গল্প | সিনিয়র মিস - পর্ব-০৩ | Senior Miss - Part-03

Writer | Tamim


ওইই কুত্তা কই তুই এখনও ঘুমিয়ে আছিস তাইনা মনে নেই গতকাল কি বলেছিলাম (অপাশ থেকে কথাগুলো ভেসে উঠল)


আমিঃ খালা আম্মা আপনি যাকে এখন ফোন দিয়েছেন উনি এখন ঘুমের দেশে আছেন।। দয়া করে উনার ঘুম ভাঙলে আবার ফোন দিয়েন (বলেই ফোন কেটে দিলাম)।।


ফোন কেটে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পরলাম।। প্রায় কিছুক্ষণ পর নিচে আম্মুর আর একটা মেয়ের কথা শুনতে পেলাম।। জানি না সকাল সকাল কে এসেছে।। ঘুম ভেঙে যাওয়ায় আর ভালো করে ঘুম লাগেনি তাই নিচে কারও কথা বলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।। সেইদিকে কান না দিয়ে আগের মতো ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।।


এদিকে মিম ফোনে তামিমের এমন কথা শুনে রাগে আগুন হয়ে তামিমের বাসায় আসল।। এসে দেখে ওর বাবা-মা বসে বসে চা খাচ্ছেন।। তারা মিমকে দেখে একটু অবাক হলেন এতো সকাল সকাল মিম আবার কেন এসেছে।।


আম্মুঃ আরে মিম মামনি যে তা হঠাৎ করে আমাদের কথা কীভাবে মনে পরল..?


মিমঃ না মানে আন্টি পড়াশোনার চাপে একটু বিজি থাকি তাই আসতে পারি না।। আচ্ছা আন্টি তামিম কই ওকে তু দেখছি না..?


আম্মুঃ ও তু এখনও ঘুমাচ্ছে কেন কোনো দরকার আছে নাকি..?


মিমঃ হে আসলে আমি একটু মার্কেটে যাব তু তাই ওকে সাথে নিতে এসেছিলাম।।


আম্মুঃ ওহহ তাহলে তুমি একটু বস আমি ওকে ডেকে দিচ্ছি।।


মিমঃ না আন্টি তার কোনো প্রয়োজন হবে না আমি নিজেই ওকে ডেকে আনছি আপনি বসেন😊।।


আম্মুঃ আচ্ছা তাহলে তুমি যাউ।।


এরপর মিম সোজা তামিমের রুমে চলে এলো।। এসে দেখে সে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে একদম ছোট বাচ্চার মতো লাগছে ওকে।। প্রথমে মিম ভেবেছিল ওকে ঘুম থেকে জাগাবে না কিন্তু পরক্ষণেই ওর ফোনের কথাগুলো মনে পরে গেল।।


মিমঃ আমার কথা অমান্য করে এখন শান্তিতে ঘুমানো হচ্ছে তাইনা।। দাড়াউ চান্দু তোমার ঘুম আমি ছুটাচ্ছি👿।।


আমিঃ অনেক শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলাম এমন সময় মনে হল সারা বিছানা ভিজা।। আমার তু আবার ওইসব করার বদ অভ্যাস নেই তাহলে বিছানা ভিজল কি করে।। আর ঘুমিয়ে থাকতে পারলাম না ঝট করে উঠে পরলাম আর এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।। হঠাৎ সামনে তাকিয়ে দেখি মিম আপু একটা মগ নিয়ে দাড়িয়ে আছে আর শয়তানি হাসি দিচ্ছে।। আর বুঝতে বাকি রইল না গায়ে পানি কে দিয়েছে।। আপনি আমার গায়ে পানি দিলেন কেন..?


মিমঃ দিয়েছি ব্যস করেছি এখন না উঠলে আরও দিব।। আমার কথা অমান্য করা তাইনা আর ফোনে কি যেন বলেছিলি মনে আছে..?


আমিঃ আমি আপনাকে কখন কি বললাম😲..? (অবাক হয়ে)


মিমঃ কিছু না বলে আমার ফোনটা নিয়ে কি যেন করে আবার আমার কাছে দিয়ে বলল, দেখ ভালো করে এটা কার নাম্বার।।


আমিঃ ভালো করে চেক করে দেখি এটা মিম আপুর নাম্বার আর তখনই চোখ পরে কল হিস্টোরিতে।। একি আমি এটা কি দেখছি তার মানে একটু আগে মিম আপুই আমায় কল দিয়েছিলেন।। আর আমি নাকি উনাকে কতো কি হলে ফেললাম।। এখন কি হবে আমার হায় আল্লাহ বাচাউ মুঝে😰।।


মিমঃ কি হল চুপ করে আছিস কেন কথা বল।।


আমিঃ কি বলব..?


মিমঃ কুত্তা আমায় খালা আম্মা ডাকা তাইনা আমি কি তোর খালা আম্মা লাগি আমায় তোর খালা আম্মা লাগে😠 (রাগে আমার কলার চেপে ধরে)।।


আমিঃ সরি তখন ঘুমের মধ্যে ফোন দিয়েছিলেন তু তাই আমি বুঝতে পারি নি😥।।


মিমঃ বুঝবি কীভাবে আমার বলা কথাটা তু তোর মনেই নেই😡।।


আমিঃ কিছু বললাম না।।


মিমঃ যা তারাতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নে আমরা এখনই বের হব।।


আমিঃ কলেজ নাই বা গেলাম কিন্তু আম্মু আব্বুকে কি বলব যদি জিজ্ঞেস করে আমরা কোথায় যাচ্ছি..?


মিমঃ সে ব্যবস্থা আমি করে ফেলেছি আন্টিকে বলেছি মার্কেটে যাব বলে তোকে সাথে নিতে এসেছি।।


আমিঃ ওহহ তাহলে ভালোই হল।। আপনি নিচে যান আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।।


এরপর ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি মিম আপু আগের মতো বিছানায়ই বসে আছেন।।


আমিঃ আপনি এখনও নিচে যান নাই..?


মিমঃ না তোকে নিয়ে একসাথে যাব এখন তারাতাড়ি রেডি হয়ে নে।।


আমিঃ আচ্ছা কিন্তু আগে আপনি নিচে যান।।


মিমঃ কেন আমি নিচে যাব কেন..?


আমিঃ আপনার সামনেই কাপড় চেঞ্জ করব নাকি তাই যেতে বলছি।।


মিমঃ করলে সমস্যা কি😄 (শয়তানি হাসি দিয়ে)।।


আমিঃ কিহহ এইসব কি বলছেন আপু😳..?


মিমঃ আচ্ছা আমি যাচ্ছি তুই রেডি হয়ে নিচে আয় তারাতাড়ি (বলেই মিম আপু রুম থেকে বের হয়ে গেলেন)।।


আমিঃ কি মেয়েরে ভাই কিছুই মুখে আটকায় না যা মন চায় তাই বলে।।


এরপর আমিও রেডি হয়ে নিচে চলে এলাম।। এসে দেখি মিম আপু আম্মুর সাথে বসে বসে গল্প করছেন।।


আমিঃ চলেন আমি রেডি।।


মিমঃ আন্টি তাহলে আমি আজ আসি😊..? (বসা থেকে দাড়িয়ে)


আম্মুঃ আচ্ছা দুজন সাবধানে যেও কিন্তু।।


তারপর মিম আপুকে সাথে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম।।


আমিঃ মার্কেটে যাবেন কি দিয়ে..?


মিমঃ একটা রিক্সা ডাক রিক্সা দিয়েই যাব।।


আমিঃ এক রিক্সায় দুজন😲..?


মিমঃ হুম তারাতাড়ি ডাক দেড়ি হয়ে যাচ্ছে।।


আমিঃ কি আর করার অনেক্ষণ খুজে একটা রিক্সা পেলাম।। অতঃপর মিম আপুকে রিক্সায় উঠতে বলে নিজেও উঠে বসলাম (ইচ্ছা না থাকা সত্তেও)।।


মিমঃ কি হল এতো চেপে বসছিস কেন পরে যাবি তু, এদিকে আয়।।


আমিঃ না আমি ঠিক আছি (প্রথমবার কোনো মেয়ের সাথে এক রিক্সায় বসেছি তু তাই একটু নার্ভাস ফিল হচ্ছে)।।


মিমঃ তোকে আসতে বলছি না এদিকে আয়😡 (রাগি ফেস করে)।।


আমিঃ উনার এমন রাগি ফেস দেখে আর থাকতে পারলাম না ভয়ে ভয়ে উনার সাথে চেপে বসলাম।।


রিক্সা চলছে নিজ গতিতে আর সেই সাথে গায়ে হালকা বাতাসও লাগছে।। এদিকে মিম আপুর সাথে চেপে বসার ফলে উনার শরীর থেকে একটা পাগল করার মতো পারফিউম এসে নাকে লাগছে।। বাতাসের কারণে উনার চুলগুলোও বার বার আমার নাকে এসে লাগছে।। মন চাচ্ছে উনার চুলে নিজের মুখ গুজে দেই।। কারণ উনার চুল থেকেও একটা পাগল করার মতো পারফিউম ভেসে আসছে।। এক কথায় মিম আপুর সৌন্দর্যের বিবরণ দিয়ে উনার সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবে না।।


এদিকে কথা বলতে বলতে রিক্সা এসে মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে পরল।। দুজন নেমে গেলাম আর মিম আপু রিক্সা ভাড়া দিয়ে দিলেন।। এরপর আমার হাত ধরে মার্কেটের ভিতর ঢুকে পরলেন।। ভিতরে গিয়ে উনার মন মতো কেনাকাটা করলেন।। তারপর বাহিরে এসে আমায় নিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে চলে আসলেন।।


মিমঃ বল এখন কি খাবি..?


আমিঃ আমি কিছু খাব না আপনি খেয়ে নিন।।


মিমঃ তোকে এতো কথা বলতে বলি নি কি খাবি সেটা বল😤 (একটু রাগে)


আমিঃ বুঝেছি উনার কথা অমান্য করলে কপালে দুঃখ আছে তাই বললাম, আপনি যা খাবেন আমিও তাই খাব।।


এরপর মিম আপু ওয়েটারকে ডেকে দুজনের জন্য কিছু খাবার ওয়ার্ডার দিলেন।। কিছুক্ষণের মধ্যে ওয়েটার খাবার নিয়ে চলে এলো।। তারপর দুজন যার যার মতো খেতে লাগলাম।। খাওয়া শেষ হলে বিল দিয়ে দুজন বাহিরে চলে আসলাম।। এসে মিম আপুর কথায় একটা রিক্সা ডাকলাম আর দুজন উঠে পরলাম।।


কিছুক্ষণের মধ্যে রিক্সা এসে বাসার সামনে থামল আর দুজন নেমে পরলাম।। এরপর মিম আপু আমায় বাসায় চলে যেতে বললেন।। আমিও আর দাড়িয়ে না থেকে বাসার ভিতরে ঢুকে পরলাম।।


আম্মুঃ কিরে এতো তারাতাড়ি চলে আসলি যে মিমের মার্কেট করা শেষ..? (আমায় আসতে দেখে আম্মু এসে কথাটা বললেন)


আমিঃ হে আম্মু সব শেষ করেই এসেছি।।


আম্মুঃ আচ্ছা তাহলে আয় এখন টেবিলে বস আমি তোকে নাস্তা দিচ্ছি।।


আমিঃ না আম্মু আমি খাব না মিম আপুর সাথে বাহিরে খেয়ে এসেছি।। আমি এখন রুমে গেলাম।।


আম্মুকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রুমে চলে আসলাম।। রুমে এসে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর গোসল করতে চলে গেলাম।। গোসল করে বের হয়ে একটা কাপড় পরে নিচে গিয়ে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিলাম।। খেয়ে আবার নিজের রুমে চলে এলাম।। এইভাবে কেটে গেল সারাদিন বিকাল হয়ে এলে প্রতিদিনের মতো মিম আপুর কাছে পড়তে চলে গেলাম।।


কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে আবার বাসায় চলে আসলাম।। আজ উনি কোনো কারণে একটু রাগ দেখান নি।। এরপর বাসায় এসে আরও কিছুক্ষণ পড়ার পর রাতের খাবারটা খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।।


সকালবেলা 

পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কলেজে চলে এলাম।। এসে দেখি আমার সব বন্ধুরা বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে তাই আমিও গিয়ে ওদের সাথে যোগ হলাম।।


শুভঃ কিরে আজ তুই এতো তারাতাড়ি আসলি কীভাবে😕..?


আমিঃ কেন আসতে পারি না নাকি😒..?


শুভঃ তা নয় কিন্তু তুই তু সকালে দেড়িতে ঘুম থেকে উঠিস তাই বললাম আর কি।।


আমিঃ হুম আজকে একটু তারাতাড়ি ঘুম ভেঙে গেল তাই চলে আসলাম।।


এইভাবে আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর সবাই ক্লাসে চলে আসলাম।। ক্লাসে আসার কিছুক্ষণ পর স্যার চলে আসলেন আর ক্লাস শুরু করে দিলেন।। এইভাবে এক এক করে সবকটা ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে বাহিরে চলে আসলাম।। বাহিরে আসতে না আসতেই কে যেন পিছন থেকে আমার নাম ধরে ডাক দিল।। পিছনে তাকিয়ে দেখি ওইদিনের মেয়েটা মানে ইমা।।


ইমাঃ কি হল সেই কখন থেকে যে ডাকছি শুনতে পাউনা..?


আমিঃ না মানে বল কিসের জন্য ডাকছেন..?


ইমাঃ আবার আপনি..? তোমাকে না তুমি করে বলতে বললাম😡 (একটু রেগে)।।


আমিঃ ওহহ সরি ভুল হয়েগেছে এখন বল কেন ডাকছ..?


ইমাঃ আগে ওদের (বন্ধুদের) বিদায় কর তারপর বলছি।।


আমিঃ আচ্ছা তোরা যা আমি একটু পরে আসছি (বন্ধুদের বললাম)।।


আমার কথামতো বন্ধুরা চলে গেল।। তারপর ইমাকে বললাম, বল এখন কি বলবা..?


ইমাঃ গতকাল ভার্সিটিতে আসলা না কেন..?


আমিঃ ওহহ কাল একটু শরীর খারাপ ছিল তাই আসি নি।।


ইমাঃ ওহহ আচ্ছা তোমার মোবাইল নাম্বার দাউ তু।।


আমিঃ কেন আমার নাম্বার দিয়ে কি করবা..?


ইমাঃ প্রেম করব দিতে বলছি দাউ এতো কথা বল কেন😡..?


আমিঃ আচ্ছা বাবা দিচ্ছি এইখানে রাগ করার কি আছে।। ০১৭******* এই নাউ এটা আমার নাম্বার।।


ইমাঃ হুম রাতে কল দিলে ধরবা কিন্তু, এখন আমি গেলাম বাই (বলেই চলে গেল)


আমিঃ আমিও আর দাড়িয়ে না থেকে সোজা বাসায় চলে আসলাম।। ভাগ্যিস আজ মিম আপু ছিলেন না নাহলে আমার যে কি হতো আল্লাহয় জানেন।।


বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবারটা খেয়ে একটু ফেবুতে লগ ইন করলাম।। অনেক্ষণ ধরে ফেবুতে থাকায় কখন যে বিকাল হয়ে আসল খেয়ালই নেই।। এরপর ফেবু থেকে বের হয়ে ব্যাগে বই খাতা নিয়ে সোজা মিম আপুদের বাসায় চলে এলাম।। বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিতেই মিম আপু দরজা খুলে দিলেন।।


মিম আপুর দিকে চোখ পরতেই আমি তু অবাক😲।। কারণ মিম আপু আজ একটা নিল শাড়ি পরেছেন তার সাথে মেচিং করে ছুড়ি আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক।। সব মিলিয়ে যেন উনাকে পরীর চেয়েও ভিষণ সুন্দর লাগছে।। কিন্তু আজ হঠাৎ করে উনি এইভাবে সাজলেন কেন কিছু তু গাবলা আছে নিশ্চয়।।


মিমঃ কিরে এইভাবে তাকিয়ে কি দেখছিস..?


আমিঃ দেখছি একটা পরীকে (মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে)।।


মিমঃ তাই তা আমাকে আজ কেমন লাগছে😊..?


আমিঃ অনেক সুন্দর লাগছে।।


মিমঃ আমার কথায় হয়তো লজ্জা পেয়েছে যা উনার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।। যাহহ আমার লজ্জা করে না বুঝি।।


আমিঃ এইখানে লজ্জার কি আছে..?


মিমঃ কিছু না এবার ভিতর আয় এইভাবে আর কতক্ষণ বাহিরে দাড়িয়ে থাকবি।।


আমিঃ হুম মনেই ছিল না (ভিতরে ঢুকে পরলাম)।।


আমিঃ আপু বাসায় কি কেউ নেই কাউকে দেখছি না তু (চারপাশে তাকিয়ে)।।


মিমঃ আম্মুকে নিয়ে আব্বু উনার একটা ফ্রেন্ডের বাসায় গেছেন আসতে বিকাল হবে।।


আমিঃ ওহহ


কথা বলতে বলতে মিম আপুর রুমে চলে এলাম।। এসে টেবিলের পাশের চেয়ারে বসে পরলাম।। মিম আপুও একটা চেয়ার টেনে আমার পাশে বসে পরলেন।।


আমিঃ আপু একটা কথা বলব যদি রাগ না করেন😶।।


মিমঃ কি কথা বল..?


আমিঃ আজ আপনি শাড়ি পরেছেন কেন এইভাবে তু আর কোনোদিন শাড়ি পরেন নাই।।


মিমঃ তোর জন্য পরেছি (মুচকি হেসে)।।


আমিঃ কিহহ আমার জন্য মানে😲..? (অবাক হয়ে)


মিমঃ কিছু না তুই বই বের কর অনেক কথা হয়েছে আজ।।


আমিঃ হুম এই নিন (একটা বই বের করে দিয়ে)।।


এরপর মিম আপু আমায় পড়ানো শুরু করে দিলেন।। কিছুক্ষণ পড়ানোর পর আমায় একটা পার্ট পড়তে বললেন।। আমিও উনার কথামতো পড়তে লাগলাম।। অনেক্ষণ ধরে পড়ছি এমন সময় মিম আপুর দিকে চোখ পরতেই দেখি উনি এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন😲।। উনার তাকানো দেখে খানিকটা লজ্জা পেলাম তার সাথে আবার চোখ নামিয়ে ফেললাম আর আগের মতো পড়তে লাগলাম।।


এদিকে আমি পড়ছিলাম এমন সময় হুট করে কে যেন আমার শার্টের কলার চেপে ধরে টান মেরে তার ঠোঁটের সাথে আমার ঠোঁট এক করে দিল।। কিছু বুঝতে না পারলেও চোখ বড় বড় করে সামনে তাকিয়ে আমি অনেক বড় শক খেলাম।। কারণ যে আমার ঠোঁট চেপে ধরেছে সে আর কেউ না মিম আপু😱।।


নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই মিম আপুর সাথে পেরে উঠতে পারছি না।। উনি এক হাত দিয়ে আমার পিছনের চুল খামছে ধরেছেন আর অন্য হাত দিয়ে আমার কলার চেপে ধরে আছেন, যার ফলে একটুও নড়তে পারছি না।। একটা নিষ্পাপ প্রাণীর মতো শুধু উনার কাজকর্ম দেখে যাচ্ছি।। প্রায় ৫মিনিট কিস করার পর মিম আপু নিজ থেকেই আমায় ছেড়ে দিলেন।। আর তখনই আমি লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে বললাম,,


আমিঃ ছিঃ আপু, আপনার লজ্জা করল না ছোট ভাইয়ের বয়সি ছেলেকে কিস করতে।। আপনাকে সবসময় আমি বড় বোনের মতো ভাবতাম আর আপনি কি না ছিঃ।।


মিমঃ ওইই একদম বোন বলবি না তাহলে খুন করে ফেলব।। শুন আমি তোকে ভালবাসি তাই তোর ঠোঁটে কিস করার অধিকার শুধু আমার আছে অন্য কারও নেই😡।।


আমিঃ..........


Wait for next......


Story | #Senior_Miss

Part | 003

Facebook Group |  Bangla Story 143

No comments

Powered by Blogger.