গল্প | ডার্ক হ্যাকার যখন ক্ষ্যাত - পর্ব-০৮


গল্প | #ডার্ক_হ্যাকার_যখন_ক্ষ্যাত

পর্ব | ০৮

লেখক | আরিয়ান





---- হুম,,,,তারপর আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।


বাসায় এসে দেখলাম একটা নিউজ চলতেছে তাও ব্রেকিং নিউজ তাই একটু উৎসাহ নিয়ে দেখতেছিলাম হঠাৎ ইই দেখলাম রাকিব ভাই নিউজে ব্রিফিং দিতেছি তাই একটু উৎসাহ নিয়ে শুনতে লাগলাম,,,,,



আজকের এই প্রেস কনফারেন্স  টি হচ্ছে Dark Queen এর চ্যালেঞ্জ নিয়ে। তিনি বাংলাদেশের সকল সাইবার পুলিশ ও হ্যাকার কে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল যে সে বাংলাদেশের স্পেস রিচার্চ অরগানাইজেশান এর সার্ভার হ্যাক করবে এবং তিনি এই কাজে সফলও হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি ভাবে না। 



তিনি যে সার্ভার হ্যাক করেছে সেই সার্ভার মাত্র ১০ মিনিটে Dark Queen থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এনেছে বাংলাদেশের এক তরুন ছেলে। যেখানে বাংলাদেশের সকল সিস্টেম টের ও পায় নাই যে সার্ভার হ্যাক হয়ে গেছে সেখানে এই তরুন ছেলেটি মাত্র ১০ মিনিটে Dark Queen  থেকে এই সার্ভার কেড়ে এনেছে।  



তখনি একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করল,,,,



---- স্যার কে সেই লোক পুরো বাংলাদেশের মানুষ তাকে দেখতে চায়,,,,



---- না উনি ওনার পরিচয় গোপন রাখতে বলেছে। তাই আমি ওনার পরিচয় দিতে পারছি না এই মুহূর্তে।  কিন্তু আমি একটা কথা বলব পুরো বাংলাদেশের জনগনকে যতদিন এই তরুন ছেলেটা এই দেশে রয়েছে ততদিন বাংলাদেশকে সাইবারের দিক থেকে কেউ ইই হামলা দিতে পারবে না। আর তাকে এই অদম্য কাজের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২৫ লক্ষ টাকা পুরষ্কার হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 



তারপর আমি টিভি অফ করে রুমে চলে গেলাম। গিয়ে ফ্রেশ হয়ে পড়তেছিলাম হঠাৎ ইই দেখি রাকিব ভাই কল দিল তাই আমিও কল টি রিসিব করে বললাম,,,,,,



---- ভাই আসসালামু আলাইকুম।  কেমন আছেন? 



----ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছ? 



---- আলহামদুলিল্লাহ ভাই ভালো। 



---- আসা করি,,,, আজকের প্রেস কনফারেন্স টি দেখেছ। 



---- জি ভাই দেখলাম তো। 



---- হুম গুডডড। তোমার প্রাইজ মানি তোমার ব্যাংক একাউন্টে চলে যাবে। তোমাকে যে কারনে কল দিছিলাম শুনো মন দিয়ে আমার কথা,,,,,,,Dark Queen এর লোকেশন আমরা ট্রেক করে ফেলেছি। আর ওর লোকেশন তোমার কলেজের এরিয়ার আশে পাশে। 



---- কি বলেন ভাই আমি তো ওর লোকেশন দেখলাম না। 



---- হুম,,,,,কারন তুমি সার্ভার আমাদের হাতে তুলে দেয়ার পর সে আরেকবার ওই সার্ভার হ্যাক করতে চেয়েছে। কিন্তু তোমার হাই সিকিউরিটির জন্য যে সফল হতে পারে নি। আর আমরা ওর লোকেশন ট্রেক করে ফেলেছি। 



---- ওওহহহ আচ্ছা বুজলাম। তা ভাই তাইলে আপনি কথাটি প্রেস কনফারেন্সে বলেন নাই কেন? 



---- বলি নাই তারও কারন আছে। যদি আমি এখন বলতাম তাহলে সে  সতর্ক হয়ে যেত। তাই আমি বলি নাই এই কথা। 



---- ওহহ আচ্ছা ভাই। ওকে আমি দেখি কে এই Dark Queen যে আমার কলেজের পাশেই থাকে। কলেজের পাশে থাকে মানে আমাদের কলেজেও পড়তে পারে।



---- হুম। হতে পারে। 



---- ওকে ভাই তাহলে আজ থেকে আমি Dark Queen  এর খোজে নামব। 



---- হুম গুডডড। 



এই বলে কল কেটে দিলাম। পরে একটা কথা চিন্তা করতেছিলাম। কে এই Dark Queen। কি তার পরিচয় আর আমার কলেজের পাশে মানে আমাদের কলেজেও পড়তে পারে। কি করব কিছুই বুজতেছিনা।  তারপর দিল রিমি কল তাই সাথে সাথে রিসিব করলাম,,,,,



---- হেলো রিমি,,,,,



---- কার সাথে কথা বলতেছিলা এতক্ষন? 



---- আমার এক বড় ভাইয়ের সাথে কেন? 



---- না এমনে। কি করতেছ? 



---- এইতো পড়তেছিলাম। তুমি? 



---- বসে আছি ভালো লাগতেছে না। আচ্ছা আরিয়ান তোমার তো এত টাকা পয়সা তুমি এইভাবে চল কেন? 



---- দেখ,,,,,টাকা পয়সা থাকলেই যে বিলাসিতা করতে হবে তার কোনো মানে নাই। আর আমার নরমাল ভাবেই চলতে ভালো লাগে। 



---- না,,,,,তুমি কাল কলেজে ভালো কাপড় পড়ে আসবা। 



---- দেখি,,,,,কিন্তু সিউর না। আমার এই লাইফ স্টাইল টাই ভালো লাগে।



---- দেখ,,,,তুমি যদি কাল ভাল কাপড় না পড়ে আস তাইলে তোমার কি হবে তুমি নিজেও ভাবতে পারবা না।  বাই 



এই বলে হুট করে ফোন টা কেটে দিল রিমি। মেয়েটার যে কি হয় মাঝে মাঝে কেউ জানে না। কিন্তু রিমি আমার অনেক কেয়ার করে। ওর প্রতি এই টা ভালো লাগা না ভালোবাসা ঠিক বুজতেছিনা। কিন্তু ওরে না দেখলে আমার একদমি ভালো লাগে না৷



কিভাবে যে ওরে মনের কথা বলি ও কি রাজি হবে না শুধুই একজন ভালো বন্ধু ভেবে এইসব করে বুজতেছি না। না আজ আর পড়া হবে না তাই একটু ফেবুতে ডুকলাম।  কিছুক্ষন ফেবু চালানোর পর দেখলাম একটা মেয়ে রিকুয়েষ্ট দিল।



 এক্সেপ্ট করে একটু কথা বললাম। পরিচিত হয়ে নিলাম। রাতে আর রিমির সাথে কথা হই নাই। ও আপনাদের তো মেয়েটার নাম বলা হই নাই মেয়ে টার নাম মিথিলা। ওই মিথিলার সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়ালাম। 



সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। তারপর রেডি হয়ে নিলাম। আজকে ভাল পোশাক পরে যাওয়া লাগবে। নাহলে রিমি আমার কি যে করবে আল্লাহ জানে। তাই ব্ল্যাংক প্যান্ট,,,,একটা ব্ল্যাংক শার্ট একটা সানগ্লাস,,,,আর চুল স্পাইক করে দাড় করিয়ে নিলাম,,,,সু পড়ে নিলাম।



তারপর আয়নায় দাড়াতেই আমি নিজেই চিনতে পারতেছি না  আমি কে। তারপর নিচে গেলাম নাস্তা করতে। টেবিলে বসে আছি এমন সময় আম্মু  বলে উঠল,,,,



---- আজ আমার ছেলেকে খুবই সুন্দর লাগতেছে। আমি তো চিন্তেই পারতেছিনা। 



----- আরে আম্মু বাদ দাও না এইসব কথা। তাড়াতাড়ি নাস্তা দাও।  খেয়ে কলেজে যাওয়া লাগবে। 



---- আচ্ছা দিতেছি। 



তারপর নিজের পার্সোনাল কার নিয়ে কলেজে গেলাম। কলেজে ডুকার সাথে সাথে সবাই একনজরে আমার দিকে চেয়ে আছে। সবাই একে একে নিজ থেকে আমার সাথে কথা বলতে আসল



কিন্তু ওদের এত পাত্তা দেই নাই কারন যখন আমি নরমাল কাপড়ে চলতাম সবাই আমাকে ক্ষ্যাত বলে ডাকত। আর এখন আমি বড়লোক বলে সবাই নিজ থেকে কথা বলতে আসে।



আমার চারপাশে মেয়েরা ঘিরে দাড়িয়ে আছে। মনে হইতেছে যেন কোনো বড় অভিনেতা৷ মেয়েগুলোর  সাথে কথা বলতেছিলাম হঠাৎ দেখিলাম রিমি দূরে দাড়িয়ে আছে। মুখটা কেমন কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে আছে। মনে হচ্ছে এখনি যেন চোখ থেকে পানি পড়বে। তাই আমি দৌড়ে রিমির সামনে গেলাম।



---- কি হলো এখানে দাড়িয়ে আছ কেন? 



---- না কিছু না। এমনেতেই দাড়িয়ে আছি।  তুমি যাও তোমার মেয়ে বান্ধবী গুলা ওয়েট করতেছে তোমার জন্য। যাও ওদের সাথে কথা বল। আমার সাথে কথা না বললেও চলবে৷ (কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলল।)



---- আরে দুররররর,,,,,,কিসের বান্ধবী ওরা নিজেরাই আমার সাথে কথা বলতে আসছে। আর চলো তো ক্লাসে যাই। আমার এমনেতেও ওদের নাটক দেখতে ভালো লাগে না। 



---- না আজ ক্লাসে যাব না। চল কথাও ঘুরতে যাই। 



---- হুম যেতে পারি। কিন্তু কোথায় যাবা? 



---- পার্কে চলো। 



---- হুম ওকে। তারপর পার্কে চলে গেলাম। পার্কে কিছুক্ষন হাটার পর দেখলাম পার্কে একটা বেঞ্চে আকিব আর তার জিএফ বসে আছে। তাই ওইদিনের মত আবার কল দিলাম,,,,



---- হেলো দোস্ত তুই কোথায় রে? 


---- আমি তো নানুরবাড়ি আসছি একটা কাজ আছে। কেন রে? কোনো কিছু হইছে নাকি। 



---- হুম দোস্ত। অনেক বড় ঘটনা। 



---- কি হইছে কো তো। 



---- বন্ধু তোমার নানুর বাড়ি কি পার্কের বেঞ্চে? 



---- ওওও বুজছি। দে চলে আয় যেখানে আছস। 



তারপর গেলাম আকিবের কাছে। আকিবের সাথে কিছুক্ষন কথা বলার পর আকিবকে বললাম,,,,,,



----- দোস্ত তোর সাথে একটু পার্সোনাল কথা একটু সাইডে আয়। 



---- ওকে। চল।



তারপর রুবিনা মানে আকিবের জিএফ বলল,,,,



---- কি এমন কথা যা এখানে বলা যাবে না।? 



---- না ভাবি একটু পার্সোনাল কথা মাত্র ৫ মিনিট। 



এইবলে আমি আর আকিব সাইডে আসলাম আকিব বলল,,,,,



---- কি রে কি বলবি বল



---- দোস্ত,,,,আমি রিমিরে খুব ভালোবাসি। কিন্তু ওরে বলতে পারতেছি না। খুব ভয় লাগতেছে যদি ও ফ্রেন্ডশিপ টাই শেষ করে দেই। প্লিজ কিছু কর দোস্ত প্লিজ।



---- দেখ বন্ধু মেয়েদের বুক ফাটে তবুও মুখ ফুটে না। তাই আমার মতে তুই আজ ইই বলে দে রিমি রে যে তুই ওরে ভালোবাসস। বাকিটা পরে দেখা যাবে। 



---- আচ্ছা কি দিয়ে বলমু কিছুই তো পাই না। 



---- আচ্ছা দ্বারা 



এই বলে একটা দৌড় মেরে আকিব কোন জায়গা থেকে জানি গোলাপ নিয়ে আসল এক তোড়া আর বলল,,,,,



--- এই নে দোস্ত এইটা দিয়ে প্রোপজ কর ভাবিরে। 



---- তারপর অনেক কষ্টে বুক ভরা সাহস নিয়ে গেলাম রিমির কাছে তারপর বললাম,,,,,



রিমি তুমি আমাকে নিয়ে কি ভাবো জানি না কিন্তু তোমায় নিয়ে আমি অনেক কিছু ভাবি। যেদিন তোমায় প্রথম দেখেছিলাম সেদিনিইই তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। তোমার দুষ্টু মিষ্টি শাসন আমার খুবি ভালো লাগে।  রিমি আই লাভ ইউ। ডু ইউ লাভ মি,,,,,,,,, তারপর রিমি যা বলল তা শুনে তো আমি পুরা টাসকি।



---- আরিয়ান এইটা ভালোবাসা না এইটা আবেগ,,,আবেগ কেটে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর কলেজে তো এখন অনেক মেয়ে ইই তোমার ওপর ক্রাশ খায় ওদের প্রোপোজ কর। আমারে করতেছ কেন? আমার মধ্যে কি এমন বিশেষতা পাইছ তুমি?? 



---- রিমি আমি যখন নরমাল গরীব ভাবে চলতাম তখন কেউ ইই আমার পাশে দাড়াই নি বন্ধুত্ব করতে চাই নি। বরং সবাই আমাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছে। তখন তুমি ইই একমাত্র মেয়ে ছিলে যে আমার পাশে দাড়িয়ে ছিলে। 



---- কিন্তু কলেজে তো এখন অনেকেই তোমার ওপর ক্রাশ। আমি তো দেখেছিলাম কি সুন্দর করে কথা বলতেছিলে ওদের সাথে ওদের কাউকে প্রোপোজ কর আমারে করতেছ কেন? 



না সকালের ঘটনায় রিমি খুব কষ্ট পেয়েছে।  কেনো যে ওদের সাথে কথা বলতে গেলাম। আর এইদিকে পার্কের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে কারন আমি অনেকক্ষন ধরেই হাটু গেড়ে বসে আছি। তাই সবাই আগ্রহ নিয়ে দেখছে।আমাদের। 



---- রিমি ওই গুলা সব দুধের মাছি। আমার সাথে এখন কথা বলে আমার টাকা আছে বলে। দেখ পার্কের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। প্লিজ তোমার উত্তর টা দাও হ্যাঁ নাকি না। 



---- ওহহহ,,,,,,তোমার সরম লাগতেছে বুজি। তাইলে প্রোপোজ করলা কেন। যাও চলে যাও। 



তখন আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আকিব বলে উঠল,,,,,,



---- না রিমি,,,,, আরিয়ান সেটা মিন করতে চাই নাই। ও মিন করতে চাইছে যে সবাই মজা নিতেছে তোমাদের দিকে তাকিয়ে। তাই তুমি ওরে তোমার উত্তর টা দিয়ে দিলে ভাল হই। 



---- হ্যাঁ ভাইয়া উত্তর তো দিবই। তার আগে শাস্তি দিয়ে নেই কেন আমারে এত কষ্ট দিছে। কেন এই কথা টা আগে বলে নাই। 



---- দেখ প্লিজ রিমি শাস্তি পরে দিও সত্যি খুব টেনশন হচ্ছে। প্লিজ উত্তর টা দাও। পরে শাস্তি দিও। 



---- আরে গাধা তোমার সাথে এতদিন থাকার পরও বুজতে পারো নাই কতটা ভালোবাসি তোমায়। 



এই কথা বলে রিমি আমার হাতের গোলাপ টা নিয়ে সবার সামনে জড়িয়ে ধরল। আমি তো সেই লেভেলে খুশি৷ তারপর কিছুক্ষন পরে ছেড়ে দিয়ে বলল



---- এইবার শাস্তির পালা,,,,,,কি শাস্তি দেয়া যায় বলো তো তোমায়।



---- আমি কি জানি। তুমি যা শাস্তি দিবা সেটাই মেনে নিব।  



---- তুমি আজকের পর থেকে মেয়েদের সাথে কথা বলবা না। সব মেয়েকে নিজের বোন মনে করবা। 



---- ওকে ম্যাডাম। আপনি যা বলবেন তাই হবে। 



---- হুম গুড বয়। 



তারপর আরো কিছু সময় কাটিয়ে রিমিকে ওর বাসায় দিয়ে আসলাম। তারপর আমিও বাসায় চলে আসলাম৷  বাসায় এসে দেখি রিমি কল দিল। তারপর ওর সাথে একটু কথা বলে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।



তারপর দুপুরের খাবার খেয়ে দিলাম একটা ঘুম। এক ঘুমে বিকাল হয়ে গেছে। তারপর বিকালে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম মাঠে খেলতে খেলা শেষ করে বাসায় আসলাম। তারপর আম্মু জিজ্ঞেস করল,,,,,, 



---- আরিয়ান রিমি টা কে রে? 



আম্মুর মুখে এই কথা শুনে তো আমি শকড। আম্মু জানলো কেমনে রিমিরে কথা। আল্লাহ এইবার আমার কি হবে? এইবার তো আম্মু আমায় আর ছাড়বে না। এই কথা ভাবতেছিলাম আম্মু একটা ধমক দিয়ে বলল,,,,,



---- কি হল কথা কানে যায় না কে রিমি? 



---- আম্মু রিমি আমার কলেজের বন্ধু,,, কেন?



---- ও আজ বিকাল থেকে তোরে কল দিতে দিতে শেষ। নাহলেও তো প্রায় ১৫০ বা ২০০ কল দিয়েছে আজ৷ 



---- ওহহহ,,,,তা তোমার সাথে কথা হয়েছে নাকি?  



---- হুম,,,,তোর রুমে একটা কাজের জন্য গেছিলাম পরে দেখি তোর ফোন বাজতেছে তাই রিসিব করে বললাম যে তুই বাসায় নেই বাইরে খেলতে গেসস। 



---- ওহহহ,,,,,,তা রিমি কি কিছু বলেছে তোমায়? 



---- বলছে তুই বাসায় আসলে একটা কল দিতে ওরে। 



---- ওহহহ 



এই বলে রুমে চলে আসলাম। তারপর মোবাইলে অন করে দেখি ২১০ টা কল আর ১৫০ টা মেসেজ। না আজ আমার কি হবে আল্লাহ জানে। রিমি আমারে কি করবে। সেই কথা ভেবেই ভয় লাগতেছে। 



এখন কল না দিলে কি করবে আমারে আল্লাহ জানে তাই আল্লাহার নাম করে দিলাম কল,,,,,  কল দেয়ার সাথে সাথেই রিসিব মনে হই মোবাইল নিয়ে বসে ছিল,,,,,



---- হেলো রিমি (অনেকটা ভয় পেয়ে)  



---- সালা কুত্তা,,, হারামি,,,,বান্দর,,,,টিকটিকি,,,বিলাই,,,, ইন্দুর,,, তারপর ওরে থামিয়ে আমি বললাম,,,,,



---- এই থাম থাম,,,,এত রাগ করতেছ কেন? এইরকম ভুল আর কোনোদিন হবে না এইবারের জন্য মাফ করে দাও। 



---- এই তুই থাম।  একদম মাথা গরম করিস না।তোরে যা করমু কাল করমু। কাল কিন্তু কলেজে আসবি। না আসলে ঘর থেকে তুইলা আনমু। 



---- আচ্ছা আচ্ছা আসব না। 



---- হুম। ফোন রাখ মাথা গরম আছে। 



এই বলে ফোন টি রেখে দিল। বাপরে কাল কলেজে কি হবে আমার আল্লাহ জানে। আমার অবস্থা কাল টাইট দিবে। আসলে দোষ টা আমারি আমি যদি ওরে একবারো বলে যেতাম তাহলেও হত। কি আর করার কাল টাইট হমু রিমির হাতে।



এইসব ভাবতেছিলাম হঠাৎ দেখলাম আমার নাম্বারে দেখলাম একটি মেসেজ আসল,,,,,You Have Received 25,00,000 tk from account no ********10 to ********78 in your account.  আমি বুজলাম এই টা কে করল। তাই কল দিলাম রাকিব ভাই কে,,,,,



---- হেলো ভাই আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন 



---- ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,আছি আলহামদুলিল্লাহ। তা টাকা গেছে তোমার?  



---- হ্যাঁ ভাই। কিন্তু আপনি কেন আমায় এই টাকা দিলেন। আমি তো আপনায় বলছিলাম যে আমার লাগবে না। 



---- হ্যাঁ তুমি বলছিলা যে দরকার নাই৷ কিন্তু এইটা তোমার পাওনা। তাই তোমায় দিলাম।  বাদ দাও এইসব কথা এখন বলো  Dark Queen  এর কোনো খোজ পেলে। 



---- না ভাই। কোনো খোঁজ পাই নাই। কিন্তু পেয়ে যাব খুব শীগ্রই।  পেয়ে যাব। 



---- হুম খুজো আমিও খুজি৷ 



এইবলে কল কেটে দিলাম।  তারপর নাস্তা করে পড়লাম। পড়া শেষে রাতের খাবার খেয়ে রিমি কে কল দিলাম,,,,,,



---- হেলো রিমি কি করতেছ? 



---- বসে আছি। খাইছত?  



---- হুম তুমি খাইছ? 



---- জানা লাগবে না। যা ঘুমিয়ে পড়। খবরদার কোনো মাইয়ার সাথে যদি কথাও কইছস তাইলে তোর খবর আছে।  মনে রাখিস। 



এই বলে কল কেটে দিল। বুজলাম এখনো বেশ রেগে আছে আমার উপর। তাই আমিও আর কিছু করলাম না। কল কেটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ভাবতেছিলাম কাল কি অবস্থা হবে আমার। । এই সব নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।  সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ফোনের রিং টোনের শব্দে চেয়ে দেখলাম রিমি কল দিছে তাই সাথে সাথে রিসিব করলাম,,,,,,,



---- হেলো রিমি,,,,



---- এখনো তো ফ্রেশ হস নাই।  ৪৫ মিনিটের মধ্যে কলেজে আসবি নাহলে তোর খবর আছে। 



---- ওকে। 



তারপর এক লাফে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর নাস্তা করে রেডি হয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম কলেজে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি এখনো রিমি আসতে এখনো ১৫ মিনিট লেট আছে তাই ক্যাম্পাসে দাড়িয়ে রইলাম। হঠাৎ দেখলাম মাহি আর তার বান্ধবীরা আমার কাছে আসতেছে। কাছে এসে মাহি বলে উঠল,,,, 



---- আরিয়ান আই এম সরি। তোমার সাথে আসলেই ওইভাবে আচরন করা আমার ঠিক হই নি। আমাকে প্লিজ মাফ করে দাও। 



---- আচ্ছা মাফ করলাম। শুধু একটা কথায় বলব সবাইকে সমান চোখে দেখিয়েন। কারন গরীব রাও মানুষ। সমাজে এদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। আপনি বড়লোক বলে যে এদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন এইটা কোনো কথা না। সো আশা করব আজকের পর থেকে  আপনি সবাইকে সম্মান করবেন। 



---- হুম ওকে। লেটস ফ্রেন্ডস? 



---- হুম ফ্রেন্ডস 



এইবলে ওদের সাথে কথা বলতেছিলাম দেখলাম রিমি আসতেছে। তাই ওদের থেকে একটু দূরে সরে এলাম। কিন্তু মাহি আমার গা ঘেষে দাড়িয়ে আছে আর তা রিমি খুব ভালো করেই দেখতে পেয়েছে। তাই তো আরও স্পীডে আমার দিকে আসতেছে। আমি আবার মাহির থেকে একটু দূরে সরে দাড়ালাম।  রিমি আমাদের সামনে এসে দাড়িয়ে বলল,,,,



---- আরিয়ান এইদিকে আস,,



---- তাই আমি বাধ্য ছেলের মত চুপ করে চলে আসলাম। 



তারপর রিমি বলে উঠল,,,,, 



---- মাহি শুন তোদের বলা হয় নাই।  আরিয়ান আমার বিএফ।  কাল ই আমারে আরিয়ান প্রোপজ করল। আচ্ছা বাই একটু কাজ আছে। 



এইবলে আমার হাত ধরে নিয়ে গেল কলেজের পিছনের সাইডে যেখানে সচারাচর কেউ যাই না। তারপর সেখানে রিমি যা করল আমি ভাবতেও পারি নাই,,,,,,,,,




চলবে........

#ডার্ক_হ্যাকার_যখন_ক্ষ্যাত_পর্ব-০৮
#dark_hacker_jokhon_khet_part_08
#banglastory143

কেমন হলো সবাই জানাবেন। ধন্যবাদ





No comments

Powered by Blogger.