গল্প | ডার্ক হ্যাকার যখন ক্ষ্যাত - পর্ব-০৭
গল্প | #ডার্ক_হ্যাকার_যখন_ক্ষ্যাত
পর্ব | ০৭
লেখক | আরিয়ান

----- না জানি না বল আমায়। (রিমি একটু রাগী কন্ঠে বললাম)
---- আচ্ছা বলতেছি। কেন আমার সাথে আপনি এত বড় নাটক করছিলেন? আজ কলেজে কি কি হয়েছে তা আমি সব নিজের চোখে দেখেছি। আপনি এত বড় অভিনয় টা আমার সাথে না করলেও পারতেন।
---- মানেইইইই (একটু অবাক হয়ে)
---- মানে হল এই যে,,,, আজ কলেজে মাহির আব্বুর সাথে আপনার কি কি হয়েছে সেটা সবটা আমি নিজের চোখে দেখেছি। কেন এত বড় নাটক করছিলেন আমার সাথে??
---- রিমি দেখ তুমি যেটা ভাবছ সেটা না। আসলে আমি সবসময় নরমাল হয়ে থাকতে পছন্দ করি। ছোট থেকেই আমি এইভাবে চলাচল করেছি । কারন আমার কাছে দুনিয়ার কেউ বড়লোক বা ছোটলোক না সবাই মানুষ।
---- কিন্তু,,,,,আমায় তো বলতে পারতা একবার।
---- তোমায় আমি বলতাম ঠিক সময় আসলে। কিন্তু,,,,,, কি আর বলব আসলে আমি বুজতে পারতেছি না। আমার জন্য যদি কষ্ট পেয়ে থাক আই এম সরি প্লিজ আমায় মাফ করে দাও।
#dark_hacker_jokhon_khet_part_07
#banglastory143
---- না তোমায় এইভাবে মাফ করা যাবে না। আমি যা বলব তাই শুনতে হবে তাইলে ইই মাফ করব তোমায়।
---- ওকে। কি করতে হবে আমায় বল আমি সব করব। তবুও তুমি রাগ করে থেক না। প্লিজ
---- ওকে। আজ বিকাল ৫ টায় নদীর পাড়ের সামনে আসবা। ঠিক বিকাল ৫ টায়। কি পারবা তো?
---- কিন্তুইইই আমার আজকে ম্যাচ আছে। ক্রিকেট ম্যাচ। নাহলে কালকে আসি?
---- যা তোর আর আসাই লাগবে না। থাক তুই তোর ক্রিকেট নিয়ে। (অনেক রাগে কথাটা বলল আর ফোন কেটে দিল।)
না ওকে এইভাবে রাগানো ঠিক হই নাই। তাই আবার কল দিলাম ১ বার রিং হতেই রিসিব করল। মনে হই ফোনের কাছে বসে ছিল,,,,,
---- হেলো রিমি। এর রাগ কর কেন? আচ্ছা যাও আসব।
---- না আসা লাগবে না তুই তোর ম্যাচ নিয়ে থাক। (এখনো রেগে আছে মনে হই)
---- সত্যি আসব। তাও ঠিক বিকাল ৫ টায়।
---- ওকে,, যাতে দেরি না হই সেইদিকে খেয়াল রাখবা।
---- ওকে। (তারপর আরও কিছুক্ষন কথা বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে দিলাম শান্তির ঘুম।
অপরদিকে,,,,,,
---- পাপা,,,কে ওই রফিক চৌধুরি। পুরো শহর তোমার নামে কাপে। তাহলে কেন তুমি ওই রফিক চৌধুরিকে স্যার স্যার বলে ডাকলা?
---- দেখ রে মা,,,,,, এই শহর আমার নামে কাপে ঠিক আছে কিন্তু পুরো দেশ ওনার নামে কাপে। কারন রফিক চৌধুরি বাংলাদেশের টপ বিজন্যাসমেন। আর এটাও সত্যি যে উনি আমাদের কলেজে ৮০% ডোনেশন দেয়। উনি আমার মত হাজারটা নেতাকে পকেটে রাখে।
---- পাপা তাহলে কি তুমি কিছুই করতে পারবে না। ওই আরিয়ান সবার সামনে আমাকে যে থাপ্পড় মারল তার কি? পুরো কলেজের সামনে আমার যে প্রেস্টিজ ডাউন হয়েছে তার কি? তুমি কি এমনেই ছেড়ে দিবে ওই আরিয়ান কে?
---- দেখিরে মা কি করা যায়। এখন যদি কিছু করি তাহলে রফিক চৌধুরি আমাদের জানে মেরে ফেলবে। তবুও দেখি আমি কি করা যায়।
অন্যদিকে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। কে যেন কল দিয়ে আমার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাল,,,আমিও না দেখে রিসিব করে বললাম,,,,,
---- হেলো কে? (ঘুম ঘুম ভাবে)
---- ভুত। তোর ঘার মটকামু।
#dark_hacker_jokhon_khet_part_07
#banglastory143
এই কথা শুনার সাথে সাথে লাফ দিয়ে উঠলাম স্ক্রীনে তাকিয়ে দেখলাম এইটা রিমির কল,,,,,,
---- রিমিইই (কাপা কন্ঠে বললাম)
---- হ্যাঁ রিমি,,,,,তুই কোথায় নিশ্চয়ই ঘুমাইতেছস তাই না।???
---- আরে না না,,,,, আমি বাইরে এইত ৫ মিনিটের মধ্যে আসতেছি।
---- মোট কথা ৫ টার মধ্যে তুমি নদীর পাড়ে আসবা কিভাবে আসবা সেটা তোমার ব্যাপার। আমি ওয়েট করতেছি৷
---- ওকে। (তারপর কল কেটে দিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে একদম সিম্পল ড্রেস পরে তাড়াতাড়ি নদীর পাড়ে গেলাম।কাছে যেতেই দেখলাম রিমি সুন্দর একটা নীল শাড়ি পরে দাড়িয়ে আছে। আমি তার কাছে যেতেই সে বলে উঠল,,,,,
---- কয়টা বাজে?
---- (এইরে তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে তো ঘড়ি আনতে মনে নেই) আমার ঘড়ি আনতে মনে নাই। কয়টা বাজে?
---- ৫ঃ০১ তোমারে বলছিলাম ৫ টায় আসার জন্য কিন্তু তুমি আসছ ৫ঃ০১ এ মানে ১ মিনিট লেট। সো তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।
---- ওকে। কি শাস্তি বল।
---- পরে বলব। আগে আস একটু ঘুরব।
---- আমি বললাম ওকে। (তারপর আমরা অনেকক্ষন পর্যন্ত সময় কাটালাম। অনেক কথা বললাম। রিমির সাথে সময় কাটালে সময় কিভাবে শেষ হয়ে যাই বুজতেই পারি না। কিভাবে যে বলব যে আমি রিমি কে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু ও মনে হই আমাকে শুধু ওর বন্ধু ভাবে এর বেশি কিছুই না। এই কথা ভাবতে ভাবতে হাটছিলাম। হঠাৎ দেখি একটি ফুচকার দোকান,,,,,,
---- এই আরিয়ান চল না চল না ফুচকার দোকানে যায়। কতদিন হল ফুচকা খায় না প্লিজ প্লিজ চল না চল না।
---- ওকে ওকে চল।
তারপর রিমি আমায় টেনে নিয়ে গিয়ে ফুচকার দোকানে বসালো,,,, তারপর নিজেই অর্ডার দিল,,,,
---- জানো আরিয়ান আমার না ফুচকা খুব ভালো লাগে। ফুচকা,, চকলেট এইগুলা আমার ফেবারিট।
---- আমার ফুচকা তেমন ভালো লাগে না। আমি খাব না।
---- না খাইতে তো তোমাকে হবেইইই। নাহলে আমি জোর করে খাওয়াবো তোমায়।
---- আচ্ছা আচ্ছা খাবো নি।
কিছুক্ষন পরেই ফুচকা দিয়ে গেল আমাদের। তারপর ফুচকা খেয়ে তার বিল টা দিয়ে আবার হাটা শুরু করলাম। আমি রিমিকে বলে উঠলাম,,,,
---- রিমি জানো,,,, আমি কখনো এই দিনগুলোর কথা ভুলব না ৷ এইদিন গুলো সবময় আমার স্মৃতি হয়ে থাকবে।
---- হুম। ঠিক বলছ। এই দিনগুলোর জীবনে সবময় স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
---- রিমি আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই। প্লিজ আমায় খারাপ ভেবো না।
#dark_hacker_jokhon_khet_part_07
#banglastory143
---- না না বল কি বলবা।
---- রিমি তোমাকে আমি অনেকদিন থেকেই বলার ট্রাই করতেছি কিন্তু ভয়ে বলতে পারি নাই।
---- আরে বাবারে,,,,,বলো তো কি হয়েছে কি বলবা বলো।
---- রিমি আমি (যখনি বাকিটা বলতে যাব তখনি রিমি বলল)
---- আরিয়ান ওইটা তোমার ফ্রেন্ড আকিব না গাছের পাশে যে দাড়িয়ে আছে?
---- আরে সত্যি তো। ওইটা তো আকিব। বাট ওর পাশে মেয়েটা কে? ওরে তো চিনি না।
---- আরে গাধা,,,,,ওইটা ওর জিএফ হবে দেখছ না হাত ধরে কিভাবে দাড়িয়ে আছে।
---- ওয়েট একটা কল দেয় দাড়াও। শালা তোলে তোলে এতদূর গেল আর আমায় জানালো না। তারপর দিলাম আকিবকে কল,,,,,,
---- হেলো আকিব তুই কই রে?
---- আমি তো একটু কাজে রংপুর গেছি। কাল চলে আসব।
---- ওওও আচ্ছা তাই না। তা বন্ধু রংপুর টা কি তোর শিউলি গাছের নিচে?
---- মা মা মানে,,,,, কি বলস তুই আমি রংপুর। শিউলি গাছের নিচে জামু কেন?
---- ওওও। তা বন্ধু একটু ডানে ঘুরো তো....
---- কেন?
---- এই শালা তোরে ডানে ঘুরতে কইতেছি ঘুর তুই।
তারপর আকিব ডানে ঘুরতেই এমন একটা শকড খেল। মনে হই ৪৪০.ভোল্টের শকড খাইছে।
তারপর আমি কাছে গিয়ে বললাম,,,,,এইটা তোমার রংপুর মামা,,,,,,
---- আরেহ দোস্ত রাগ করস কেন। আমরা আমরাই তো।
---- হুম শালা তোলে তোলে এতদূর গেলা আর আমারে জানাও নাই।
---- আচ্ছা বাদ দে। এইসব।
---- হুম,,,,তারপর আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে দেখলাম একটা নিউজ চলতেছে তাও ব্রেকিং নিউজ তাই একটু উৎসাহ নিয়ে দেখতেছিলাম হঠাৎ ইই দেখলাম,,,,,,,,,,,
চলবে...........
কেমন হল সবাই জানাবেন। ধন্যবাদ
#dark_hacker_jokhon_khet_part_07
#banglastory143
No comments