গল্প | ডার্ক হ্যাকার যখন ক্ষ্যাত - পর্ব-১১


গল্প | #ডার্ক_হ্যাকার_যখন_ক্ষ্যাত

পর্ব | ১১

লেখক | আরিয়ান






তারপর আকিব যা বলল আমার মাথা তো পুরাই হট হয়ে গেছে কারন,,,,,



মাহি নাকি পুরা কলেজে বলতেছে আমি নাকি ওর বয়ফ্রেন্ড। (আসলে আমার আর রিমির ব্যাপারে কলেজের কেউ ইই তেমন জানে না তাই মাহি এইসব বলতেছে।  কিন্তু ও কেন এইসব বলতেছে কি লাভ ওর এইসব করে) 



---- দোস্ত তুই যা বলছস তা কি সব সত্যি? 



---- হুমমম রে বিশ্বাস কর আমিও প্রথমে ভাবতে পারি নাই কিন্তু যখন সবাইকে এই বিষয় নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম সবাই ইই বলেছে যে মাহি নাকি ওদের বলেছে তুই নাকি মাহির বয়ফ্রেন্ড। 



---- মাহি যদি এইসব বলে থাকে তাহলে ওর কপালে খুব দুঃখ আছে। কারন আমি রিমি কে ছাড়া আর কাউকেই ভালোবাসতে পারবো না। আর রিমি এইসব শুনলে খুবই কষ্ট পাবে। 



---- হুম,,,, রে রিমি এইসব শুনলে খবই কষ্ট পাবে। 



---- হুমমম,,,,,কাল মাহির একদিন আর আমার একদিন। 



---- হুম।



---- আচ্ছা বাই। 



এই বলে কল কেটে দিয়ে ভাবতে শুরু করলাম। কেন করতেছে মাহি এইসব। এইসব করে ওর লাভ কী। এইসব চিন্তা করতে করতে মাথা শেষ। তারপর ইই দেখলাম রাকিব ভাই কল দিল তাই রিসিব করলাম,,, 



---- হেলো আরিয়ান তোমার কথা মোতাবেক ৮০% কাজ শেষ।  বাকি কাজ টা এখন তোমাকে করতে হবে। 



---- ওকে ভাই। 



---- যেভাবেই হোক আমাদের Dark Queen  কেউ ধরতেই হবে। 



---- হুম ভাই। এখন যা করার আমি করব। 



এই বলে কল কেটে দিয়ে সব চিন্তা মাথা থেকে ফেলে দিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম। এমন একটা টোপ বানাইতেছি  Dark Queen  বুজতেও পারবে না। অনেকক্ষন কাজ করার পর  দেখলাম রিমি কল দিল,,,,,



---- হেলো আরিয়ান  কি কর?



---- এইত কাজ করি। তুমি? 



---- বসে আছি খাইছ? 



---- না,,,, কাজ করতেছি।  আজ মনে হই খাব না। 



---- কি এমন কাজ করতেছ?  এখনো সুস্থ হও নাই  ঠিক করে,,,,, কাজে লেগে পরছ।



---- আরে খুব দরকারি কাজ। যদি সময়ের মধ্যে কম্পলিট করতে না পারি তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। 



---- কি কাজ বলবা তো।



---- কাল বলব।  বাই।



এইবলে রিমির মুখের ওপর কল কেটে দিলাম। জানি ও খুব রাগ করেছে কিন্তু আমাকে তো আমার কাজ করতেই হবে। তাই ওইসব ভাবা বাদ দিয়ে কাজের প্রতি মনোযোগ দিলাম। প্রায় রাত ২ টা বাজে কাজ শেষ হল। কাজ শেষ করে দিলাম একটা ঘুম। সকালে ঘুমাইতেছি হঠাৎ দেখলাম ফোনটা বেজে উঠল,,,,, 



---- আরিয়ান তুমি কোথায়?  অনেকটা ভারি কন্ঠে বলল,,,,,,



---- এইতো বাসায়। বল কি হয়েছে? 



---- আরিয়ান তুমি তাড়াতাড়ি কলেজে আসো। কলেজের সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করতেছে। (এই কথা শুনার পর তো মাথা তো প্রচুর হট হয়ে গেলা।) 



---- রিমি তুমি একটু ওয়েট কর। আমি আসতেছি।  



এই বলে কল কেটে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে দিলাম কলেজের দিকে দৌড়। কলেজে গিয়ে দেখি রিমি কলেজের একটা কোনে দাড়িয়ে আছে তাই সরাসরি তার দিকে গেলাম।  কাছে গিয়ে দেখি রিমি মন খারাপ করে বসে আছে । তাই ওর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,, 



---- রিমি তোমার কি হয়েছে মন খারাপ  কেন? 



---- তারপর রিমি ডাইরেক্ট আমাকে ধরে কান্না শুরু করল। 



---- আরে রিমি কি হল বলবা তো। 



তারপর রিমি বলল তাকে নাকি অনেক অপমান করেছে মাহি ও তার বান্ধবীরা। এই শুনে আমার মাথা তো পুরাই বিগড়ে গেল,,,,,,



---- মাহিদের এত বড় সাহস কিভাবে হয় যে তোমাকে অপমান করে? 



---- আমি নাকি তোমার যোগ্য না।  তোমার পাশে দাড়ানোর আমার নাকি কোনো যোগ্যতা নাই। আরও অনেক কথা বলল



---- তুমি কিছু বলতে পার নাই। অন্য সময় তো অনেক ঝগড়া কর।



---- আমি একা আর ওরা অনেকে। আমি ওদের যা বলি ওরা আমাকে তার ৩ গুন বেশি বলে। 



---- ওকে চল মাহির কাছে। 



এইবলে মাহি কে  কলেজে খুজলাম কিন্তু পেলাম না। তখন কেউ একজন বলল মাহি নাকি কলেজ ক্যান্টিনে। তাই তাড়াতাড়ি কলেজ ক্যান্টিনে গেলাম। গিয়ে দেখি মাহি আর তার বান্ধবীরা হাসাহাসি করতেছে। আমি সরাসরি মাহির কাছে গেলাম,,,,,,



---- এই যে মিস মাহি আপনার প্রবলেম টা কোথায়? 



---- আমার আবার কিসের প্রবেলম? 



---- আপনি আজ রিমিকে কি বলছেন? 



---- কই তেমন কিছুই তো বলি নাই। শুধু এইটুকুই বলছি যে ওর কোনো যোগ্যতাই নাই তোমার পাশে দাড়ানোর। তুমি আমার মত কাউকে ডিসার্ব কর। রিমির মত কাউকে না।



---- জাস্ট সাট ইউর মাউথ। আপনার সাহস কি করে হয় রিমি কে এইসব বলার। আপনি কে রিমি কে এইসব বলার? নিজের চরকায় তেল দিন। 



---- আরিয়ান সত্যি বলতে কি আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি৷ তোমার স্টাইল,,,,তোমার এটিটিউড সব কিছুর ওপর আমি ফিদা। প্লিজ রিমি কে ছেড়ে দিয়ে আমায় এক্সেপ্ট করে নাও। 



----- হাহাহাহা,,,,আপনি আর ভালোবাসা সত্যি হাসালেন। আপনি ভালোবাসেন আমার টাকাকে৷ আর রিমি ভালোবাসে আমাকে। আর আমি যখন কলেজে নরমাল কাপড় পড়ে আসতাম আপনি ইই তো আমায় বেশি অপমান করেছেন। তখন শুধু রিমিইইই আমার পাশে ছিল। 



---- প্লিজ আরিয়ান। আগের সব কথা ভুলে যাও। আমাকে প্লিজ এক্সেপ্ট করে নাও।



---- না। এটা পসিবল না। আমি শুধু একজনকেই ভালোবাসি। আর সে হল রিমি। আর কাউকেই না। 



----- ওকে,,,,,,সোজা আঙ্গুলে ঘি না উঠলে আঙ্গুল বেকাতে হয়। আমিও দেখব রিমি কিভাবে তোমার হয়। দরকার হলে ওরে আমি দুনিয়া থেকেই সরাই দিব। 



মাথা তো পুরাই হট হয়ে গেল। তাই দিলাম কষিয়ে একটা থাপ্পড়। এক থাপ্পড়ে প্রায় ২/৩ হাত দূরে গিয়ে পড়ল মাহি। আর ক্যান্টিনের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। তারপর মাহিকে বললাম,,,,,,



---- তুই যদি রিমির  কোনো ক্ষতি করস তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।  



এইবলে রিমির হাত ধরে সোজা বাড়ি চলে আসলাম। 



---- আরিয়ান তুমি কেন এমন করলে মাহির সাথে? আর আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? 



---- তো কি করব। ও আমার সামনে তোমাকে অপমান করবে আর আমি চুপচাপ দেখব। দেখ মাথা গরম আছে উল্টাপাল্টা কিছু বলিও না।



---- ওকে। 



অন্যদিকে,,,,,

----- মাহি দেখলি আরিয়ান তোরে সবার সামনে থাপ্পড় মারল। তাও ওই রিমির জন্য। 



---- হুম রে নীলা । এখন আমি যে কতটা ভয়ংকর হতে পারি তা আরিয়ান দেখবে। রিমিকে আমি ওর থেকে চিরকালের মত দূরে সড়িয়ে দিব। ওই রিমির জন্যই তো আজ আরিয়ান আমার গায়ে হাত তুলল। এর ফল অনে ভয়ংকর হবে। 



---- কি করবি রে তুই?  



---- এমন ব্যবস্থা করব যাতে রিমি আর কখনোই আরিয়ান এর কাছে না আসতে পারে। সরে যায় চিরকালের মত।  শুন আমার মাথা এখন অনেক  গরম আছে। বাসায় গেলাম আমি। 



অপরদিকে,,,,,,

আমি আর রিমি আমার বাসায় চলে আসলাম। 



---- এইটা কার বাড়ি আরিয়ান?  



---- আমার বাড়ি।  



---- তুমি আমায় কেন তোমার বাড়িতে নিয়ে আসলে? 



----  কাজ আছে চলো। এই বলে রিমিকে বাড়ির ভিতরে  নিয়ে  গেলাম। 



আম্মু আম্মু  কোথায় তুমি দেখ কে এসেছে,,,,,,,,



---- কি রে ষাড়ের মত চিল্লাইতেছস কেন? আর কে আসলো?  ( এই কথা বলে আম্মু রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে আসল) 



----- আম্মু দেখ কাকে নিয়ে এসেছি৷


 

----- আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন। 



----- ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আস আস বস এখানে। (এইবলে আম্মু রিমিকে সোফায় বসিয়ে দিল আর রিমির পাশে বসে পড়ল)। তা মা বল কেমন আছ? 



----- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি  আন্টি।



---- আরিয়ান এর আব্বু তো বলতেছিল কাল ইই তোমাদের বাড়ি যাবে। তোমাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে। 



---- ওহহ। আংকেল কেমন আছেন? 



---- জিহহহ আলহামদুলিল্লাহ সেও ভালো আছে। শুন আজ দুপুরে কিন্তু খেয়ে যাবে আমি কিন্তু রান্না করতেছি। 



----- না না আন্টি। আজ না অন্যদিন। 



---- বড়দের কথা শুনতে হয়। এই বলে আম্মু চলে গেল। 



তারপর রিমি বলল,,,,,,

----- আরিয়ান তোমার রুম কোথায়? 



---- ওইতো ওপরে। (এই বলে রিমিকে আমার রুমে নিয়ে এলাম।  রিমি আমার রুম টা ঘুরে ঘুরে দেখতেছিল।) 



----- আচ্ছা রিমি শুনো।  তুমি এখানে একটু বসো।  আমি একটা  ভিডিও করব। এই বলে রিমি কে বসিয়ে দিলাম আর আমি ভিডিও তে বলতে  শুরু করলাম,,,,,,,,


চলবে.........

কেমন হল সবাই জানাবেন। ধন্যবাদ।


#dark_hacker_jokhon_khet_part_11

#banglastory143

No comments

Powered by Blogger.