গল্প | ডার্ক হ্যাকার যখন ক্ষ্যাত - পর্ব-১০


গল্প | #ডার্ক_হ্যাকার_যখন_ক্ষ্যাত 

পর্ব | ১০

লেখক | আরিয়ান



আমরা হাটতে ছিলাম হটাৎ ইই আমাদের সামনে কিছুলোক আসল। সবাই মুখে রুমাল বেধে হাতে হকিস্টিক নিয়ে আসল আমাদের সামনে। এইসব দেখে রিমি আমায় আরো জোরে ধরে রাখি। ওদের মধ্যে একজন বলতে শুরু করল,,,,,,



---- এই তুই  আরিয়ান না রে?  



---- জিইই কেন? 



---- ওকে। 



এইবলে ওরা আমায় মারতে শুরু করল ওরা প্রায় ১০/১৫ জন। রিমি এইসব দেখে ওদের হাতে পায়ে ধরতেছে যাতে আমায় ছেড়ে দেই। কিন্তু ওরা আমায় মারতে থাকে। তারপর আমার আর কোনো হুশ নেই।  



যখন হুশ ফিরল নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করলাম। আর আমার পাশে আমার হাত ধরে রিমি শুয়ে আছে। আমি হালকা করে আমার হাত টা সরিয়ে নেয়ার সাথে সাথেই রিমি জেগে উঠল। 



---- আরিয়ান কখন হুশ ফিরল তোমার। 



এই বলে আমাকে ধরে কান্না শুরু করে দিল। ও কে দেখে বুজলাম অনেক কেঁদেছে মনে হয়। কারন চোখ গুলা খুব ফোলা চোখের নিচে কালো হয়ে পড়েছে।  মেয়েটা আমার জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে।



----আরিয়ান তুমি শুয়ে থাক। আমি ডাক্তার কে নিয়ে আসছি। 



এইবলে রিমি একজন ডাক্তার নিয়ে আসল। ডাক্তার আমার চেক আপ করতেছিল আর বাইরে রিমি ফোনে কার সাথে যেন কথা বলতেছিল। হঠাৎ ডাক্তার বলে উঠল,,,,, 



---- ভাই আপনি অনেক লাকি। এত কেয়ারিং একজন ওয়াইফ পাইছেন। আজ কাল এত কেয়ারিং ওয়াইফ পাওয়া যায় না। আপনার ওয়াইফ আপনার হুস না আসা পর্যন্ত সে আপনার পাশেই বসে ছিল। 



---- আচ্ছা আমি কতদিন ধরে অজ্ঞান আছি একটু বলবেন? 



---- আজ নিয়ে ৭ দিন। 



ওহহ আল্লাহ। মানে ৭ দিন ধরে আমি এখানে। বাইরের দুনিয়ার সাথে আমার ৭ দিন ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। আর ওই লোকগুলা কে ইই বা ছিল কেন ইই বা মারল আমায়। 



অনেক প্রশ্ন মাথা ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কিছুর উত্তর পাইতেছি না।  না কে আমাকে মেরেছে তাদের খুজতেই হবে। তারপর দেখলাম রিমি রুমে ডুকে। ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করছে,,,,,,,



---- এখন আরিয়ান কেমন আছে? 



---- আগে থেকে ভালো আছে। তবে ১৫ দিন বেড রেস্ট করতে হবে। 



এইবলে ডাক্তার চলে গেল। আর রিমি আমার হাত ধরে কান্না শুরু করে দিল। 



---- আরে আরে কান্না করতেছ কেন? 



---- আমার জন্যই তুমি আজ হাসপাতালে। আমার জন্যই তো আজ তোমার এই অবস্থা। (এই বলে কান্না শুরু করল) 




---- আরে থামো রিমি। তোমার জন্যই কিছুই হয় না আমার। বাদ দাও। 



রিমির সাথে কথা বলতেছিলাম। দেখলাম আম্মু,, আব্বু,,আকিব আরো একজন লোক আসল।  কে সে আমি চিনলাম না। আম্মু আমার কাছে এসেই কান্না শুরু করে দিল। 



এতক্ষন করল রিমি কান্না এখন করে আম্মু কান্না সবাই শুধু কান্নাই করে। পরে আম্মুকে বললাম,,,,,



---- আম্মু থামো প্লিজ। আমি তো এখন সুস্থ আছি তাই না। প্লিজ কান্না করিও না আর। 



---- বাবারে তোরে কেন এইরকম করল?  



----আম্মু আমি জানি না। বাদ দাও এইসব। তারপর একে একে সবাই দেখা করল শেষে আসল ওই অপরিচিত লোক টি



---- কে আপনি আপনাকে তো চিনলাম না? 



---- আমি রিমির ভাই। আর রিমি আমাদের সব কিছুই বলেছে তোমাদের সম্পর্কে। তুমি আগে সুস্থ হউ তারপর এই নিয়ে কথা বলব। 



 আমি রিমির দিকে তাকালাম। রিমিও হ্যাঁ সূচক উত্তরে মাথা নাড়াল। আব্বু আম্মু ও আমার দিকে তাকিয়ে রইল। 



আমি সরমে ওদের দিকে তাকায় নি। কিছুক্ষন পর সবাই চলে গেল৷ হঠাৎ দেখলাম আমার ফোনটা বেজে উঠল। দেখলাম আর কেউ না রাকিব ভাই কল করল,,,,, 



---- হেলো ভাই আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন?  



---- ওয়ালাইকুম আসসালাম।  আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছ? শুনলাম তোমার ওপর কারা নাকি এট্যাক  করেছিল। 



---- হুম ভাই। এখন আপাতত ঠিক আছি। তা ভাই Dark Queen এর কি খবর? 



----- Dark Queen এর জন্যই তোমাকে কল দিয়েছি।  এই Dark Queen বাচা মুশকিল করে দিছে।  নিজেকে অনেক বড় হ্যাকার ভাবে। সে রীতিমতো এটাও দাবি করেছে যে সে নাকি Dark Devil এর থেকেও বড় হ্যাকার। আর এই Dark Queen প্রতিদিন অগনিত সাইবার ক্রাইম করেই যাচ্ছে৷ এবার ওকে থামানো দরকার। 



---- হুমমমম,,,,,,,ভাই ঠিক। আর না। এইবার Dark Queen কে থামানো দরকার। 



---- হুম।  দেখ কি করতে পারো তুমি। আর নিজের যত্ন নিও। আল্লাহ হাফেজ। 



--- হুম ভাই। 



এই বলে কল কেটে দিলাম। আর ভাবতে লাগলাম কিভাবে থামাবো এই Dark Queen কে এই নিয়ে অনেকক্ষন  ভাবলাম কিন্তু কিছুতেই কিছু করতে পারলাম না। কিছুক্ষন পর রিমি রুমে প্রবেশ করে বলল,,,,,,



---- এখন কেমন লাগছে তোমার আরিয়ান? 



---- হুম ভালোইইই।



---- জানো আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম তোমার যদি কিছু হয়ে যেত তাহলে আমি কিভাবে বাঁচতাম। 



---- আরেহহহহ ধুররর পাগল আমি তো ঠিক আছি 



---- হুমম,,,,,রেস্ট নাও৷ ডাক্তার বলেছে কাল ইই তোমাকে ডিসচার্জ করে দিবে। কাল ইই তুমি বাসায় ফিরতে পারবে।  পরে রিমির সাথে অনেক কথা বললাম। রাতে  রিমি আমার সাথেই ছিল। মেয়েটা আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমার অনেক যত্ন করেছে।  তারপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।



সকালে আব্বু - আম্মু  এসে আমাকে হসপিটাল থেকে বাসায় নিয়ে গেল আর রিমি ওর বাসায় চলে গেল। বাসায় এসে শুয়ে শুধু একটাই চিন্তা কিভাবে Dark Queen কে ধরা যাই। পুরা সাইবার ঘেটে ফেললাম কিন্তু Dark Queen কে নিয়ে কোনো কিছুই পেলাম না।  এইসব ভাবতেছিলাম,,,,,দেখলাম রিমি কল দিল তাই রিসিব করে বললাম,,,,,,



---- হেলো কি কর? 



---- এইতো বসে আছি তুমি? 



---- আমিও বসে আছি। বসে বসে একটা কথা ভাবতেছি।  



---- কি কথা? 



---- Dark Queen কে নিয়ে। কিভাবে Dark Queen কে ধরব সেই চিন্তা। সারাদিন ভাবলাম তারপরেও কোনো উপায় পেলাম না। 



---- আরিয়ান দেখ তুমি এইসব একদম ভাববে না। সবে মাত্র তুমি ঠিক হয়েছ। আর এইসব ভেবে আবার অসুস্থ হয়ে পড়বে। সো এইসব চিন্তা মাথা থেকে বের করে দাও।  



---- হুম দেখি। এইবলে আরো কিছুক্ষন পর কথা বলে কল কেটে দিলাম। হঠাৎ একটা বুদ্ধি মাথায় আসল। তাই সাথে সাথে রাকিব ভাইকে কল দিলাম,,,,,,



---- হেলো ভাই আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? 



---- ওয়ালাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছ? 



---- আলহামদুলিল্লাহ ভাই। ভাই আপনাকে একটা কথা বলার জন্য  কল দিলাম 



---- হুম বল কি কথা? 



তারপর রাকিব  ভাইকে প্ল্যান বুজিয়ে বললাম। প্ল্যান এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। 



---- ওয়াও। ওয়াট এ গ্রেড আইডিয়া। আরিয়ান আশা করি তোমার এই প্ল্যান কাজ করবে। 



---- হুম ভাই আশা করি। যদি মাছ টোপ খায় তাইলে তো ভালোই।



---- হুম। তাহলে তুমি প্ল্যান মোতাবেক কাজ শুরু করে দাও। আর মনে রেখ কাজ টা কিন্তু অবশ্যই ২/৩ দিন পরে করতে হবে। 



---- হুম ভাই হয়ে যাবে। 



এইবলে কল কেটে দিয়ে লেগে পড়লাম কাজে। কাজ করতেছি হঠাৎ দেখলাম আকিব কল দিল তাই রিসিব করলাম,,,,



---- হেলো আরিয়ান কেমন আছত? 



---- হে রে বন্ধু ভালো তুই কেমন আছত? 



---- হুম ভালো। বন্ধু কলেজের ব্যাপারে কিছু শুনছস? 



---- না রে কেন কি হয়েছে।



তারপর আকিব যা ভালল আমার মাথা তো পুরাই হট হয়ে গেছে,,,,,কারন 




চলবে----------

কেমন হল সবাই জানাবেন।  ধন্যবাদ।

#ডার্ক_হ্যাকার_যখন_ক্ষ্যাত_পর্ব_১০

#dark_hacker_jokhon_khet_part_10

No comments

Powered by Blogger.