গল্প | অশরীরি প্রেম - পর্ব-০৩


লেখক | সোহেল রানা।




আগের পর্বের পর,,,,,,

ইভা হঠাৎ এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করল। যা দেখে যেকেউ ভয়ে আধমরা হয়ে যাবে। ইন্সপেক্টর আবিরও ভয়ে কুঁকড়ে গেল। বাইকটা ফেলে পালাতে চাইল।



কিন্তু যেদিকে পালাতে যায়, সে শুধু ভয়ংকর ইভাকে দেখতে পায়। চারদিক থেকেই ইভা তাকে ঘিরে ফেলেছে। ইন্সপেক্টর আবির আশ্চর্য হল, একজন হঠাৎ এতজন হয়ে গেল কি করে?? প্রাণপণে চিৎকার করতে লাগল আবির, কিন্তু কোন লাভ হলনা......



ইভা তখন এক ভয়ংকর কণ্ঠে বলল: অনেক অন্যায় করেছিস ইন্সপেক্টর,,, তুই বাঁচবিনা।



-প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও।



-ছেড়ে দেব? হ্যা, ছেড়ে দেব। শিহাব নামের যে ছেলেটাকে ধরেছিস, তাকে ছেড়ে দিতে হবে। সে খুন করেনি।



আমাজাদ খানকে আমি খুন করেছি তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে। কালকের মধ্যে যদি শিহাব ছাড়া না পাই, তুই আর জীবনের আশা করতে পারবিনা। নিজের ধ্বংস ডেকে আনিসনা তুই।"



কাঁপতে কাঁপতে ইন্সপেক্টর আবির বলল: হ্যা, হ্যা, আমি ছেড়ে দেব, শিহাবকে আমি ছেড়ে দেব। প্লিজ আমাকে বাঁচতে দাও।"



ভয়ংকর এক হাসি দিয়ে ইভা তখন কোথায় যেন মিলিয়ে গেল। ইন্সপেক্টর আবির তখন জ্ঞান হারিয়ে সেখানেই পড়ে থাকল সারারাত।

#অশরীরি_প্রেম_পর্ব_০৩
#oshoriri_prem_part_03
#banglastory143


__________প্রতিশোধ__________

শিহাব ছাড়া পেলেও অবস্থা তার বলার মতো না। এত মার খেয়ে কোন স্বাভাবিক মানুষ কি আর ঠিক থাকতে পারে??? হাসপাতালে ভর্তি করা হল তাকে অজ্ঞান অবস্থায়। ইন্সপেক্টর আবির নিজে দায়িত্ব নিল তার। নিজেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল, তার বাবার মার সাথে যোগাযোগ করে শিহাবের অবস্থা জানিয়ে হাসপাতালে আসতে বলল।




শিহাবের কেবিন থেকে বের হল ডাক্তার ইমতিয়াজ। তার পথ আটকাল সাদিয়ার ছোট চাচা। আড়ালে নিয়ে গেলেন তিনি ডাক্তারকে। জিজ্ঞেস করলেন: রোগীর অবস্থা কেমন?



ডাক্তার বললেন: অবস্থা একটু ভাল হয়েছে এখন।



-আপনার জন্য একটা অফার নিয়ে এসেছি, কাজটা করতে পারলে অনেক টাকা পাবেন।



-কি অফার?



-রোগীকে মেরে ফেলতে হবে। বিনিময়ে যত টাকা চান পাবেন।



লোভী ডাক্তার দ্বিতীয়বার ভাবলনা। সাথে সাথে লুফে নিল অফারটা। পরস্পর হাত মেলাল তারা। দুইজনের কেউ হয়তো খেয়াল করেনি একটু দূরে অশরীরী ইভা দাঁড়িয়ে আছে,, আর বিস্ফোরিত চোখ দুটো তার তাকিয়ে আছে ঠিক দু'জনের দিকে।




--হ্যা আমি মরে গেছি। আবার ফিরে এসেছি। প্রতিশোধ নেব আজ আমি। মনে পড়ে ডাক্তার, সেদিন পোস্ট মর্টেমের দিনে আমার মৃতদেহের দিকে কি লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলি?



মনে পড়ে, সেদিন পোস্ট মর্টেমের নামে সবাইকে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে আমার ডেডবডি নিয়ে কি নিষিদ্ধ খেলায় মেতেছিলি? ছি ডাক্তার! ছি! তোর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।



ডাক্তার ইমতিয়াজ দৌড়ে পালাতে চাইলেন। কিন্তু ইভা তার চারপাশে ঘূর্ণিপাকের মতো চক্রাকারে ঘুরতে লাগল। ডাক্তার মাটিতে পড়ে গেলেন।



-প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও।" মিনতি করলেন ডাক্তার ইমতিয়াজ।



-ক্ষমা?? "হা হা হা" করে ভয়ংকর এক অট্টহাসি হাসল ইভা। তার এই হাসিতে পুরো পৃথিবী যেন কেঁপে উঠল। হঠাৎ তার দু'হাত থেকে খুরের মতো লম্বা লম্বা নখ বের হল। সেই নখ দিয়ে ডাক্তর ইমতিয়াজ এর পেট চিরল, যেভাবে লাশের পোস্ট মর্টেম করে।



ডাক্তার ইমতিয়াজ শুধু একটা জোরে আর্তনাদ করতে পারলেন। তারপর তার দেহ অসাড় হয়ে গেল। পেট থেকে তার নাড়িভুঁড়ি বের করে ফেলেছে ইভা। অন্তত শেয়াল শকুনের খাদ্য মিলবে। তারপর শিহাবের দিকে এগিয়ে গেল সে।



শিহাবকে কোলে তুলে নিয়ে ধীরে ধীরে শিহাবের বাড়ির দিকে হাটতে লাগল অশরীরী ইভা.........



চলবে......,

#অশরীরি_প্রেম_পর্ব_০৩
#oshoriri_prem_part_03
#banglastory143

No comments

Powered by Blogger.