা দেখে ইই মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল।  আচ্ছা বাদ দাও কি করতেছ?? 



---- এইতো বসে আছি। ভাবছিলাম খেলতে যাব কিন্তু যা হয়ে গেল খেলার মুডটাই নষ্ট হয়ে গেল। 



---- আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমার সাথে কথা বল। 



---- হুম। (তারপর রিমির সাথে কিছুক্ষন কথা বললাম)



 কথা শেষে করে একটু পড়ে নিলাম। সামনে আবার এক্সাম। তাই পড়ার চাপ একটু বেশিই৷  ফেল করলে খবর আছে আমার। পড়া শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে  রিমির সাথে একটু কথা বলে ঘুমাতে চলে গেলাম।



ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুধু একটা কথাই ভাবতেছি আমি মনে হই রিমিকে ভালোবাসতে শুরু করেছি। তার শাষন,,,পাগলামি  আমার সবই ভালো লাগে। কিন্তু সে কি আমাকে ভালোবাসে?



না একজন প্রকৃত বন্ধুর যা করনীয় তাই করে। এইসব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজের দিকে হাটা ধরলাম। কলেজ ক্যাম্পাসে মোবাইলে চালাইতে চালাইতে  হাটতেছি হঠাৎ  কার সাথে যেন ধাক্কা খেলাম,,,, উঠে দেখি এ আর কেউ  না এ মাহি,,,,,,



---- এই ছোটলোকের বাচ্চা,,,,,ধাক্কা দিলি কেন আমারে? 



---- সরি সরি,,,,,আমি খেয়াল করি নাই আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আই এম এক্সট্রেমলি সরি। 



---- ফকিন্নির ফকিন্নি,,,,,,, ভিক্ষারির ঘরের ভিক্ষারী তোর জন্য আমার এই ড্রেস টা নোংরা হয়ে গেছে ফকিন্নির বাচ্চা তোর বাপের ১ বছর রিক্সা চালাইলেও তো এই ড্রেস কিনতে পারবি না।



তারপর দিল ঠাসসসসসস ঠাসসসসসস করে ২ টা আমার গালে,,,,,,,ফকিন্নির বাচ্চা যা এইবার মাফ করে দিলাম তোরে



মাথা তো পুরাই হট হয়ে গেল। এইসব কথা শুনে। তাই আমিও ঘুরিয়ে দিলাম একটা থাপ্পর। আমার এক থাপ্পর খেয়ে ৩/৪ হাত দূরে ছিটকে গিয়ে পরল মাহি,,,,,,, তারপর আমি মাহিকে বললাম,,,,



---- শুন,,,,,যা করার আমি করছি। আমাকে গালাগালি কর। আমি কিছু বলব না। কিন্তু আমার মা - বাবাকে কিছু বললে তোর খবর আছে। 



---- ওইইইই,,,,,তুই আমার গায়ে হাত তুললি তোর এত বড় সাহস,,,,, শুন ফকিন্নি তুই কি ভুল করেছিস তা তুই জানস না। এখন তোকে এর চূড়ান্ত পরিনাম ভোগ করতে হবে। তোর কি হবে তা আমিও জানি না। আমার পাপা তোকে মেরে বালি চাপা দিয়ে দিবে। 



---- যাহহহ যাহহহ তোর বাপ আমার কি করবে তা আমার জানা আছে,,,,,,সো এইসব আমার সামনে বলে কোনো লাভ নেই। 



তারপর মাহি রেগে হনহনিয়ে চলে গেল। পুরা কলেজের সবাই আমাদের দিকে চেয়েছিল এতক্ষন। আসলে মাহির ওপর কথা বলার কারো সাহস নাই এই কলেজে। তারপর আমিও ক্লাসে এসে বসে পড়ালাম। ক্লাসে বসে আছি হঠাৎ আকিব এসে বলল,,,,



---- এই তোর কি আজ সকালে কোনো ঝামেলা হয়ছে মাহির সাথে? 



---- কেন বল তো? আর তুই তোর নানুর বাড়ি থেকে কবে আসছত?



---- শালা যা বলতেছি ওইটার উত্তর দে তোর সাথে কি মাহির কোনো বেজাল হইছে?



---- হুম সকালে বেজাল হয়েছে কেন বল তো? 



---- না,,,,, আমি আসার সময় দেখছি মাহি কাকে যেন ফোন দিয়ে বলতেছে,," আজ কেই যেন শেষ দিন হয় ওই ফকিন্নির ""  আর আমার জানা মতে মাহি তোকেই ফক্কিনি বলে তাই জিজ্ঞেস করলাম। 



---- আরে বাদ দে তো। ওইসব মাহি ফাহি রে অনেক দেখা আছে। কি করবে আমার সে, কিছুই করতে পারবে না। সো চিল ব্রো। 



অপরদিকে,,,,,,

আমার গায়ে হাত তোলা এই মাহির গায়ে হাত তোলা।  আজ এই ফকিন্নি কে আমি মেরেই ফেলব। এই নীলা আমারে কিছু আইডিয়া দে কি করব আমি। আমার মাথায় আগুন জ্বলছে। 



---- মাহি তুই তোর আব্বুকে ফোন করে সব বলে দে। তোর আব্বুই বুজে নেক এই ব্যাপারটা।  



---- হুম,,,,,ঠিক বলছস। আচ্ছা পাপাকে কল দিতেছি দাড়া। 



---- হেলো পাপা তুমি কোথায়?? 



---- কেনো মামু নি। আমি তো বাসায়। কিছু কি হয়েছে??  



---- পাপা জানো আজ কলেজের একটা ছেলে আমার গায়ে হাত তুলেছে। (কান্না করে দিয়ে) 



---- কিইইইইইই,,,,,,,মামুনি কে সেই ছেলে? কার এত বড় সাহস যে আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলে। 



---- পাপা তোমায় বলেছিলাম না আমাদের কলেজে একটা ক্ষ্যাত আছে। সেই ক্ষ্যাতটা৷ আজ আমাকে সবার সামনে থাপ্পড় মেরেছে। 



---- মামুনি তুমি ওয়েট করো। তোমার পাপা আসতেছে।  



---- ওকে পাপা। 



এই নীলা ওই ফকিন্নি টা আজ সবার সামনে আমার গায়ে হাত তুলেছে না। এখন তুই দেখবি পুরা কলেজের সামনে ওর কি হাল আমি করি। 



অন্যদিকে,,,,,,

আমি ক্লাসে বসে আছি।  আর আকিব আমায় বকাঝকা করতেছে। 



---- আরিয়ান দেখ,,,,, আর না। আমি এখনি আংকেল কে কল করে সব কথা বলে দিতেছি৷ 



---- এই আকিব শুন এই কাজ একদমি করবি না। আরে আমার কিছু হবে না তো। সো চিল।



আমরা কথা বলতেছিলাম। হঠাৎ দেখলাম কিছু লোক ক্লাসে ডুকে বলল,,,,,, এই তোদের মধ্যে আরিয়ান কে রে? 



---- জিইই আমি ইই আরিয়ান কি বলবেন বলুন।



---- তোরে বলব না দেখাব চল আমাদের সাথে। 



---- কিন্তু আপনারা কে?? 



---- আমরা রেজা সাহেবের লোক। ভাই তোরে ডেকে পাঠিয়েছে চল আমাদের সাথে। 



---- (নাম শুনে বুজলাম মাহির আব্বুই আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে) আচ্ছা চলুন। এই বলে আমি ওদের সাথে গেলাম।  গিয়ে দেখলাম মাহির আব্বু ,, মাহি আরও কয়েকজন লোক আছে। তারপর মাহি বলে উঠল,,,,,,



---- কিরে ফকিন্নি,,,,,আমার গায়ে হাত তুলছিলি না এখন দেখ আমার পাপা কি করে তোর সাথে। পাপা এই ছেলেটাই আমার গায়ে হাত তুলেছে। 



---- কি রে তোর খুব পাখা গজিয়েছে না। এখনি তোর সব পাখা গুচিয়ে দেব। এই হকিস্টিক টা দে তো আমারে,,,,,,,,



যখন মাহির আব্বু আমাকে মারতে আসতেছিল হটাৎ ইই কলেজ গেট দিয়ে কতগুলা গাড়ি প্রবেশ করতেছিল। আমি তাকিয়ে দেখি কি গাড়ি গুলো আমার খুব চেনা তাহলে কিই আমি যা ধারনা করছি তাই ঠিক??



গাড়ি গুলো হঠাৎ থেমে গেল এবং একজন নেমে আসল৷ যে নেমে আসল তাকে দেখে তো আমি শিহরিত। কারন সে আর কেউ না সেই ব্যক্তি টি হচ্ছে আমার আব্বু। আব্বু মাহির আব্বুর সামনে এসে দাড়িয়ে বলল,,,,,



---- কেমন আছেন রেজা সাহেব? আর এইসব কি? এই ছেলেটাকে এইভাবে মারছেন কেন? 



---- আরে তেমন কিছুই না এই ফকিন্নির বাচ্চা টা আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলেছে পুরা কলেজের সামনে। তাই একে এখন মেরে হাত পা সব ভেঙ্গে দিব।



---- ওহহহহ,,,,আচ্ছা আচ্ছা। তা আপনি কি এই ছেলের ফেমিলি ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে জানেন? 



তখনি মাহি বলল,,,,,,,,

---- এই ফকিন্নির ব্যাকগ্রাউন্ড আর কি জানব। এটা একটা রিক্সাওয়ালার ছেলে। এইটার লেভেল ইই নাই আমাদের সাথে পড়ার।



---- ওহহহহহহ,,,,,,আচ্ছা আচ্ছা। তা রেজা সাহেব এ নিশ্চয় আপনার মেয়ে।



---- জিইহহহ স্যার। এ আমার একমাত্র মেয়ে মাহি৷ 



---- ওহহহ আচ্ছা। তা মাহি তুমি তো ওর সম্পর্কে এত কিছু বললা। তুমি কি ওর লেভেলের??  



---- স্যার,,,,,, আপনি কি বলছেন কিছুই তো বুজতে পারতেছিনা। (মাহির আব্বু বলল) 



---- এখনি ক্লিয়ার করে দিতেছি। এইখানে এই ক্ষ্যাত মার্কা ছেলেটা আর কেউ না কে.বি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর নতুন চেয়ারম্যান ও সিইও। 



মানে এই ক্ষ্যাত মার্কা  ছেলে যাকে সবাই ফকিন্নি বলে ডাকে সে আমার ছেলে। রফিক চৌধুরির একমাত্র ছেলে আরিয়ান চৌধুরি যাকে এখন আপনারা ক্ষ্যাত,,,,,বস্তির ছেলে বলে ডাকছেন।



পুরো চৌধুরি এম্পায়ার মালিক এই আরিয়ান চৌধুরি। ওহহহ,,,,, মাহি তুমি তো বলছিলা না আরিয়ান এর এত লেভেল নাই এইখানে পড়ার। সত্যি কথা কি জানো তুমি আরিয়ান এর  লেভেলের না। আর এইখানে এই কলেজের ৮০% ডোনেশন আমি দেই।  



আব্বু,,,,,হইছে এইবার থামো। আর বাদ দাও এইসব কথা। আমার তো কিছু ইই হই নাই দেখ। তাই এত টেনশন করিও না।  দাড়াতে দাড়াতে আমি বললাম) 



---- না কেন থামব আমি, দাড়া আমি এদের সাথে কথা বলছি।  তুই একদম চুপ থাকবি। এদের উচিত শিক্ষা না দিলে এরা শুধরাবে না। 



স্যার আমরা সত্যি ইই জানতাম না যে এ আপনার ছেলে। আমাদের মাফ করে দিন স্যার। (মাহির আব্বু এইসব বলে আব্বুর কাছে মাফ চাচ্ছিল)। 



---- রেজা সাহেব শুনুন। আমার ছেলে আকাশ সবসময় নরমাল ভাবে চলাচল করতে পছন্দ করে। তাই তো দেখুন ওর গায়ে সব নরমাল কাপড়। যেখানে আমার ছেলের কোনো সম্মান নেই সেখানে আমার ছেলে পড়বে না। আমি আরিয়ান কে অন্য কোথাও এডিমশন করাব।



আর এই কলেজের ফান্ডিং টাও আমি বন্ধ করে দিব। কারন যেখানে মেধার থেকে জামা কাপড় কে প্রাধান্য দেয়া হয় সে সব জায়গায় আমি আমার টাকা ব্যয় করি না। 



---- স্যার,,,,স্যার স্যার,,,,স্যার এত বড় সিদ্ধান্ত রাগের মাথায় নিয়েন না স্যার প্লিজ স্যার। আমি হাত জোড় করে আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি প্লিজ স্যার প্লিজ। আমি কথা দিচ্ছি আজকের পর থেকে আরিয়ান এর সাথে কেউ কোনোরকম বাজে ব্যবহার করবে না। প্লিজ স্যার লাস্ট সুযোগ টা দিন স্যার প্লিজ স্যার। (মাহির বাবা কান্নার সুরে এইসব কথা বলল)।  



---- আচ্ছা ঠিক আছে দিলাম শেষ সুযোগ। কিন্তু এইবার যদি আপনি আমায় নিরাশ করেন আপনার কি অবস্থা হবে সেটা কল্পানও করতে পারবেন না রেজা সাহেব। 



আর আপনি এদের নিয়ে এসেছেন আমার ছেলেকে মারতে (মাহির আব্বুর পিছনে হাত দেখিয়ে কয়েকজন লোক কে  বলল) আর আমার লোকেদের যদি আমি একটা ইশারা দেই তারা আপনার এইসব লোকের কি অবস্থা করবে যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এইবারের মত মাফ করলাম আপনাকে।



---- ধন্যবাদ স্যার। আর এইরকম ভুল দ্বিতীয় বার হবে না। 



---- ওকে,,,,, এই বলে আব্বু চলে গেল। আর এতক্ষন পুরা কলেজের সবাই স্যার,,,ম্যাডাম সব স্টুডেন্টরাও একনজরে তাকিয়ে ছিল আমাদের দিকে।



তারপর সব বেজাল শেষ করে ক্লাসে চলে আসলাম। আর শুধু একটা কথাই ভাবতেছিলাম আব্বু হঠাৎ কলেজে আসল কোনো দরকার  না কেউ আব্বু কে জানিয়েছে????  সব প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। এমন সময় কয়েক জন ক্লাসমেট আমার দিকে এসে বলল,,,,,



---- আরিয়ান We are extremly sorry,,,, plz forgive us.



---- আরে,,,,,,, আরে তোমরা মাফ চাচ্ছ কেন?  আমি কিছুই মনে করি নাই। বাদ দাও এইসব কথা। 



---- ওকে। লেটস ফ্রেন্ডস।



---- ওকে৷ (হায়রে যারা আমার সাথে কথাও বলত না আমি ক্ষ্যাত ছিলাম আজ তারাই আমার আসল পরিচয় পেয়ে বন্ধুত্ব করতে আসে। হায়রে দুনিয়া। সবই টাকার খেলা। আমি মনে মনে বললাম) 



তারপর সব ক্লাস করে,,,, বাসায় আসতেছিলাম সবাই আমার দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে আছে।  সবই টাকার খেলা।  তারপর বাসায় এসে  সোজা আব্বুর কাছে চলে গেলাম,,,,,,,



---- আব্বু,,,, তুমি আজ কলেজে গেলে কেন? 



---- কেন,,,,, গিয়েছি বলেই তো আসল দৃশ্য নিজের চোখে দেখতে পেরেছি। আমার ছেলেকে কেউ মারবে আর তা আমি সহ্য করব......(অনেকটা রেগে বলল কথা গুলা) 



---- আব্বু,,,,, কে তোমায় ফোন দিয়েছিল??? 



---- কেউ না। আর তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।  



---- কথা সব পরে। আগে বল কে কল দিয়েছিল তোমায়। তুমি সত্যি টা বলবে না আমি আমার নিয়মে বের করতাম??? 



---- আচ্ছা যা আকিব কল দিয়ে বলেছিল আমায়। আর কল দিয়েছে একদম ভালো কাজ করেছে। নাহলে তো আমি জানতেই পারতাম না আজ আমার ছেলেকে মারতে এসেছিল। 



আমার সন্দেহ টাই ঠিক ছিল। আকিব ইই আব্বুকে কল দিয়ে সবটা বলেছে। আর আব্বু কলেজে গেল।  এইজন্যই তো আব্বু আসার পরে শালারে কোথাও দেখলাম না।



---- এই শুন আরিয়ান,,,,,তোকে খুব শীগ্রহ অফিসে জয়েন করতে হবে। আর এটাই আমার লাস্ট ডিশিশন। 



---- কিন্তু আব্বু,,,,,আমার তো পড়া কম্পলিট হই নাই এখনো। 



---- যাই হোক । তোকে অফিস জয়েন করতে হবেই। আর তোকে কাল থেকে সুন্দর ভাবে চলতে হবে।  মানে এইসব নরমাল ভাবে আর চলা যাবে না। 



---- ওকে আব্বু। (এই বলে আমি রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ইই দেখলাম যে রিমির ম্যাসেজ তাই কল দিলাম,,,,, 



---- হেলো রিমি কেমন আছ? 



---- আমি কেমন আছি সেটা আপনার না জানলেও চলবে। আপনি আমায় আর কখনও ম্যাসেজ বা কল দিবেন না। 



---- এই তুমি কি বলতেছ এইসব।



---- জিইইইই,,,,,আমি যা বলতেছি তা সব ঠিক ইই বললাম যে আমার সাথে মিথ্যা বলে তার সাথে আমি কখনও কথা বলি না। 



---- কি মিথ্যা বললাম আমি একটু আমায় বলবা? 



---- কি মিথ্যা বলছেন জানেন না আপনি?



----- না জানি না বল আমায়। তারপর যা বলল আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল কারন,,,,,,,,,


#dark_hacker_jokhon_khet_part_06

#banglastory143




চলবে......

কেমন হল সবাই জানাবেন। ধন্যবাদ

1 comment:

Powered by Blogger.